সরকারও অখুশি, সংসদে ক্ষোভ
জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের
মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে খুশি হতে পারেনি সরকার ও আওয়ামী লীগ।
সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক ও জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এ রায়ে ক্ষোভ ও হতাশা
প্রকাশ করেছেন।
মহাজোটের শরিক দলের সাংসদেরাও গতকাল
মঙ্গলবার সংসদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেন, এই রায়ে
দেশের মানুষ হতাশ ও অপমানিত হয়েছে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন
নীতিনির্ধারক, মন্ত্রী-সাংসদ রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে
রাজি হননি। গতকাল জাতীয় সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির সময়ও দলীয় সাংসদেরা
জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের ঘিরে ধরে তাঁদের হতাশা ও অসন্তুষ্টির কথা জানান।
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের পর নানা মহলে আলোচনা হয়, সরকার ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে কোনো গোপন সমঝোতা হয়েছে কি না। বিশেষ করে গত দুই দিনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করায় মানুষের মধ্যে এ সন্দেহ বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরাও বিভিন্ন মহল থেকে এ রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী প্রথম আলোকে জানান, তাঁর কাছে অন্তত ২০ জন সাংসদ রায়ের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরেকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে তাঁর অনেক বন্ধু সরকার ও জামায়াতের মধ্যে সমঝোতার প্রশ্ন তুলেছেন। এ রকম প্রশ্নের মুখে একপর্যায়ে তিনি ফেসবুক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। সরকারের সঙ্গে জামায়াতের কোনো অপসরফা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সরকারের একজন নীতিনির্ধারক ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘কে সমঝোতা করল, তা আমরাও জানার চেষ্টা করছি।’
তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে এ রকম সমঝোতার কথা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন সর্বোচ্চ শাস্তি হলো না, তা সম্পূর্ণ রায় না পড়ে বলা যাবে না।’
আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলোও রায়ে খুশি হতে পারেনি। গতকাল ১৪ দলের বৈঠকে রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতার সঙ্গে কথা বললে এ রায় প্রত্যাশিত নয় বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।
সংসদে ক্ষোভ: গতকাল সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর অনির্ধারিত আলোচনার সূচনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। তবে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত আলোচনা বেশি দূর এগোয়নি। তিনি বিষয়টি নিয়ে একটি নির্ধারিত তারিখে আলোচনার জন্য ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর প্রতি অনুরোধ জানান।
মেনন বলেন, ‘আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কারণ, আমাদের জন্য আজকের দিনটি বেদনার। এই সংসদে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বিচার বানচাল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। জাতীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামী নাশকতা চালাচ্ছে।’ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ প্রমাণিত। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি কাম্য ছিল। কিন্তু শাস্তি হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই রায়ে সবার মন ভেঙে গেছে। আমরা সাপ নিয়ে খেলছি। সাপের মুখে চুমু দিতে নেই। সুযোগ পেলে সেই সাপ ছোবল দেবে।’
জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে আদালত মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। একজন কসাইয়ের বিরুদ্ধে এই রায়ে মানুষ অপমানিত ও ক্ষুব্ধ।
সংসদের অধিবেশন আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের পর নানা মহলে আলোচনা হয়, সরকার ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে কোনো গোপন সমঝোতা হয়েছে কি না। বিশেষ করে গত দুই দিনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করায় মানুষের মধ্যে এ সন্দেহ বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরাও বিভিন্ন মহল থেকে এ রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী প্রথম আলোকে জানান, তাঁর কাছে অন্তত ২০ জন সাংসদ রায়ের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আরেকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে তাঁর অনেক বন্ধু সরকার ও জামায়াতের মধ্যে সমঝোতার প্রশ্ন তুলেছেন। এ রকম প্রশ্নের মুখে একপর্যায়ে তিনি ফেসবুক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। সরকারের সঙ্গে জামায়াতের কোনো অপসরফা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সরকারের একজন নীতিনির্ধারক ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘কে সমঝোতা করল, তা আমরাও জানার চেষ্টা করছি।’
তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রথম আলোর প্রশ্নের জবাবে এ রকম সমঝোতার কথা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন সর্বোচ্চ শাস্তি হলো না, তা সম্পূর্ণ রায় না পড়ে বলা যাবে না।’
আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলোও রায়ে খুশি হতে পারেনি। গতকাল ১৪ দলের বৈঠকে রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতার সঙ্গে কথা বললে এ রায় প্রত্যাশিত নয় বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।
সংসদে ক্ষোভ: গতকাল সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর অনির্ধারিত আলোচনার সূচনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। তবে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত আলোচনা বেশি দূর এগোয়নি। তিনি বিষয়টি নিয়ে একটি নির্ধারিত তারিখে আলোচনার জন্য ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর প্রতি অনুরোধ জানান।
মেনন বলেন, ‘আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কারণ, আমাদের জন্য আজকের দিনটি বেদনার। এই সংসদে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ বিচার বানচাল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। জাতীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামী নাশকতা চালাচ্ছে।’ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ প্রমাণিত। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি কাম্য ছিল। কিন্তু শাস্তি হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই রায়ে সবার মন ভেঙে গেছে। আমরা সাপ নিয়ে খেলছি। সাপের মুখে চুমু দিতে নেই। সুযোগ পেলে সেই সাপ ছোবল দেবে।’
জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করেনি। তবে আদালত মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। একজন কসাইয়ের বিরুদ্ধে এই রায়ে মানুষ অপমানিত ও ক্ষুব্ধ।
সংসদের অধিবেশন আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
No comments