সিলেটে বিকল্প ভাবনায় ছহুল by ওয়েছ খছরু
সিলেটে
অর্থমন্ত্রী পরিবারের বিকল্প হতে পারেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল
হোসাইন। তার প্রতি আপত্তি নেই সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাদেরও।
‘ব্যুরোক্রেসি’র লড়াইয়ে একমাত্র বিকল্প হচ্ছেন তিনি। দলের নেতারা
জানিয়েছেন, সিলেট-১ আসনের মনোনয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী পরিবারের টানাপড়েনে
হাইকমান্ডের নজরে রয়েছেন ছহুল হোসাইন। এতে কপাল খুলতে পারে তারও। ইতিমধ্যে
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মনোনয়ন নিয়ে তার
কথা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ কারণে প্রার্থিতা ঘোষণার
অপেক্ষায় রয়েছেন ছহুল হোসাইন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেই তিনি নির্বাচন করতে চলে আসবেন জন্মস্থান সিলেটে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার খবরটি রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।
এরপরও সব আলোচনা-সমালোচনাকে উপেক্ষা করে ছহুল হোসাইন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করে ভোটযুদ্ধে নামার ঘোষণা দেন। এমনকি গণভবনে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সাক্ষাৎকারেও উৎসাহের সঙ্গে যোগদান করেন। এর প্রায় দুই মাস আগে থেকে তিনি নিজ শহর সিলেট-১ আসনে নির্বাচনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। আর তার পছন্দের তালিকায় ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। ছহুল হোসাইন নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিলেও তার সামনে পাহাড়সম বাধা রয়েছে সিলেটে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তার পরিবারের বলয় থেকে আওয়ামী লীগের টিকিট ছিটকে পড়লে তার ভাগ্য খুলতে পারে। কিন্তু নৌকার কাণ্ডারি হতে খোদ অর্থমন্ত্রী পরিবারেই মুখিয়ে আছেন একাধিক প্রার্থী।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজনীতি, মন্ত্রিত্ব সবকিছু থেকে নিজেকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক আগেই। বার বার তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়ে এবারের নির্বাচনের পর অবসর নেবেন বলেও জানিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পর অনুজ ড. একে আবদুল মোমেন এসেছেন প্রকাশ্যে। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হতে তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রী পরিবার নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে সিলেটে। ড. মোমেনকে এবার প্রার্থী চান না অনেকেই। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে প্রার্থী হিসেবে মানছেন সবাই। অর্থমন্ত্রী প্রার্থী হলে দলের ভেতরে থাকা বিরোধী জোটের মুখেও লাগাম থাকবে। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার সাহসও পাবে না কেউ। কিন্তু অর্থমন্ত্রী প্রার্থী হতে চাচ্ছেন না। তিনি নিজ থেকেই এ আসন ছাড় দিতে চান ছোট ভাই ড. একে আবদুল মোমেনকে।
কিন্তু মুখে অর্থমন্ত্রী এ কথা বললেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তিনি এবার নিজেও প্রার্থী হয়েছেন। সিলেট-১ আসনে তিনিও মনোনয়ন চেয়েছেন। অর্থমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রীকে প্রার্থী চান তার ছেলে সাহেদ মুহিত ও তার স্ত্রী। এ কারণে সাহেদ মুহিত নিজে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর জন্য মনোনয়নপত্র দলীয় কার্যালয় থেকে ক্রয় করে আনেন। অর্থমন্ত্রী ছোট ভাই ড. মোমেনের জন্য মনোনয়ন কিনতে গেলেও তার পক্ষে মনোনয়ন ক্রয় করা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এরপর অর্থমন্ত্রী সেই মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের ছেলে ও পুত্রবধূ ছাড়াও দলের হাইকমান্ডের ৪-৫ জন নেতা রয়েছেন। তারা এবার অর্থমন্ত্রীকে আবারো নির্বাচনে দেখতে চান। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ অর্থমন্ত্রীকে প্রার্থী করার ব্যাপারে খুব আশাবাদী। তিনি আগে থেকেই এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বলে অর্থমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে।
মনোনয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী পরিবারের দ্বিধাদ্বন্দ্বের বিষয়টি এখন আর সিলেট আওয়ামী লীগের কারো অজানা নয়। এ জন্য এখনই বলা যাচ্ছে না সিলেট-১ আসনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। ড. মোমেনকে বাদ দিয়ে অর্থমন্ত্রী ফের নৌকার প্রার্থী হলে অবসান ঘটবে সব জল্পনার। সম্প্রতি সিলেট আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে ঢাকায় দলের হাই কমান্ডের এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় সবাই প্রার্থী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু ড. মোমেনকে রেখে নিজে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক নন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ নিয়ে তিনি এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।
এই অবস্থায় সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনেরও। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে তিনি শতভাগ প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েও দিয়েছেন। ছহুল হোসাইনের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ছহুল হোসাইন সাড়া দিয়েছেন। এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েও দিয়েছেন। এ কারণে এখন ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ছহুল হোসাইনের আপন ভাতিজা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন সজীব মানবজমিনকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন প্রস্তুত। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি সিলেটে চলে আসবেন। এরপর শুরু করবেন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ছহুল হোসাইনের যোগাযোগ চলছে। তবে সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি তার জানা নেই। দেখা হলেও সেটি ছহুল হোসাইন তাদের জানাননি বলে জানান সজীব।
সিলেটের কাজিটুলার বনেদি পরিবারের সন্তান সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন। বিগত কয়েক যুগ ধরে ঘুরে-ফিরেই তার পরিবারের সদস্যরা ওই এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন। পরিবারের রয়েছে আলাদা সুখ্যাতি। ছহুল হোসাইন জেলা জজ হিসেবে দীর্ঘ দিন দেশের বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইন বিষয়ে তার প্রকাশনাও রয়েছে। এ ছাড়া তিনি আইন সচিব পদেও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ জরুরি জমানায় নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনের পর তিনি অবসরে রয়েছেন। এখন রাজনীতিতে নামতে চান ছহুল হোসাইন। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা তার। এ কারণে সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতা চেয়ে গত দুই বছর ধরে কাজ করছেন। ছহুল হোসাইন এখন নিজের শহরে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হলেও এখনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক মঞ্চে ওঠেননি।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওয়ার জানিয়েছেন, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের কাছে পাঠাবেন। এবং যাকে পাঠাবেন তাকে নিয়ে আমরা আগামী সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবো। সিলেটে আওয়ামী লীগ একত্রিত হয়ে নামলে সংসদ নির্বাচনের জয় থাকবে নৌকার পক্ষে। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্ষমতাসীন থাকার কারণে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভেদের ফলস্বরূপ সিলেট-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তারা দুইজন অর্থমন্ত্রীকে অতীতে মুরব্বি মানলেও এখন তারা সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এই দুই নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দুটি বলয় সিলেটের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই বিভেদ অনেকটা কাজ করবে বলে মনে করেন তারা।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেই তিনি নির্বাচন করতে চলে আসবেন জন্মস্থান সিলেটে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার খবরটি রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।
এরপরও সব আলোচনা-সমালোচনাকে উপেক্ষা করে ছহুল হোসাইন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করে ভোটযুদ্ধে নামার ঘোষণা দেন। এমনকি গণভবনে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সাক্ষাৎকারেও উৎসাহের সঙ্গে যোগদান করেন। এর প্রায় দুই মাস আগে থেকে তিনি নিজ শহর সিলেট-১ আসনে নির্বাচনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। আর তার পছন্দের তালিকায় ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। ছহুল হোসাইন নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিলেও তার সামনে পাহাড়সম বাধা রয়েছে সিলেটে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তার পরিবারের বলয় থেকে আওয়ামী লীগের টিকিট ছিটকে পড়লে তার ভাগ্য খুলতে পারে। কিন্তু নৌকার কাণ্ডারি হতে খোদ অর্থমন্ত্রী পরিবারেই মুখিয়ে আছেন একাধিক প্রার্থী।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজনীতি, মন্ত্রিত্ব সবকিছু থেকে নিজেকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক আগেই। বার বার তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়ে এবারের নির্বাচনের পর অবসর নেবেন বলেও জানিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পর অনুজ ড. একে আবদুল মোমেন এসেছেন প্রকাশ্যে। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হতে তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রী পরিবার নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে সিলেটে। ড. মোমেনকে এবার প্রার্থী চান না অনেকেই। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে প্রার্থী হিসেবে মানছেন সবাই। অর্থমন্ত্রী প্রার্থী হলে দলের ভেতরে থাকা বিরোধী জোটের মুখেও লাগাম থাকবে। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার সাহসও পাবে না কেউ। কিন্তু অর্থমন্ত্রী প্রার্থী হতে চাচ্ছেন না। তিনি নিজ থেকেই এ আসন ছাড় দিতে চান ছোট ভাই ড. একে আবদুল মোমেনকে।
কিন্তু মুখে অর্থমন্ত্রী এ কথা বললেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তিনি এবার নিজেও প্রার্থী হয়েছেন। সিলেট-১ আসনে তিনিও মনোনয়ন চেয়েছেন। অর্থমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রীকে প্রার্থী চান তার ছেলে সাহেদ মুহিত ও তার স্ত্রী। এ কারণে সাহেদ মুহিত নিজে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর জন্য মনোনয়নপত্র দলীয় কার্যালয় থেকে ক্রয় করে আনেন। অর্থমন্ত্রী ছোট ভাই ড. মোমেনের জন্য মনোনয়ন কিনতে গেলেও তার পক্ষে মনোনয়ন ক্রয় করা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এরপর অর্থমন্ত্রী সেই মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের ছেলে ও পুত্রবধূ ছাড়াও দলের হাইকমান্ডের ৪-৫ জন নেতা রয়েছেন। তারা এবার অর্থমন্ত্রীকে আবারো নির্বাচনে দেখতে চান। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ অর্থমন্ত্রীকে প্রার্থী করার ব্যাপারে খুব আশাবাদী। তিনি আগে থেকেই এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বলে অর্থমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে।
মনোনয়ন নিয়ে অর্থমন্ত্রী পরিবারের দ্বিধাদ্বন্দ্বের বিষয়টি এখন আর সিলেট আওয়ামী লীগের কারো অজানা নয়। এ জন্য এখনই বলা যাচ্ছে না সিলেট-১ আসনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। ড. মোমেনকে বাদ দিয়ে অর্থমন্ত্রী ফের নৌকার প্রার্থী হলে অবসান ঘটবে সব জল্পনার। সম্প্রতি সিলেট আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে ঢাকায় দলের হাই কমান্ডের এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় সবাই প্রার্থী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু ড. মোমেনকে রেখে নিজে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক নন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ নিয়ে তিনি এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।
এই অবস্থায় সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনেরও। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে তিনি শতভাগ প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েও দিয়েছেন। ছহুল হোসাইনের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ছহুল হোসাইন সাড়া দিয়েছেন। এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েও দিয়েছেন। এ কারণে এখন ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। ছহুল হোসাইনের আপন ভাতিজা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন সজীব মানবজমিনকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন প্রস্তুত। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি সিলেটে চলে আসবেন। এরপর শুরু করবেন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ছহুল হোসাইনের যোগাযোগ চলছে। তবে সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি তার জানা নেই। দেখা হলেও সেটি ছহুল হোসাইন তাদের জানাননি বলে জানান সজীব।
সিলেটের কাজিটুলার বনেদি পরিবারের সন্তান সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন। বিগত কয়েক যুগ ধরে ঘুরে-ফিরেই তার পরিবারের সদস্যরা ওই এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন। পরিবারের রয়েছে আলাদা সুখ্যাতি। ছহুল হোসাইন জেলা জজ হিসেবে দীর্ঘ দিন দেশের বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইন বিষয়ে তার প্রকাশনাও রয়েছে। এ ছাড়া তিনি আইন সচিব পদেও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ জরুরি জমানায় নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনের পর তিনি অবসরে রয়েছেন। এখন রাজনীতিতে নামতে চান ছহুল হোসাইন। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা তার। এ কারণে সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতা চেয়ে গত দুই বছর ধরে কাজ করছেন। ছহুল হোসাইন এখন নিজের শহরে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হলেও এখনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক মঞ্চে ওঠেননি।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওয়ার জানিয়েছেন, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের কাছে পাঠাবেন। এবং যাকে পাঠাবেন তাকে নিয়ে আমরা আগামী সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবো। সিলেটে আওয়ামী লীগ একত্রিত হয়ে নামলে সংসদ নির্বাচনের জয় থাকবে নৌকার পক্ষে। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্ষমতাসীন থাকার কারণে আওয়ামী লীগের ভেতরে কিছুটা বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভেদের ফলস্বরূপ সিলেট-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তারা দুইজন অর্থমন্ত্রীকে অতীতে মুরব্বি মানলেও এখন তারা সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এই দুই নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দুটি বলয় সিলেটের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই বিভেদ অনেকটা কাজ করবে বলে মনে করেন তারা।
No comments