কার নিয়ন্ত্রণে ছিল সেই উড়োজাহাজ?
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ হওয়া উড়োজাহাজটি নিয়ে রহস্য দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে। উঠছে নানা প্রশ্নও। উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার আগে একটা সময় গন্তব্যপথ বেইজিংয়ের দিক পরিবর্তন করে সম্ভবত কুয়ালালামপুরের দিকে ফিরতে চেয়েছিল। এই তথ্য প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠেছে, ওই সময় উড়োজাহাজটির নিয়ন্ত্রণ কি অন্য কারও হাতে চলে যায়? যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের যুক্তি উড়োজাহাজটি কুয়ালালামপুরে ফিরে যেতে চেয়েছিল—তার অর্থ হলো, অন্য কেউ উড়োজাহাজটির দিক পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারে। হতে পারে, রাজনৈতিক কারণে ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে কেউ উড়োজাহাজটির গতিপথ পরিবর্তন করানোর চেষ্টা করেছে। যদিও এখনো কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা অন্য কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকার দাবি করেনি। কেউ কেউ বলেছেন, উড়োজাহাজটির পাইলট আত্মহত্যা করতে পারেন। এটা বিরল কোনো ঘটনা নয়। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিসরগামী একটি উড়োজাহাজের পাইলট আত্মহত্যা করলে সেটি আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়। তবে মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজটির ক্ষেত্রে পাইলটের আত্মহত্যা করার তত্ত্ব মানা যায় না।
কারণ বলা হচ্ছে, উড়োজাহাজটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আকাশে উড়েছিল এটি। এই তথ্যটিও উড়োজাহাজটির নিয়ন্ত্রণ অন্য কারও হাতে চলে যাওয়ারই আভাস দেয়। উড়োজাহাজটির নিয়ন্ত্রণ অন্য কারও হাতে চলে যাওয়ার আরেকটি ইঙ্গিত হলো, এর ট্রান্সপন্ডারের (সংকেত আদান-প্রদানের যন্ত্র) সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়া। বলা হচ্ছে, যারা উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিল, তারাই ট্রান্সপন্ডারের সুইচও বন্ধ করে দেয়। উড়োজাহাজটির নিয়ন্ত্রণ যদি সত্যিই অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের হাতে চলে যায়, তাহলে এটা নিশ্চিত, ওই ব্যক্তিরা বেসামরিক বিমান চলাচল সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখেই। এমনকি এটাও জানেন, কীভাবে ট্রান্সপন্ডার অকার্যকর করে ফেলা যায়। মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে আট দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রার এক ঘণ্টা পরই উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিএনএন।
No comments