বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া
জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লার
যাবজ্জীবন সাজার রায় নিয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া
জানিয়েছেন। তাঁরা রায় নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
কেউ কেউ
বলেছেন, অপরাধের ধরন ও রায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই। কেউ বলেন, এই রায় জনতার
রায় নয়, এই রায়ে একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে
করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। কাদের
মোল্লার রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিচার
চেয়েছি এবং বিচার পেয়েছি। এটাই আমার কাছে বড় কথা। আমি কারও বিরুদ্ধে বিশেষ
শাস্তি দাবি করিনি। সুতরাং, বিজ্ঞ বিচারকেরা আইনি প্রক্রিয়ায় যে শাস্তি
নির্ধারণ করেছেন, আমি তা সুবিচার হিসেবেই মেনে নিয়েছি।’
রায় শুনতে এসে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অপরাধের ধরন, ভয়াবহতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে রায়ের সামঞ্জস্যতা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। কিন্তু এই রায় আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। এই রায় বঙ্গবন্ধু, ৩০ লাখ শহীদ, ছয় লাখ বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি বাংলাদেশের জন্মকে অপমান করেছে। আমি বিজ্ঞ বিচারকদের কাছে জানতে চাই, কতজনকে হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে?’ তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বাচ্চু রাজাকারের অভিযোগ
থেকে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আরও জোরালো ও প্রমাণিত। বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হলে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন হয় কী করে?’
মুনতাসীর মামুন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামালও এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার রায় সম্পর্কে সুলতানা কামাল বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে কাদের মোল্লার অপরাধ প্রমাণিত হলো। এর মাধ্যমে তাঁদের অনুশোচনা হোক। তাঁরা জেনে নিন, মানুষ তাঁদের মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে ঘৃণাই করে। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে দেশের সাধারণ মানুষের দাবি ছিল মৃত্যুদণ্ড। তাই এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে রায় শুনতে এসেছিলাম। রায়ে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারিনি, হতাশ হয়েছি।’
সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলব, এ রায় আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। ভয়াবহ অপরাধে কাদের মোল্লার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার পরও এ রায়ে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না, এটাই আমাদের প্রশ্ন।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যাদের মামলা বিচারাধীন, তাদের প্রকৃত সাজা হবে তো?’ এ আশঙ্কার কারণ কী? আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে কোনো আঁতাত হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
রায় শুনতে এসে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অপরাধের ধরন, ভয়াবহতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে রায়ের সামঞ্জস্যতা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। কিন্তু এই রায় আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। এই রায় বঙ্গবন্ধু, ৩০ লাখ শহীদ, ছয় লাখ বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি বাংলাদেশের জন্মকে অপমান করেছে। আমি বিজ্ঞ বিচারকদের কাছে জানতে চাই, কতজনকে হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে?’ তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বাচ্চু রাজাকারের অভিযোগ
থেকে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আরও জোরালো ও প্রমাণিত। বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হলে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন হয় কী করে?’
মুনতাসীর মামুন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামালও এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার রায় সম্পর্কে সুলতানা কামাল বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে কাদের মোল্লার অপরাধ প্রমাণিত হলো। এর মাধ্যমে তাঁদের অনুশোচনা হোক। তাঁরা জেনে নিন, মানুষ তাঁদের মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে ঘৃণাই করে। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে দেশের সাধারণ মানুষের দাবি ছিল মৃত্যুদণ্ড। তাই এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে রায় শুনতে এসেছিলাম। রায়ে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারিনি, হতাশ হয়েছি।’
সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলব, এ রায় আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। ভয়াবহ অপরাধে কাদের মোল্লার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার পরও এ রায়ে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না, এটাই আমাদের প্রশ্ন।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যাদের মামলা বিচারাধীন, তাদের প্রকৃত সাজা হবে তো?’ এ আশঙ্কার কারণ কী? আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে কোনো আঁতাত হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
No comments