রাজনীতি করতে হলে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে :প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন, বাংলাদেশে এ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস চলবে না। রাজনীতি করতে হলে
সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে, গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসতে হবে। যত বড় মুরবি্বই
থাকুক, যত বড় শক্তিই তাদের পাশে থাকুক না কেন, এই জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীদের
কেউই রক্ষা করতে পারবে না। গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়
কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি
আরও বলেন, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে যা যা প্রয়োজন, আমরা
তাই করব। এই জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ৫
জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠনের পর ক্ষমতাসীন
দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রথমবারের মতো এই বৈঠকে বসল। এ সময়
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'আমাদের এখন অনেক দায়িত্ব। যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাস
ও জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে হবে। জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশ ও
দেশবাসীকে রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত
সংখ্যালঘুদের পাশেও দাঁড়াতে হবে।
নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন এবং বিএনপি-জামায়াত এতে জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা দেখে ২০০১ সালের কথা মনে পড়ে যায়। তারা এবার নির্বাচনে আসেনি, তাতেই এ অবস্থা। নির্বাচনে এলে এবং আল্লাহ না করুক, তারা ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও দ্বিগুণ হামলা ও নির্যাতন হতো। তাই তারা নির্বাচনে না আসায় একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। তিনি বলেন, এই যে নিরীহ মানুষগুলো, তাদের অপরাধ কী? ভোট দেওয়াই কী তাদের অপরাধ? বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে। বিএনপি অপরাধীদের সঙ্গে আছে। অপরাধ সংঘটনই তাদের কাজ। সুতরাং তারা অপরাধ করবে এটাই স্বাভাবিক।
নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ ও তাদের পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার ৫ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছি। ঘরের ডিজাইনও করে দিয়েছি। তাদের স্যানিটারি ল্যাট্রিনও করে দেওয়া হবে। নির্বাচন বর্জন ও তা প্রতিহতে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়ে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে, সেজন্য তারা পেট্রোল ঢেলে মানুষ হত্যা করেছে। কেউ তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি গরুভর্তি গাড়িতেও তারা আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, এটি কোনো আন্দোলন নয়। জনগণকে সম্পৃক্ত করে তারা এ আন্দোলন করতে পারেনি। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষ হত্যার উৎসব শুরু করেছিল তারা। এটি সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তবে সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে এমন দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এত বাধা সত্ত্বেও ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। তারা যে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, তারই প্রমাণ রেখেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য দেশের জনগণ এবং প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দনও জানান তিনি। নতুন সরকার শপথ গ্রহণের পর দেশে স্বস্তি ফিরে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। অতীতের সব নির্বাচনেই কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে। আমরা সরকার গঠনের পর দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। যদিও জনগণের শান্তি দেখলে বিএনপিনেত্রীর ভালো লাগে না। তবে দেশের জনগণ আমাদের পাশে আছে। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ আধুনিক মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা যোগ দেন।
নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন এবং বিএনপি-জামায়াত এতে জড়িত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা দেখে ২০০১ সালের কথা মনে পড়ে যায়। তারা এবার নির্বাচনে আসেনি, তাতেই এ অবস্থা। নির্বাচনে এলে এবং আল্লাহ না করুক, তারা ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও দ্বিগুণ হামলা ও নির্যাতন হতো। তাই তারা নির্বাচনে না আসায় একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। তিনি বলেন, এই যে নিরীহ মানুষগুলো, তাদের অপরাধ কী? ভোট দেওয়াই কী তাদের অপরাধ? বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে। বিএনপি অপরাধীদের সঙ্গে আছে। অপরাধ সংঘটনই তাদের কাজ। সুতরাং তারা অপরাধ করবে এটাই স্বাভাবিক।
নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ ও তাদের পুনর্বাসনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার ৫ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছি। ঘরের ডিজাইনও করে দিয়েছি। তাদের স্যানিটারি ল্যাট্রিনও করে দেওয়া হবে। নির্বাচন বর্জন ও তা প্রতিহতে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়ে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে, সেজন্য তারা পেট্রোল ঢেলে মানুষ হত্যা করেছে। কেউ তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি গরুভর্তি গাড়িতেও তারা আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, এটি কোনো আন্দোলন নয়। জনগণকে সম্পৃক্ত করে তারা এ আন্দোলন করতে পারেনি। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষ হত্যার উৎসব শুরু করেছিল তারা। এটি সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তবে সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে এমন দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এত বাধা সত্ত্বেও ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। তারা যে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, তারই প্রমাণ রেখেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য দেশের জনগণ এবং প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দনও জানান তিনি। নতুন সরকার শপথ গ্রহণের পর দেশে স্বস্তি ফিরে এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। অতীতের সব নির্বাচনেই কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে। আমরা সরকার গঠনের পর দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। যদিও জনগণের শান্তি দেখলে বিএনপিনেত্রীর ভালো লাগে না। তবে দেশের জনগণ আমাদের পাশে আছে। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে সুখী, সমৃদ্ধ আধুনিক মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা যোগ দেন।
No comments