একজন রক্তের ফেরিওয়ালা by জহিরুল ইসলাম
ইউনিভার্সেল
কামাল। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারার মরহুম ডা. আবদুল মবিনের তৃতীয়
সন্তান। চিকিৎসক পিতার আদর্শকে লালন করে তিনি প্রায় তিন যুগ ধরে মানবসেবায়
কাজ করে আসছেন। স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, পরিবেশ
আন্দোলন, খেলাধুলা ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে তিনি সম্পৃক্ত। ৫৩ বছর বয়সে
নিজে রক্ত দিয়েছেন ৫৬ বার। শুধু নিজের শরীর থেকে রক্ত দেয়ার মধ্যেই তিনি
সীমাবদ্ধ থাকেননি, অন্যের জীবন বাঁচাতে রক্ত সংগ্রহ করতে গড়ে তুলেছেন
সামাজিক সংগঠন ‘উদ্দীপন’। নিজের প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনে রক্ত কর্মী হিসেবে কাজ
করছেন লালমাই, লাকসাম, বরুড়া, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কর্মীরা প্রচারণার কাজ করে থাকেন।
ফেসবুকে রয়েছে উদ্দীপনের ৩৫ হাজার ফলোয়ার। সংগঠনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তিন সহস্রাধিক নারী-পুরুষকে রক্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন। রক্তের জরুরি এ সেবা দিয়ে এলাকায় তিনি রক্তের ফেরিওয়ালা, মানবতার ফেরিওয়ালা ও রক্ত কামাল হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসী বিভাগের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা তামান্না বলেন, মৃত্যুর আগে আমার দাদাকে ১৩ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। এর মধ্যে উদ্দীপনই ৭ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছে। এরপর থেকে আমি নিজেও রক্ত দিই ও রক্ত সংগ্রহে কাজ করি।
উদ্দীপনের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিভার্সেল কামাল বলেন, আমার বাবা চিকিৎসক হিসেবে জনসেবা করেছেন। আমি একজন ব্যবসায়ী। যেহেতু আমি চিকিৎসক নই, তাই রক্ত দিয়েই মানবসেবা করে যাচ্ছি। রক্তের পাশাপাশি আমি সন্ধানীকে আমার মরণোত্তর দুটি চক্ষুও দান করে দিয়েছি। মানবসেবার এ যাত্রায় আমার স্ত্রী সন্তানরা আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। লালমাইয়ের বাসিন্দা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রক্ত দিন জীবন বাঁচান’ এই মূলমন্ত্র হৃদয়ে ধারণ করে ইউনিভার্সেল কামাল ছাত্রজীবন থেকেই মহৎ কাজটি করে যাচ্ছেন। তার কাজের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম অনুপ্রেরণা পাবে। লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম ইয়াসির আরাফাত বলেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রক্তদাতাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। ডাটাবেজ থেকে যে-কেউ রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন। লালমাইয়ের বাসিন্দা ইউনিভার্সেল কামাল দীর্ঘদিন ধরে রক্ত নিয়ে কাজ করে আসছেন। তার এই মানবসেবায় উপজেলা প্রশাসন সবসময় পাশে থাকবে।
ফেসবুকে রয়েছে উদ্দীপনের ৩৫ হাজার ফলোয়ার। সংগঠনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তিন সহস্রাধিক নারী-পুরুষকে রক্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন। রক্তের জরুরি এ সেবা দিয়ে এলাকায় তিনি রক্তের ফেরিওয়ালা, মানবতার ফেরিওয়ালা ও রক্ত কামাল হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসী বিভাগের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা তামান্না বলেন, মৃত্যুর আগে আমার দাদাকে ১৩ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। এর মধ্যে উদ্দীপনই ৭ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছে। এরপর থেকে আমি নিজেও রক্ত দিই ও রক্ত সংগ্রহে কাজ করি।
উদ্দীপনের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিভার্সেল কামাল বলেন, আমার বাবা চিকিৎসক হিসেবে জনসেবা করেছেন। আমি একজন ব্যবসায়ী। যেহেতু আমি চিকিৎসক নই, তাই রক্ত দিয়েই মানবসেবা করে যাচ্ছি। রক্তের পাশাপাশি আমি সন্ধানীকে আমার মরণোত্তর দুটি চক্ষুও দান করে দিয়েছি। মানবসেবার এ যাত্রায় আমার স্ত্রী সন্তানরা আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। লালমাইয়ের বাসিন্দা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রক্ত দিন জীবন বাঁচান’ এই মূলমন্ত্র হৃদয়ে ধারণ করে ইউনিভার্সেল কামাল ছাত্রজীবন থেকেই মহৎ কাজটি করে যাচ্ছেন। তার কাজের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম অনুপ্রেরণা পাবে। লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম ইয়াসির আরাফাত বলেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রক্তদাতাদের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। ডাটাবেজ থেকে যে-কেউ রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন। লালমাইয়ের বাসিন্দা ইউনিভার্সেল কামাল দীর্ঘদিন ধরে রক্ত নিয়ে কাজ করে আসছেন। তার এই মানবসেবায় উপজেলা প্রশাসন সবসময় পাশে থাকবে।
No comments