২০ দিনে ৩৩ মামলার আসামি by কাফি কামাল
২০১৮
সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ২০শে সেপ্টেম্বর। মাত্র কুড়ি দিন সময়। এ সময়ের
মধ্যেই রাজধানীর ৬ থানায় দায়েরকৃত ৩৩ মামলার সবক’টিতে আসামি হয়েছেন
বিএনপি’র এক নেতা। তার নাম শেখ রবিউল আলম। তিনি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী
কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
বিগত সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর অধিকাংশ থানায় বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কোনো ঘটনা না ঘটলেও কল্পিত
ঘটনায় মামলা দায়েরের কারণে এসব ‘গায়েবি মামলা’ আখ্যা পেয়েছে রাজনৈতিক
মহলে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে সে গায়েবি মামলা।
শেখ রবিউল আলম বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর ৬টি থানায় দায়েরকৃত ৩৩টি মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কলাবাগান থানায় ৭টি, ধানমণ্ডিতে ৬টি, হাজারীবাগে ৪টি, নিউমার্কেটে ৬টি, শাহবাগে ৭টি ও রমনা থানায় ৫টি মামলায় আমার নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে ৩০শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভার পর ধানমণ্ডি ও হাজারীবাগের দুইটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো হয়েছে ১ থেকে ২০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপি’র কর্মসূচি উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে প্রতীকী অনশনের পর। তবে কোনো কর্মসূচি ছাড়াই হয়েছে বেশিরভাগ মামলা। তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর রমনা, পল্টন, শাহবাগসহ কয়েকটি থানায় দায়েরকৃত মামলায় কমন আসামি হিসেবে রয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার নাম। যাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও শেখ রবিউল আলমসহ কয়েকজন। ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতারা জানান, শেখ রবিউল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন শেষে নগর বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় তরুণ এ নেতা ঢাকা-১০ (ধানমণ্ডি) আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। সে হিসেবে ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসনের অন্তর্ভুক্ত ৪ থানায় বেশির ভাগ মামলায় তাকে আসামি করেছে পুলিশ। শেখ রবিউল আলম জানান, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৪৭টির বেশি মামলা রয়েছে। যার সবগুলোই দায়ের হয়েছে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের আমলে।
সেপ্টেম্বর মাসেই ৪১০০ মামলা, সাড়ে তিন লাখ আসামি: ৩০শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় সারা দেশে গায়েবি মামলার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নে মেতে উঠেছে সরকার। চলতি ২০১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৯ দিনে সারা দেশে ৪ হাজার ৯৪টি গায়েবি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩০ জন। মামলাগুলোতে ৪ হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এগুলো সবই গায়েবি মামলা। অভিযোগের কোনো অস্তিত্ব নেই। একেবারেই ভৌতিক মামলা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে ‘আষাঢ়ে গল্পের’ একটা ‘ফরমেট’ সব সময় প্রস্তুত করা থাকে। সময় মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সেগুলো ব্যবহার করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৯৪টি নতুন মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪৮০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকের নাম।
মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩০ জন। নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা মিলিয়ে এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২১০ জন। এই সময়ে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গদলের ৪ হাজার ৩১৯ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের ‘মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়ন তথ্য সেল’-এর সমন্বয়ক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ওসি সালাহউদ্দিন জানান, ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮৬ হাজার ২৪৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামির তালিকায় নাম উঠেছে ২২ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৭ জনের। এ সময় ১৭২ জন জাতীয় পর্যায়ের নেতার নামেই দায়ের করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৪২টি মামলা।
শেখ রবিউল আলম বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর ৬টি থানায় দায়েরকৃত ৩৩টি মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কলাবাগান থানায় ৭টি, ধানমণ্ডিতে ৬টি, হাজারীবাগে ৪টি, নিউমার্কেটে ৬টি, শাহবাগে ৭টি ও রমনা থানায় ৫টি মামলায় আমার নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে ৩০শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভার পর ধানমণ্ডি ও হাজারীবাগের দুইটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো হয়েছে ১ থেকে ২০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপি’র কর্মসূচি উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে প্রতীকী অনশনের পর। তবে কোনো কর্মসূচি ছাড়াই হয়েছে বেশিরভাগ মামলা। তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর রমনা, পল্টন, শাহবাগসহ কয়েকটি থানায় দায়েরকৃত মামলায় কমন আসামি হিসেবে রয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার নাম। যাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও শেখ রবিউল আলমসহ কয়েকজন। ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতারা জানান, শেখ রবিউল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন শেষে নগর বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় তরুণ এ নেতা ঢাকা-১০ (ধানমণ্ডি) আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। সে হিসেবে ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসনের অন্তর্ভুক্ত ৪ থানায় বেশির ভাগ মামলায় তাকে আসামি করেছে পুলিশ। শেখ রবিউল আলম জানান, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৪৭টির বেশি মামলা রয়েছে। যার সবগুলোই দায়ের হয়েছে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের আমলে।
সেপ্টেম্বর মাসেই ৪১০০ মামলা, সাড়ে তিন লাখ আসামি: ৩০শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় সারা দেশে গায়েবি মামলার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নে মেতে উঠেছে সরকার। চলতি ২০১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৯ দিনে সারা দেশে ৪ হাজার ৯৪টি গায়েবি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩০ জন। মামলাগুলোতে ৪ হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এগুলো সবই গায়েবি মামলা। অভিযোগের কোনো অস্তিত্ব নেই। একেবারেই ভৌতিক মামলা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে ‘আষাঢ়ে গল্পের’ একটা ‘ফরমেট’ সব সময় প্রস্তুত করা থাকে। সময় মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সেগুলো ব্যবহার করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৯৪টি নতুন মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৪৮০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকের নাম।
মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩০ জন। নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা মিলিয়ে এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২১০ জন। এই সময়ে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গদলের ৪ হাজার ৩১৯ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের ‘মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়ন তথ্য সেল’-এর সমন্বয়ক পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ওসি সালাহউদ্দিন জানান, ২০০৭ থেকে ২০১৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮৬ হাজার ২৪৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামির তালিকায় নাম উঠেছে ২২ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৭ জনের। এ সময় ১৭২ জন জাতীয় পর্যায়ের নেতার নামেই দায়ের করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৪২টি মামলা।
No comments