ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া যায় না -তাবিথের পক্ষে প্রচারণার সময় খালেদা জিয়া
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে গতকাল বিকেলে কুড়িল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া l ছবি: প্রথম আলো |
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের
নিরাপত্তা দেওয়া যায় না। যদি তাই হতো পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা
হত্যা হতো না। তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
‘সেনাবাহিনী সেনানিবাসেই থাকবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ডাকলে বাইরে আসবে’—প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারে নেমে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হন। তিনি নতুন বাজার, প্রগতি সরণি হয়ে কুড়িল এলাকায় গিয়ে বক্তব্য দেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে একজন পথচারী বলেন, ‘ম্যাডাম, সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু ভোট হবে না।’
এর পর খালেদা জিয়া বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেনা মোতায়েন করলে মানুষ নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তি মিশনে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। তারা বিদেশেও নির্বাচনে নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছে। তাহলে কেন তারা দেশে নিরাপত্তা দিতে পারবে না? ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া যায় না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা চাই। আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার কারণে পর পর তিন দিন আমাদের গাড়িবহরে হামলা করেছে। আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। তারা ভেবেছিল, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে গেলে তারা জয়লাভ করবে।’ তিনি বলেন, ‘এ অবস্থার মধ্যে আমি বের হয়েছি। তারা মনে করেছিল, গুলি চালিয়ে, হত্যা করে আমার পথরোধ করবে। কিন্তু না, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’
ভোটের দিন সবাইকে সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি নিরাপত্তা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিমুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস, উন্নত রাস্তা চান—তাহলে সঠিক মার্কায় ভোট দিবেন। সঠিক মার্কা হলো—মির্জা আব্বাসের মগ, তাবিথ আউয়ালের বাস ও মনজুর আলমের কমলালেবু।’ তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও জনসংযোগ করতে পারছেন না। নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে প্রচারণা করতে গেলে সেখানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিবেন না। তাহলে নিরাপত্তাহীনতায় ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।’
কুড়িল থেকে খালেদা জিয়া বাড্ডা লিংক রোড হয়ে গুলশান ১ গোলচত্বর ও গুলশান-২ হয়ে বনানীর বনানী মাঠের উল্টো দিকের ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্সে প্রচার চালান। এ সময় স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ম্যাডাম, আমরা ভালো নেই।’ জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, পরিবর্তন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেখান থেকে বনানী হয়ে মহাখালী রেলক্রসিং, জাহাঙ্গীর গেট হয়ে আবার মহাখালী, বনানী হয়ে রাত পৌনে নয়টার দিকে তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।
গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার পর পর তিন দিন কারওয়ান বাজার, ফকিরাপুল ও বাংলামোটর এলাকায় হামলার মুখে পড়ার পর বৃহস্পতিবার প্রচারে নামেননি খালেদা জিয়া। এসব হামলায় খালেদা জিয়ার গাড়িসহ নিরাপত্তাকর্মীদের গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোববার উত্তরায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
গতকাল খালেদা জিয়ার গণসংযোগে কয়েক শ নেতা-কর্মী আগে-পিছে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নেতা সেলিমা রহমান, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার রানু, হাবিব-উন-নবী খান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।
‘সেনাবাহিনী সেনানিবাসেই থাকবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ডাকলে বাইরে আসবে’—প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারে নেমে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হন। তিনি নতুন বাজার, প্রগতি সরণি হয়ে কুড়িল এলাকায় গিয়ে বক্তব্য দেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে একজন পথচারী বলেন, ‘ম্যাডাম, সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু ভোট হবে না।’
এর পর খালেদা জিয়া বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেনা মোতায়েন করলে মানুষ নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তি মিশনে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। তারা বিদেশেও নির্বাচনে নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছে। তাহলে কেন তারা দেশে নিরাপত্তা দিতে পারবে না? ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া যায় না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা চাই। আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার কারণে পর পর তিন দিন আমাদের গাড়িবহরে হামলা করেছে। আমার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। তারা ভেবেছিল, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে গেলে তারা জয়লাভ করবে।’ তিনি বলেন, ‘এ অবস্থার মধ্যে আমি বের হয়েছি। তারা মনে করেছিল, গুলি চালিয়ে, হত্যা করে আমার পথরোধ করবে। কিন্তু না, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’
ভোটের দিন সবাইকে সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি নিরাপত্তা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিমুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস, উন্নত রাস্তা চান—তাহলে সঠিক মার্কায় ভোট দিবেন। সঠিক মার্কা হলো—মির্জা আব্বাসের মগ, তাবিথ আউয়ালের বাস ও মনজুর আলমের কমলালেবু।’ তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও জনসংযোগ করতে পারছেন না। নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে প্রচারণা করতে গেলে সেখানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিবেন না। তাহলে নিরাপত্তাহীনতায় ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।’
কুড়িল থেকে খালেদা জিয়া বাড্ডা লিংক রোড হয়ে গুলশান ১ গোলচত্বর ও গুলশান-২ হয়ে বনানীর বনানী মাঠের উল্টো দিকের ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্সে প্রচার চালান। এ সময় স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ম্যাডাম, আমরা ভালো নেই।’ জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, পরিবর্তন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেখান থেকে বনানী হয়ে মহাখালী রেলক্রসিং, জাহাঙ্গীর গেট হয়ে আবার মহাখালী, বনানী হয়ে রাত পৌনে নয়টার দিকে তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।
গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার পর পর তিন দিন কারওয়ান বাজার, ফকিরাপুল ও বাংলামোটর এলাকায় হামলার মুখে পড়ার পর বৃহস্পতিবার প্রচারে নামেননি খালেদা জিয়া। এসব হামলায় খালেদা জিয়ার গাড়িসহ নিরাপত্তাকর্মীদের গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোববার উত্তরায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
গতকাল খালেদা জিয়ার গণসংযোগে কয়েক শ নেতা-কর্মী আগে-পিছে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নেতা সেলিমা রহমান, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার রানু, হাবিব-উন-নবী খান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।
No comments