আলোচনা- 'কারাগার থেকে সংশোধনাগার প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু

দেশের অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠগুলোয় অবশেষে মনে হয় কিছু আলোর রেখা ফুটে উঠছে। এমনিতে দেশের কারাচিত্র দীর্ঘকাল ধরেই হতাশাব্যঞ্জক।

'অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার', 'ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক ব্যবসা চলছে প্রকাশ্যে', 'চট্টগ্রাম কারাগারে সন্ত্রাসীদের হাতে মোবাইল!', 'ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবাধে মাদক ঢোকে, আসক্ত প্রায় এক হাজার', 'জেলখানাগুলোতে কী চলছে?', 'খাবার ও সেলকে ঘিরে কারাগারে রমরমা বাণিজ্য', 'কারা হাসপাতাল ঘিরে হাতবদল হয় লাখ লাখ টাকা' ইত্যাদি শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদগুলো আমাদের বহুল পঠিত।
দেশের কারাগারগুলো নিয়ে ইতিবাচক সংবাদ যতটা না ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, এর চেয়ে ঢের বেশি প্রকাশিত হয়েছে নেতিবাচক সংবাদ। কর্তৃপক্ষ এসব শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে নানা রকম খোঁড়া যুক্তিও ইতিমধ্যে কম দাঁড় করায়নি।
আগেই বলেছি, দেশের কারাগারগুলোর পরিস্থিতি বহুকাল ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ। এসবের সমাধানসূত্রও ইতিমধ্যে কম খোঁজা হয়নি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রেই ফুটে ওঠেনি আশার আলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে খালাস পেতেই হোক কিংবা ন্যায় ও আইনি অথবা বিচারিক পদ্ধতি গতিশীল করতেই হোক_নানা রকম ইতিবাচক সিদ্ধান্তও যথেষ্ট নেওয়া হয়েছে কারাগারগুলোকে ঘিরে। কারাব্যবস্থার আমূল সংস্কারের ওপরও জোর কম দেওয়া হয়নি; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। মানবাধিকার রক্ষা প্রসঙ্গে যদি দেশের কারাগারগুলোর প্রতি আলোকপাত করে কিছু লিখতে হয়, তাহলে সব কিছু ছাপিয়ে অমানবিকতার চিত্রটাই বড় হয়ে ফুটে উঠবে। দেশের কারাগারগুলোয় যে বন্দি ধারণক্ষমতা রয়েছে, বন্দি রয়েছে এর প্রায় তিন গুণ বেশি। মানবাধিকার রক্ষার আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়গুলো এর পর আর আলোচনার কোনোই প্রয়োজন রাখে না। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি তো আছেই। আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল অনেকের মানবিক নয়, নিপীড়ক চেহারাটাই দেখেছি। 'আমি তারে পারি না এড়াতে/সে আমার হাত রাখে হাতে/সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে/আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে।' জীবনানন্দ দাশের 'বোধ' কবিতায় কোনো অব্যক্ত ভাব এভাবেই মূর্ত হয়েছে। দেশের অন্য প্রসঙ্গ সরিয়ে রেখে কারাচিত্র প্রসঙ্গে তা পুনর্ব্যক্ত করা চলে। কারা প্রশাসনের পতনের শুরুটা জানা, কিন্তু শেষটা? প্রশ্নটা অন্তহীন বটে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাষ্ট্রের অন্যতম সুরক্ষিত স্থান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মানবতা-সভ্যতা কাঁপানো যে মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটেছিল, তা বিশ্ববাসীরও অজানা নয়। কারা অধিদপ্তর ও প্রশাসন এর পর থেকেই বিষাক্রান্ত হতে থাকে। উলি্লখিত প্রসঙ্গগুলো অতীত হলেও সেই অতীত যে আমাদের সামনে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দিয়েছে_এ জটিল পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া তো সহজ নয়।
কারা অধিদপ্তর ও কারা প্রশাসন প্রসঙ্গে আজ নেতিবাচক কোনো আলোচনার উদ্দেশ্য নেই। এত প্রতিকূলতা-নেতিবাচকতার মধ্যেও সম্প্রতি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে ক্ষীণ হলেও যে আশার আলো দেখা দিয়েছে, সেদিকে কিছুটা আলোকপাত করতেই এ লেখা। দুর্মুখরা বলতে পারে, এ তো হলো সিন্ধুর মাঝে বিন্দু। কিন্তু আমরা বলব, শুরুটা তো অন্তত হয়েছে এবং দায়িত্বশীলরা যদি সত্যি অঙ্গীকারবদ্ধ হন, তাহলে এর বিস্তার ঘটানো দুরূহ কোনো বিষয় নয়। ৭ নভেম্বর কালের কণ্ঠে 'কেন্দ্রীয় কারাগারে মেডিটেশনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন; আত্মশুদ্ধি শেষে নতুন জীবনের আশায় ওরা ৮০ জন'_শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্যচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে, তা খুব আশাজাগানিয়া। বন্দিদের আ@ে@@@াপলব্ধি জাগিয়ে তুলে নৈতিক ও আ@ি@@@ক শক্তি বিকাশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চালু হয়েছে বিশেষ ধ্যান বা মেডিটেশন কার্যক্রম। এ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত বন্দিরা কারাভোগ শেষে নতুন করে জীবন শুরু করার প্রেরণা পাবেন। অপরাধপ্রবণতা দূরে ঠেলে এগিয়ে যাবেন সামনে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আশরাফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এমন একটি দূরদর্শী কার্যক্রম শুরু করার জন্য অভিনন্দন পাওয়ার অবশ্যই দাবিদার। এত দিন কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি উচ্চারণসর্বস্ব থাকলেও বর্তমান দায়িত্বশীলরা 'হবে', 'হচ্ছে'র জটাজাল ছিন্ন করে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও এমন একটি কার্যক্রম যে শুরু করতে পেরেছেন, এটি কম বড় বিষয় নয়। তবে বর্তমানে টঙ্গীতে অবস্থিত কিশোর অপরাধী সংশোধনাগারের মতো সাইনবোর্ডসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে কিংবা লোক দেখানো কোনো কার্যক্রম চালালে সুফল মিলবে না।
সন্দেহ নেই, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যে উদ্যোগটা নেওয়া হলো, তা একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। কারাগারে যাঁরা বন্দি থাকেন, তাঁরা বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত এবং সবার সামাজিক অবস্থান কিংবা মানমর্যাদাও এক নয়। কারাগারে যাওয়া মানেই অপরাধীর তকমা লেগে যাওয়া, তা কিন্তু নয়। তবে কারামুক্তির পর অনেক অপরাধী যে আগের চেয়ে বেশি করে অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়েন, এও অসত্য নয়। বিশ্লেষক কিংবা সমালোচকরা এও বলেছেন, ছোট অপরাধী হয়ে ঢোকে, বড় অপরাধী হয়ে বেরিয়ে আসে! বিদ্যমান ব্যবস্থাই এর জন্য বহুলাংশে দায়ী, এও সত্য। এমন চিত্র সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের পথে বড় ধরনের বাধাও বটে। দেশের কারাগারগুলোকে কারাগারের পর্যায় থেকে সংশোধনাগারে পরিবর্তন করতে পারলে এর ইতিবাচক প্রভাব অবশ্যই সমাজদেহে পড়বে। একজন মানুষ অপরাধী হয়ে জন্মায় না। সামাজিক পরিবেশ-পরিস্থিতি ও নানা রকম অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় মানুষকে অপরাধী করে। কিন্তু যারা জন্মগতভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের চত্বরে ভূমিষ্ঠ হয়ে বেড়ে ওঠে, তাদের কথা আলাদা। তাদের অপরাধমুক্তির জন্য কোনো পথ বের করা সহজ নয়। আ@ে@@@াপলব্ধি এমন একটা বিষয়, যা তৈরি করা গেলে অনেকের পক্ষেই সুপথে ফিরে আসা সম্ভব। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ নিয়েছে, এর সঙ্গে দেশের সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, মনোচিকিৎসক, অপরাধ বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করতে পারলে হয়তো আরো সুফল মিলবে।
কারামুক্তির পর একজন বন্দিকে সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি, যদিও বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটে কাজটা এত সহজ নয়। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভালো মানুষের। সেই ভালো মানুষ পাওয়া ও সৃষ্টির জন্য শুধু কারাগারেই নয়, সমাজেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। ভারতের তিহার কারাগার এ উপমহাদেশে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। সেখানে বন্দিদের সংশোধনের জন্য নানা রকম উদ্যোগ-আয়োজন দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত আছে। দেশবরেণ্য অনেক সংগীতশিল্পী, সমাজসেবী, মনোবিজ্ঞানীসহ নিজ নিজ ক্ষেত্রে খ্যাতিমানরা ওই কারাগারে ইতিমধ্যে অনেকবার এমন সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন, যার ইতিবাচক প্রভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী। সুস্থ ও একটি কাঙ্ক্ষিত গতিশীল সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা, পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষার গুরুত্বও অনেকখানি। সামাজিক শৃঙ্খলা এবং শান্তি রক্ষায় সমাজের সচেতনদেরও অবশ্যই কিছু করণীয় রয়েছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান হলে কাঙ্ক্ষিত ফল না মেলার তো কোনো কারণ নেই। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিসহ গোটা কারাব্যবস্থাপনাকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও মানবিক করে গড়ে তুলতে পারলে দেশি-বিদেশি সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই কর্তৃপক্ষের সহজতর হবে। একটা কথা অস্বীকার করা কঠিন, চিন্তা আর মনমানসিকতায় বিধিবদ্ধ ধারণা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও আসামিদের দুর্দশাগ্রস্ত ললাটলিখন খণ্ডানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ, কারারক্ষী থেকে জেলার পর্যন্ত সব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সর্বাগ্রে মানবিক শৌর্যে উন্নীত হতে হবে।
বর্তমান কারাজীবনে একজন অপরাধী বা আটক ব্যক্তি ক্রমান্বয়ে মূর্খ হয়ে এক ধরনের মনুষ্যত্বহীন ব্যতিক্রমী প্রবণতা নিয়ে বের হয়ে সমাজে জীবনযাপন করেন বা নিজ জীবন গড়া বা সমাজ গড়ার অংশীদারির অনুভব-শক্তি হারিয়ে ফেলেন কিংবা হীনম্মন্যতায় ভুগতে ভুগতে অন্য এক নতুন অপরাধ করে ফেলেন। সমাজের জন্য হন এঁরা বোঝাস্বরূপ। অতএব, এ সমস্যা দূর করতে জেলকয়েদি ও হাজতিদের প্রাত্যহিক জীবনের জন্য একটি আধুনিক রুটিন তৈরি এবং এর প্রতিপালন দরকার। স্বচ্ছ চিন্তার মাধ্যমেই আমাদের দেখা উচিত দুই, পাঁচ, বারো বছর ইত্যাদি স্বল্প বা দীর্ঘমাত্রার শাস্তি ভোগ করে একজন জেলবন্দি বা অপরাধী কী শিক্ষা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন। দুনিয়ার মুক্ত জীবন থেকে আলাদা করে সুনির্দিষ্ট শাস্তিদানের পর একজন মানুষকে তার পরবর্তী সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য কী করা হচ্ছে কারাগারগুলোয়? এসব প্রশ্নের জবাব অনুসন্ধানের মধ্যেই রয়েছে প্রতিকারের বীজ। কারাগার হচ্ছে সমাজের অপরাধী চক্রকে প্রয়োজনীয় সাজাভোগের মাধ্যমে সংশোধনের জায়গা। কিন্তু প্রশাসনের দোষে তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অপরাধীদের স্বর্গ বা অপরাধীচক্রের সূতিকাগার। সেই জটাজাল এখনো পুরোপুরি ছিন্ন করা যায়নি। তবে আশার কথা, সুস্থ ও মানবিক জীবনযাপনের আলো ছড়াতে সংখ্যায় কম হলেও শুভবুদ্ধিসম্পন্নরা তৎপর হয়ে উঠছেন।
=============================
শিল্প-অর্থনীতি 'ক্ষুদ্রঋণের বিড়ম্বনা' by আহমদ রফিক  আন্তর্জাতিক- 'চীন ও দুর্লভ ধাতু নিয়ে উদ্বেগ' by পিটার কাস্টার্স  আলোচনা- 'সুশাসন-সহায়ক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো' by এ এম এম শওকত আলী  খবর ও ফিচার- 'মুক্তি পেল নীলকণ্ঠ পাখি' by শরীফ খান  প্রকৃতি- 'বাংলাদেশে জীবিকা হারানো মানুষের ‘অগত্যা বাস্তুচ্যুতি’  আলোচনা- 'প্রসঙ্গ : দুর্নীতি উৎপাটন' by মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম  ইতিহাস- পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী পরিচিতি  প্রকৃতি- 'কোপেনহেগেনের বিক্ষোভ' by জোয়ান হ্যারি  আলোচনা- 'আদিবাসীদের সম্পৃক্ত করা দরকার' by ইলিরা দেওয়ান  আলোচনা- 'ভুরকি গ্রামের স্ব্বপ্না বিবি থেকে রুশনারা আলী' by ইফতেখার মাহমুদ  রাজনৈতিক আলোচনা- 'সংবিধান সংশোধন, যুদ্ধাপরাধের বিচার' by শ্যামল সরকার  প্রকৃতি- 'জলবায়ু পরিবর্তন : অদ্ভুত আঁধার এক' by আজাদুর রহমান চন্দন  প্রকৃতি- 'বাঘ রক্ষার বিশ্বসভা রাশিয়ায়' by ইফতেখার মাহমুদ  শিল্প-অর্থনীতি 'অবকাঠামোর উন্নয়নে পেছনের সারিতে বাংলাদেশ' by হানিফ মাহমুদ  প্রবন্ধ- 'সাবধান থেকো তাদের থেকে...' by বদিউল আলম মজুমদার  আলোচনা- 'ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অশিক্ষা-অপুষ্টি ও নির্যাতনের শৃঙ্খলে বন্দি শিশুরা' by শুভ রহমান  গল্পালোচনা- 'এমন ঘটনাও ঘটে'! by ফখরুজ্জামান চৌধুরী  আলোচনা- 'হাইকোর্টের রায় এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে' by শক্তিপদ ত্রিপুরা


কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.