অপ্রস্তুত বিএনপি by সেলিম জাহিদ
নির্বাচনী
প্রচারণায় নেমে খালেদা জিয়া ও তাঁর গাড়িবহরে বারবার হামলার ঘটনায়
অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে বিএনপি। এমন ‘অবিশ্বাস্য পরিস্থিতি’ হতে পারে, তা
দলটির নেতাদের ভাবনায় ছিল না।
বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় দলের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এর ফলে দল-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য নির্ভরযোগ্য পোলিং এজেন্ট পাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এ পরিস্থিতিতে ভোটাররা কতটা কেন্দ্রমুখী হবেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে দলের নীতিনির্ধারণী মহলে।
তবে ‘সব ধরনের হিংসাত্মক আচরণের মুখেও’ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চায় বিএনপি। তাই দলীয় প্রধানের ওপর হামলা ‘সহ্য করার নীতি’ গ্রহণ করেছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। গত বুধবার বাংলামোটরে হামলার পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে না জড়াতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনাও দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, মানুষ এমনিতেই সরকারবিমুখ হয়ে আছেন। তার ওপর এসব হামলা-মামলার ঘটনায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতি ভোটারদের সহানুভূতি আরও বাড়ছে। তবে নেতাদের এও আশঙ্কা, খালেদা জিয়ার মতো একজন রাজনীতিকের ওপর বারবার হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, যাতে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আস্থা হারাতে পারেন।
এত দিন দলটির নীতিনির্ধারকদের মূল্যায়ন ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জিতবে। আর তাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আরও যৌক্তিক, জোরালো হবে। নেতা-কর্মীরাও মামলা-হামলা থেকে কিছুটা নিষ্কৃতি পাবেন। আর নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তাতে জনগণ ও বিশ্ববাসী আবার বুঝবে আওয়ামী লীগের অধীন সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে সিটি নির্বাচনে জিতলেও বিএনপির লাভ, হারলেও লাভ।
তবে দলের সূত্র বলছে, উত্তরায় নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার পর কারওয়ান বাজার, ফকিরেরপুল ও বাংলামোটরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা অপ্রস্তুত ও হতভম্ব। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচার স্থগিত রাখেন। তবে আগামীকাল শনিবার বা পরদিন রোববার তিনি ঢাকার কোথাও ঘরোয়া সভা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেত্রীর ওপর হামলার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রাখা। আর আমরা গোসসা করে যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করার অপকৌশলও এটি।’
কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এবং বিএনপি হেরে গেলে তা দলে বিভক্তিসহ নতুন করে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তখন মামলার বোঝা আরও বাড়বে।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কেবল মেয়র প্রার্থীর জন্য প্রায় ১০ হাজার পোলিং এজেন্ট লাগবে। এ অবস্থায় দল-সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য আস্থাভাজন পোলিং এজেন্ট জোগাড় করতে তাঁরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী মামলার কারণে আত্মগোপনে আছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২০-দলীয় জোটের আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ করেই সরকার নির্বাচন দিয়েছে। তারা ভেবেছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, ফাঁকা মাঠে গোল দেবে। এরপর দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীকে সরকার দেখাত, বিএনপি জঙ্গি-সন্ত্রাসী দল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন করারও সাহস নেই। কিন্তু বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের সে হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন সরকার হামলা, নির্যাতন করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করতে চাইছে। কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতন যতই হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। সরকার কতটা নগ্ন হতে পারে, আমরা দেখব।’
বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় দলের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এর ফলে দল-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য নির্ভরযোগ্য পোলিং এজেন্ট পাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এ পরিস্থিতিতে ভোটাররা কতটা কেন্দ্রমুখী হবেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে দলের নীতিনির্ধারণী মহলে।
তবে ‘সব ধরনের হিংসাত্মক আচরণের মুখেও’ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চায় বিএনপি। তাই দলীয় প্রধানের ওপর হামলা ‘সহ্য করার নীতি’ গ্রহণ করেছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। গত বুধবার বাংলামোটরে হামলার পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে না জড়াতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনাও দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, মানুষ এমনিতেই সরকারবিমুখ হয়ে আছেন। তার ওপর এসব হামলা-মামলার ঘটনায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতি ভোটারদের সহানুভূতি আরও বাড়ছে। তবে নেতাদের এও আশঙ্কা, খালেদা জিয়ার মতো একজন রাজনীতিকের ওপর বারবার হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে, যাতে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আস্থা হারাতে পারেন।
এত দিন দলটির নীতিনির্ধারকদের মূল্যায়ন ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জিতবে। আর তাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আরও যৌক্তিক, জোরালো হবে। নেতা-কর্মীরাও মামলা-হামলা থেকে কিছুটা নিষ্কৃতি পাবেন। আর নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে তাতে জনগণ ও বিশ্ববাসী আবার বুঝবে আওয়ামী লীগের অধীন সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে সিটি নির্বাচনে জিতলেও বিএনপির লাভ, হারলেও লাভ।
তবে দলের সূত্র বলছে, উত্তরায় নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার পর কারওয়ান বাজার, ফকিরেরপুল ও বাংলামোটরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা অপ্রস্তুত ও হতভম্ব। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচার স্থগিত রাখেন। তবে আগামীকাল শনিবার বা পরদিন রোববার তিনি ঢাকার কোথাও ঘরোয়া সভা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেত্রীর ওপর হামলার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রাখা। আর আমরা গোসসা করে যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করার অপকৌশলও এটি।’
কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাদের আশঙ্কা, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এবং বিএনপি হেরে গেলে তা দলে বিভক্তিসহ নতুন করে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তখন মামলার বোঝা আরও বাড়বে।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কেবল মেয়র প্রার্থীর জন্য প্রায় ১০ হাজার পোলিং এজেন্ট লাগবে। এ অবস্থায় দল-সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য আস্থাভাজন পোলিং এজেন্ট জোগাড় করতে তাঁরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী মামলার কারণে আত্মগোপনে আছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২০-দলীয় জোটের আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ করেই সরকার নির্বাচন দিয়েছে। তারা ভেবেছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, ফাঁকা মাঠে গোল দেবে। এরপর দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীকে সরকার দেখাত, বিএনপি জঙ্গি-সন্ত্রাসী দল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন করারও সাহস নেই। কিন্তু বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের সে হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন সরকার হামলা, নির্যাতন করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করতে চাইছে। কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতন যতই হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। সরকার কতটা নগ্ন হতে পারে, আমরা দেখব।’
No comments