তদন্ত নিয়ে তদন্ত সংস্থাও 'হতাশ' by আতাউর রহমান
রাজধানীর গোপীবাগে সিক্স মার্ডার নিয়ে
গোলকধাঁধায় পড়েছে পুলিশ। আলোচিত এ হত্যা মামলায় তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ যে
ধারণা নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে, সে ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো কোনো
তথ্যই পায়নি। হত্যাকাণ্ডের এক মাস পার হতে চললেও কোনো খুনিকেই শনাক্ত করা
যায়নি। খুনের কারণ উদ্ঘাটনও সম্ভব হয়নি। এমনকি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো
অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। কার্যত সন্দেহের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে সিক্স
মার্ডারের তদন্ত কার্যক্রম। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণার সঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য ও
আলামতে কোনো মিল খুঁজে না পাওয়ায় তারাও হতাশ হচ্ছেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর
রাজধানীর গোপীবাগের ৬৪/৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় খুন হন কথিত পীর লুৎফোর রহমান
ফারুক, তার বড় ছেলে সারোয়ার ইসলাম ফারুক ওরফে মনি, লুৎফোরের অনুসারী
মঞ্জুরুল আলম, মো. রাসেল, মো. শাহীন ও মজিবুর সরকার। লুৎফোর রহমানের ছোট
ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে ওয়ারী থানায়
মামলা করেন। আসামিরা অনুসারীর বেশে বাসায় ঢুকে পরিকল্পিতভাবে ছয়জনকে খুন
করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবির এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, শুরুতে তাদের ধারণা ছিল, খুনিদের দ্রুতই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ জন্য সন্দেহভাজনদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। তবে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে উল্লেখ করার মতো কোনো তথ্য পায়নি তদন্ত সংস্থা। ফলে তদন্ত কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এর পর ভিন্ন পন্থায় তদন্ত শুরু করেছে ডিবি পুলিশ।
আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আবু আল খায়ের মাতুব্বর সমকালকে বলেন, এ পর্যন্ত নিহত লুৎফোরের পরিবারের সদস্য, স্বজন ও অনুসারী মিলিয়ে অন্তত অর্ধশত লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উল্লেখ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তাই সন্দেহজনক সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তাদের ধারণা ছিল, হয়তো খুনিরা লুৎফোরকে ফোন দিয়েই বাসায় ঢুকেছিল। হত্যাকাণ্ডের পরও ওই বাসা থেকে খুনিরা ফোনে কথা বলেছে_ এমন ধারণা থাকলেও এখনও এ ধরনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, যা থেকে হত্যাকারীরা শনাক্ত হতে পারে। হত্যাকারীরা উল্লেখ করার মতো কোনো আলামত ফেলে রেখে যায়নি, যা দিয়ে তদন্ত সামনের দিকে নেওয়া যেতে পারে। নিহত লুৎফোর রহমান ইমাম মাহদীর (আ.) নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় বিভিন্ন 'বিভ্রান্তিকর' মতবাদ প্রচার করতেন। এসব মতবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কোনো উগ্র গোষ্ঠী সিক্স মার্ডারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে নিহতের পরিবার ও তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশের সন্দেহ। তবে হত্যাকাণ্ডের ২৬ দিন পার হলেও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় নিহতের পরিবারের মধ্যে নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিহত লুৎফোরের ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক, লুৎফোরের স্ত্রী সালমা বেগম ও নিহত সারোয়ারের স্ত্রী ফেরদৌসী তালুকদার বীথি গোপীবাগের বাসা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের চলাফেরাও সীমিত হয়ে গেছে। আবদুল্লাহ আল ফারুক সমকালকে বলেন, খুনিরা তার বাবা, ভাইসহ ছয়জনকে খুন করার পর তাকে হত্যা করার জন্য বাসায় খুঁজেছে। তিনি ওই সময় বাসায় না থাকায় বেঁচে গেলেও এখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যু-আতঙ্কে ভুগছেন। খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাদের পুরো পরিবারই আতঙ্কে রয়েছে। ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ছয়জনকে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ধর্মীয় উগ্র গোষ্ঠীর যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত_ এমন কয়েকজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এসব উগ্র গোষ্ঠীর সদস্যরা কে, কোথায়_ সে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ধরনের কেউ কারাগারে থাকলে প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবির এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, শুরুতে তাদের ধারণা ছিল, খুনিদের দ্রুতই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এ জন্য সন্দেহভাজনদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজনকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়। তবে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে উল্লেখ করার মতো কোনো তথ্য পায়নি তদন্ত সংস্থা। ফলে তদন্ত কর্মকর্তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এর পর ভিন্ন পন্থায় তদন্ত শুরু করেছে ডিবি পুলিশ।
আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আবু আল খায়ের মাতুব্বর সমকালকে বলেন, এ পর্যন্ত নিহত লুৎফোরের পরিবারের সদস্য, স্বজন ও অনুসারী মিলিয়ে অন্তত অর্ধশত লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উল্লেখ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তাই সন্দেহজনক সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত কার্যক্রম চলছে। এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তাদের ধারণা ছিল, হয়তো খুনিরা লুৎফোরকে ফোন দিয়েই বাসায় ঢুকেছিল। হত্যাকাণ্ডের পরও ওই বাসা থেকে খুনিরা ফোনে কথা বলেছে_ এমন ধারণা থাকলেও এখনও এ ধরনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, যা থেকে হত্যাকারীরা শনাক্ত হতে পারে। হত্যাকারীরা উল্লেখ করার মতো কোনো আলামত ফেলে রেখে যায়নি, যা দিয়ে তদন্ত সামনের দিকে নেওয়া যেতে পারে। নিহত লুৎফোর রহমান ইমাম মাহদীর (আ.) নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় বিভিন্ন 'বিভ্রান্তিকর' মতবাদ প্রচার করতেন। এসব মতবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কোনো উগ্র গোষ্ঠী সিক্স মার্ডারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে নিহতের পরিবার ও তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশের সন্দেহ। তবে হত্যাকাণ্ডের ২৬ দিন পার হলেও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় নিহতের পরিবারের মধ্যে নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিহত লুৎফোরের ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক, লুৎফোরের স্ত্রী সালমা বেগম ও নিহত সারোয়ারের স্ত্রী ফেরদৌসী তালুকদার বীথি গোপীবাগের বাসা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের চলাফেরাও সীমিত হয়ে গেছে। আবদুল্লাহ আল ফারুক সমকালকে বলেন, খুনিরা তার বাবা, ভাইসহ ছয়জনকে খুন করার পর তাকে হত্যা করার জন্য বাসায় খুঁজেছে। তিনি ওই সময় বাসায় না থাকায় বেঁচে গেলেও এখন প্রতিমুহূর্তে মৃত্যু-আতঙ্কে ভুগছেন। খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাদের পুরো পরিবারই আতঙ্কে রয়েছে। ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ছয়জনকে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ধর্মীয় উগ্র গোষ্ঠীর যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত_ এমন কয়েকজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এসব উগ্র গোষ্ঠীর সদস্যরা কে, কোথায়_ সে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ধরনের কেউ কারাগারে থাকলে প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
No comments