সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা সহ পাকিস্তানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন চীনের
জিয়াং বলেন, এক সঙ্গে এগিয়ে চলার পথে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব ক্রমাগত সুসংহত হয়েছে। তিনি দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে পাহাড়ের চেয়ে সুউচ্চ, সাগরের চেয়ে গভীর ও মধুর থেকেও মিষ্টি বলে অভিহিত করেন। বলেন, বর্তমানে পাকিস্তান সরকার পুরোদমে সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কাজে মনোযোগ দিয়েছে। বলেন, দেশটিতে রপ্তানি ও বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক রিজার্ভে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক ৩ শতাংশের বেশি জাতীয় প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। ১১ বছর ধরে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি), পাকিস্তানের উন্নয়নের ভিত্তি শক্তিশালীকরণ ও দেশটির মানুষের সার্বিক কল্যাণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। জিয়াং বলেন, ৮৫ বছর ধরে পাকিস্তানের ভ্রাতৃসুলভ মানুষ একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান শুধু গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশই না, বরং যেকোনো সংকটে চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জাতিসংঘে চীনের বৈধ আসন পুনরুদ্ধারের বিষয়টি। ওই ঘটনাগুলো উল্লেখ করে জিয়াং বলেন, আমরা তাদের এ সমর্থনের বিষয়টি কখনো ভুলবো না। অনুরূপভাবে, পাকিস্তান যখন কোনো সংকটের সম্মুখীন হয়েছে - তখন দেশটির পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। একটি উজ্জ্বল আগামীর জন্য আমরা হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেন জিয়াং। বলেন, গত বছর পাকিস্তানের বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা উচ্চস্তরের লেনদেনের একটি সম্পর্ক বজায় রেখেছি। জুনে চীন সফরে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। অক্টোবরে পাকিস্তান সফর করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। ফেব্রুয়ারিতে চীন সফর করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। জিয়াং বলেন, এ সকল সফর দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গিত দেয়। সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের নেতাদের তত্ত্বাবধানে সিপিইসি এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে। ভবিষ্যতে চীন-পাকিস্তানের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি, দুই দেশের মধ্যে সর্বকালীন কৌশলগত সহযোগিতা ক্রমাগত সুসংহত করতে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
No comments