জয়তু মুহাম্মদ ইউনূস-অভিনন্দন বাংলাদেশের এই কৃতী সন্তানকে
নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভের পর মুহাম্মদ ইউনূস আবার বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মান ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। এর মাধ্যমে তাঁর সাফল্য আর গৌরবের মুকুটে যুক্ত হলো আরেকটি পালক। গত বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তাঁকে এ পদক পরিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আমরা জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। গর্বভরে বলতে চাই, তিনি আমাদের দেশের গৌরবের প্রতিচ্ছবি।
গরিবের ব্যাংকার হিসেবে বিশ্বে নন্দিত মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, মার্কিন রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি এডওয়ার্ড কেনেডি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিবেকের প্রতীক ধর্মযাজক নোবেল বিজয়ী ডেসমন্ড টুটুসহ বিশ্বের ১৬ জন ব্যক্তিত্ব এ বছর ফ্রিডম অব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। আমাদের ঘরের ছেলে মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি তাঁদেরও জানাই অভিনন্দন।
বিনম্র, একনিষ্ঠ সাধক মুহাম্মদ ইউনূস নীরবে কাজ করে যেতেই পছন্দ করেন। ৩৩ বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি সামান্য পুঁজি নিয়ে ‘গরিবের অর্থনীতি’র যে ক্ষীণ ধারার সূচনা করেছিলেন, তা যেন একের পর এক ডালপালা মেলে সারা বিশ্বকে জানান দিচ্ছে। এই পুরস্কার পাওয়ার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন এক অবিস্মরণীয় গৌরব ও সম্মান। মেডেল অব ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড লাভের পর মুহাম্মদ ইউনূস তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যথার্থই বলেছেন, ‘এ সম্মানপ্রাপ্তি শুধু আমার নিজের জন্য নয়, এটা দেশের জন্য সম্মানজনক বলে মনে করছি।’
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার সুযোগ আমরা কালেভদ্রে পাই। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতা আর দুর্যোগকবলিত দেশ হিসেবে পরিচিত। সেই পরিচয়ের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে আসতে যে কজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আমরা তাঁর কর্মময় দীর্ঘজীবন কামনা করছি। জয়তু মুহাম্মদ ইউনূস!
গরিবের ব্যাংকার হিসেবে বিশ্বে নন্দিত মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, মার্কিন রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি এডওয়ার্ড কেনেডি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিবেকের প্রতীক ধর্মযাজক নোবেল বিজয়ী ডেসমন্ড টুটুসহ বিশ্বের ১৬ জন ব্যক্তিত্ব এ বছর ফ্রিডম অব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। আমাদের ঘরের ছেলে মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি তাঁদেরও জানাই অভিনন্দন।
বিনম্র, একনিষ্ঠ সাধক মুহাম্মদ ইউনূস নীরবে কাজ করে যেতেই পছন্দ করেন। ৩৩ বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে তিনি সামান্য পুঁজি নিয়ে ‘গরিবের অর্থনীতি’র যে ক্ষীণ ধারার সূচনা করেছিলেন, তা যেন একের পর এক ডালপালা মেলে সারা বিশ্বকে জানান দিচ্ছে। এই পুরস্কার পাওয়ার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছেন এক অবিস্মরণীয় গৌরব ও সম্মান। মেডেল অব ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড লাভের পর মুহাম্মদ ইউনূস তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যথার্থই বলেছেন, ‘এ সম্মানপ্রাপ্তি শুধু আমার নিজের জন্য নয়, এটা দেশের জন্য সম্মানজনক বলে মনে করছি।’
বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার সুযোগ আমরা কালেভদ্রে পাই। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতা আর দুর্যোগকবলিত দেশ হিসেবে পরিচিত। সেই পরিচয়ের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে আসতে যে কজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আমরা তাঁর কর্মময় দীর্ঘজীবন কামনা করছি। জয়তু মুহাম্মদ ইউনূস!
No comments