সিরিয়ায় দমন অভিযান বন্ধের দাবি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবের
সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের ওপর নির্মম দমন অভিযান অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব। নিজেদের মধ্যে পৃথক টেলিফোন আলাপের সময় গত শনিবার ওই তিন দেশের সরকারপ্রধানেরা এ দাবি জানিয়েছেন। সংস্কারপন্থী আন্দোলন দমাতে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে গতকাল রোববার আরও ২৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিফোন আলাপের সময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ সিরিয়ায় বেসামরিক মানুষের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলায় যৌথভাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা উভয়ই সম্মত হন যে সরকারের দমন-পীড়ন অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।
পৃথক এক টেলিফোন আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিরিয়ার চলমান রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একমত হন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরকারি দমন-পীড়নের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই নেতা বলেন, দেশটির জনগণের গণতন্ত্রে উত্তরণের বৈধ দাবি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর বিশেষ করে চলতি রমজান মাসে সরকারের ‘বর্বরোচিত দমনাভিযানে’ দুই নেতা আতঙ্ক প্রকাশ করেন।
সিরিয়ায় মানবিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর অভিযানে গতকাল লাতাকিয়া শহরে আরও ২৩ জন নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ খবর জানিয়ে বলেছে, দমন-পীড়ন বন্ধে বিশ্বনেতাদের আহ্বান সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, যুদ্ধজাহাজ থেকে ভূমধ্যসাগর-তীরবর্তী লাতাকিয়া শহরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে এবং সেখানকার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া সেনাসদস্যরা গাড়ি নিয়ে শহরে প্রবেশ করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেন। এতে মোট ২৩ জন নিহত ছাড়াও ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠের সাকবা ও হামরিয়া এলাকায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। সেখানকার টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগসহ সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মানবাধিকার সংগঠনটি।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিফোন আলাপের সময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ সিরিয়ায় বেসামরিক মানুষের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলায় যৌথভাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা উভয়ই সম্মত হন যে সরকারের দমন-পীড়ন অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।
পৃথক এক টেলিফোন আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিরিয়ার চলমান রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একমত হন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরকারি দমন-পীড়নের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই নেতা বলেন, দেশটির জনগণের গণতন্ত্রে উত্তরণের বৈধ দাবি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর বিশেষ করে চলতি রমজান মাসে সরকারের ‘বর্বরোচিত দমনাভিযানে’ দুই নেতা আতঙ্ক প্রকাশ করেন।
সিরিয়ায় মানবিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর অভিযানে গতকাল লাতাকিয়া শহরে আরও ২৩ জন নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ খবর জানিয়ে বলেছে, দমন-পীড়ন বন্ধে বিশ্বনেতাদের আহ্বান সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, যুদ্ধজাহাজ থেকে ভূমধ্যসাগর-তীরবর্তী লাতাকিয়া শহরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে এবং সেখানকার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া সেনাসদস্যরা গাড়ি নিয়ে শহরে প্রবেশ করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেন। এতে মোট ২৩ জন নিহত ছাড়াও ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠের সাকবা ও হামরিয়া এলাকায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। সেখানকার টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগসহ সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় মানবাধিকার সংগঠনটি।
No comments