জাতিসংঘের কাছে শীর্ষ দেনাদার যুক্তরাষ্ট্র, পাওনাদার বাংলাদেশ by শিহাবউদ্দীন কিসলু
আর্থিক টানাটানিতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে
জাতিসংঘ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সদস্য চাঁদা ও
প্রতিশ্রুত অর্থ পরিশোধে বিশেষভাবে আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রতিশ্রুত অর্থ পরিশোধ না করার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র,
ব্রাজিল ও ভেনিজুয়েলা। অন্যদিকে জাতিসংঘের কাছে পাওনাদারদের তালিকায়
শীর্ষে রয়েছে ভারত, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা ও নাইজেরিয়া ।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর ম্যানেজমেন্ট ইয়োকো টাকাছু নিজেই জানিয়েছেন সংস্থাটির এই আর্থিক টানাপোড়নের কথা।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ে তিনি আর্থিক এই দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।
জাতিসংঘের শীর্ষ ব্যবস্থাপকের এ বক্তব্যের পরই শীর্ষ আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির প্রশাসন ও বাজেটের এই সঙ্কট সমাধানে পৌঁছাতে উদ্যোগ নিয়েছে খোদ জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ ।
জাতিসংঘের কাছে পাওনাদার রাষ্ট্রগুলোর অর্থ পরিশোধের সম্পর্কে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ইয়োকো টাকাছু ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এবছরের প্রাক্কলনের হিসাব আগামী জানুয়ারির আগে নিশ্চিত করে কিছু জানানো যাবেনা।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হবে বলেও জানান জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত এই শীষ কর্মকর্তা।
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ইয়োকো টাকাছু বলেন ,“জাতিসংঘের প্রশাসনিক ও বাজেট কমিটি, ৫ম কমিটির মতে সামগ্রিক ভাবে জাতিসংঘের অবস্থা ভালো তবে, নিয়মিত বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে খুবই টানাটানি রয়েছে।”
এদিকে জাতিসংঘের প্রশাসনিক ও বাজেটের দায়িত্বে ৫ম কমিটির সভায় ইয়োকো টাকাছু বলেছেন, “এবছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘের যে পরিমান নগদ অর্থ প্রাপ্তির হিসাব অনুমান করা হয়েছে তা ইতিবাচক। কিন্তুু সে হিসাবের বড় অংশ এখনো পাওয়া যায়নি, অপরিশোধিত রয়ে গেছে।”
ইয়োকো টাকাছু এসময় আরো জানান, জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ প্রতিশ্রুত ৯’শ ৪৫ মিলিয়ন ডলার জাতিসংঘকে এখনো পরিশোধ করা হয়নি। ২০১২ সালের এই সময়ে (অক্টোবর)পর্যন্ত এই অপরিশোধিত অর্থের পরিনাম ছিল ৮’শ ৫৫ মিলিয়ন ডলার। এবছর ১ অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত জাতিসংঘের কাছে নিয়মিত বাজেটে নগদ অর্থ রয়েছে ৫৫ মিলিয়ন ডলার। নিয়মিত বাজেট বাড়াতে বকেয়া পরিশোধে নির্ধারিত ৫ অক্টোবরের সময়সীমার মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৩৪ টি দেশ তাদের বকেয়া পুরোপুরি পরিশোধ করেছে। গত ২০১২ সালের এসময় সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করেছিল ১২৯টি দেশ।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভেনিজুয়েলা প্রতিশ্রুত অর্থ বা বকেয়া পরিশোধ না করার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৭’শ ৯৫ মিলিয়ন, ব্রাজিলের কাছে ৭৫ মিলিয়ন এবং ভেনিজুয়েলার কাছে ২২ মিলিয়ন ডলার দেনা রয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ৫৩ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে অন্য ৫৬টি দেশের কাছে । তবে সেপ্টেম্বরে ‘পিস কিপিং’ (শান্তি মিশন) এর খাতে যুক্তরাষ্ট্রে ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
সামগ্রিক বাজেটে ৪টি খাতের দ্বিতীয় শান্তি মিশন খাতে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় বেড়েছে জাতিসংঘের। ২০১২ সালে এই ব্যয় বাড়ে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে শান্তি মিশনে পুলিশ ইউনিট ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অর্থ পরিশোধে জাতিসংঘের দেনার পরিমান ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫’শ ২৫ মিলিয়নে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ৪’শ ২৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে বলে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের কাছে পাওনাদারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা এবং নাইজেরিয়া ।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের জন্য অপরিশোধিত অর্থের পরিমান ৬০ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৬৩ মিলিয়নের তুলনায় কম। জাতিসংঘের সদর দপ্তরের চলমান সংস্কার কাজের সাথে সম্পৃক্ত ক্যপিটাল মাস্টার প্ল্যানে (সিএমপি) ১ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেত্রে মাত্র ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর ম্যানেজমেন্ট ইয়োকো টাকাছু নিজেই জানিয়েছেন সংস্থাটির এই আর্থিক টানাপোড়নের কথা।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ে তিনি আর্থিক এই দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।
জাতিসংঘের শীর্ষ ব্যবস্থাপকের এ বক্তব্যের পরই শীর্ষ আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির প্রশাসন ও বাজেটের এই সঙ্কট সমাধানে পৌঁছাতে উদ্যোগ নিয়েছে খোদ জাতিসংঘ সাধারন পরিষদ ।
জাতিসংঘের কাছে পাওনাদার রাষ্ট্রগুলোর অর্থ পরিশোধের সম্পর্কে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ইয়োকো টাকাছু ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এবছরের প্রাক্কলনের হিসাব আগামী জানুয়ারির আগে নিশ্চিত করে কিছু জানানো যাবেনা।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হবে বলেও জানান জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত এই শীষ কর্মকর্তা।
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ইয়োকো টাকাছু বলেন ,“জাতিসংঘের প্রশাসনিক ও বাজেট কমিটি, ৫ম কমিটির মতে সামগ্রিক ভাবে জাতিসংঘের অবস্থা ভালো তবে, নিয়মিত বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে খুবই টানাটানি রয়েছে।”
এদিকে জাতিসংঘের প্রশাসনিক ও বাজেটের দায়িত্বে ৫ম কমিটির সভায় ইয়োকো টাকাছু বলেছেন, “এবছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘের যে পরিমান নগদ অর্থ প্রাপ্তির হিসাব অনুমান করা হয়েছে তা ইতিবাচক। কিন্তুু সে হিসাবের বড় অংশ এখনো পাওয়া যায়নি, অপরিশোধিত রয়ে গেছে।”
ইয়োকো টাকাছু এসময় আরো জানান, জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ৩৬ শতাংশ অর্থাৎ প্রতিশ্রুত ৯’শ ৪৫ মিলিয়ন ডলার জাতিসংঘকে এখনো পরিশোধ করা হয়নি। ২০১২ সালের এই সময়ে (অক্টোবর)পর্যন্ত এই অপরিশোধিত অর্থের পরিনাম ছিল ৮’শ ৫৫ মিলিয়ন ডলার। এবছর ১ অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত জাতিসংঘের কাছে নিয়মিত বাজেটে নগদ অর্থ রয়েছে ৫৫ মিলিয়ন ডলার। নিয়মিত বাজেট বাড়াতে বকেয়া পরিশোধে নির্ধারিত ৫ অক্টোবরের সময়সীমার মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৩৪ টি দেশ তাদের বকেয়া পুরোপুরি পরিশোধ করেছে। গত ২০১২ সালের এসময় সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করেছিল ১২৯টি দেশ।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভেনিজুয়েলা প্রতিশ্রুত অর্থ বা বকেয়া পরিশোধ না করার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৭’শ ৯৫ মিলিয়ন, ব্রাজিলের কাছে ৭৫ মিলিয়ন এবং ভেনিজুয়েলার কাছে ২২ মিলিয়ন ডলার দেনা রয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ৫৩ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে অন্য ৫৬টি দেশের কাছে । তবে সেপ্টেম্বরে ‘পিস কিপিং’ (শান্তি মিশন) এর খাতে যুক্তরাষ্ট্রে ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।
সামগ্রিক বাজেটে ৪টি খাতের দ্বিতীয় শান্তি মিশন খাতে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় বেড়েছে জাতিসংঘের। ২০১২ সালে এই ব্যয় বাড়ে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে শান্তি মিশনে পুলিশ ইউনিট ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অর্থ পরিশোধে জাতিসংঘের দেনার পরিমান ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫’শ ২৫ মিলিয়নে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ৪’শ ২৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে বলে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের কাছে পাওনাদারদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা এবং নাইজেরিয়া ।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের জন্য অপরিশোধিত অর্থের পরিমান ৬০ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৬৩ মিলিয়নের তুলনায় কম। জাতিসংঘের সদর দপ্তরের চলমান সংস্কার কাজের সাথে সম্পৃক্ত ক্যপিটাল মাস্টার প্ল্যানে (সিএমপি) ১ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেত্রে মাত্র ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।
No comments