কুষ্টিয়ায় শতাধিক চাতাল বন্ধ ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
টানা হরতাল-অবরোধ ও সহিংস রাজনৈতিক
পরিস্থিতির কারণে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাল মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে অস্থিরতা
বিরাজ করছে। হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি আপাতত বন্ধ হলেও আগের লোকসান
কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কয়েক মাস ধরেই
চালের বাজারে থেমে থেমে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক
চাতাল। অস্থিরতার কারণে দেউলিয়া হতে বসেছেন দেশের অন্যতম বৃহৎ চালের মোকাম
কুষ্টিয়ার খাজানগরের চাল ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে
শতাধিক চাতালে। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে বাকিগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে বলে
শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খাজানগরের ব্যবসায়ীরা। তিনি্ন অ্যাগ্রো ফুডের মালিক
মোমিন মণ্ডল বলেন, টানা হরতাল-অবরোধে বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন এসব
কর্মসূচি না থাকলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কমপক্ষে এক বছর লাগবে। স্বল্প পুঁজি
আর মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ে ঝুঁকলেও ঋণের বোঝা বেড়ে গিয়ে দেউলিয়া
হওয়ার উপক্রম হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা না করতে পারায় অনেক ব্যবসায়ী
ব্যাংকের দেনা পরিশোধ করতে পারছেন না বলেও জানা গেছে। চাতাল শ্রমিক রিজিয়া ও
আফরোজা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বেকার। মালিক চাতাল বন্ধ করে দিয়েছে। এখন
সুদে টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। চাতাল কবে চালু হবে তার ঠিক নেই।
স্থানীয় চালকল মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ার পর বাইরে
থেকে ধান আসা বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে চাল উৎপাদনও বন্ধ রাখতে হয়। এ অবস্থায়
অনেক মালিকই শ্রমিক ছাঁটাই করেন। এখন ধান আসা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে
স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টানা অবরোধের মধ্যে ব্যবসায়ীদের অর্ডার পেয়েও চাল সরবারহ করতে পারেননি চাতাল মালিকরা। বাইরে থেকে ধান কিনেও আনতে পারেননি তারা। অবরোধের মধ্যে রাজশাহী থেকে ধান আনতে গিয়ে অবরোধকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে কুষ্টিয়াসহ দেশের অন্যতম বৃহৎ চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রশিদ অ্যাগ্রো ফুডের ধানবোঝাই ৪টি ট্রাক। এতেই তার প্রায় এক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। স্বর্ণ অটো রাইস মিলের একটি ট্রাক পুড়িয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এর পর ভয়ে অর্ডার পেয়েও অনেকে চাল সরবরাহ করেননি। দাদা রাইস মিলের মালিক জানান, গত দুই মাসে এখানকার ব্যসায়ীদের প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। একই রকম কথা বলেন, ভাই ভাই, বিসমিল্লাহ ও থ্রি-স্টার রাইস মিলের মালিক। রশিদ অ্যাগ্রো ফুডের ম্যানেজার আবদুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাদের ব্যবসা ভেঙে পড়েছে। কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসার জন্য ভালো পরিবেশ চাই। হরতাল-অবরোধের কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ বাবুল বলেন, চাতাল মালিকরা দেউলিয়া হওয়ার পথে। তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ব্যাংকের সুদ যেন মওকুফ করা হয়। ব্যাংক সুদ মওকুফ করা না হলে অনেকের প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে। এ ছাড়া হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচিও আমরা চাই না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টানা অবরোধের মধ্যে ব্যবসায়ীদের অর্ডার পেয়েও চাল সরবারহ করতে পারেননি চাতাল মালিকরা। বাইরে থেকে ধান কিনেও আনতে পারেননি তারা। অবরোধের মধ্যে রাজশাহী থেকে ধান আনতে গিয়ে অবরোধকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে কুষ্টিয়াসহ দেশের অন্যতম বৃহৎ চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রশিদ অ্যাগ্রো ফুডের ধানবোঝাই ৪টি ট্রাক। এতেই তার প্রায় এক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। স্বর্ণ অটো রাইস মিলের একটি ট্রাক পুড়িয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এর পর ভয়ে অর্ডার পেয়েও অনেকে চাল সরবরাহ করেননি। দাদা রাইস মিলের মালিক জানান, গত দুই মাসে এখানকার ব্যসায়ীদের প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। একই রকম কথা বলেন, ভাই ভাই, বিসমিল্লাহ ও থ্রি-স্টার রাইস মিলের মালিক। রশিদ অ্যাগ্রো ফুডের ম্যানেজার আবদুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাদের ব্যবসা ভেঙে পড়েছে। কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসার জন্য ভালো পরিবেশ চাই। হরতাল-অবরোধের কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ বাবুল বলেন, চাতাল মালিকরা দেউলিয়া হওয়ার পথে। তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ব্যাংকের সুদ যেন মওকুফ করা হয়। ব্যাংক সুদ মওকুফ করা না হলে অনেকের প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেনা শোধ করতে হবে। এ ছাড়া হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচিও আমরা চাই না।
No comments