দেশে এত লোকেশন তবুও... by এন আই বুলবুল
অপরূপ
সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। শুধু সৌন্দর্য নয়, এটি একটি আবেগেরও নাম।
গ্রামবাংলার অসাধারণ সৌন্দর্য ঘিরে আছে চারদিকে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য ও রূপ, লাবণ্যের কথা বলে শেষ করা যায় না। বাংলাদেশে এমন কোনো
স্থান নেই যেখানে সৌন্দর্যের এতটুকু ভাটা পড়েছে। বিভিন্ন লেখক/কবি এই দেশের
রূপে মুগ্ধ। ছোট এই দেশ রূপ বৈচিত্র্যের বিচারে পৃথিবীতে এক অনন্য স্থান
দখল করে আছে। তাই মনের অজান্তেই কবিমন গেয়ে ওঠে- ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে
পাবে নাকো তুমি/ সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।’ বিশ্বের দীর্ঘতম
সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়, জলপ্রপাত, বনভূমি
এদেশকে করে তুলেছে অপূর্ব রূপময়।
প্রকৃতি কন্যা হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং। স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন আরো অনেক স্থান রয়েছে যেগুলো সবাইকে মুগ্ধ করে। দেশের এমন দর্শনীয় স্থানগুলো সাধারণ মানুষ দেখার সুযোগ পায় দেশীয় নাটক-চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। একটা সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের টিভি নাটকের শুটিং হতো। কিন্তু এখন তা তেমন চোখে পড়ে না। এই সময়ে দেশের বাইরে টিভি নাটকের শুটিং করার প্রবণতা বেড়েছে। সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশকে উপেক্ষা করে বিদেশে নাটকের শুটিংয়ে সুবিধা কী? এই প্রশ্নটি অনেকে আজকাল করছেন। এ ছাড়া গল্পের প্রয়োজনে না কি অন্য কোনো কারণে দেশের বাইরে টিভি নাটকের শুটিং হয় এমন জিজ্ঞাসাও এখন অনেক। সাম্প্রতিক সময়ে নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আমাদের টিভি নাটকের বেশি শুটিং হচ্ছে। সম্প্রতি নেপাল থেকে পাঁচটি নাটকের শুটিং শেষ করে এসেছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী জাকিয়া বারি মম। নেপালে শুটিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের বাইরে শুটিং নিয়ে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। এই বিষয়টি পরিচালকদের। আমি শুধু গল্পটি পছন্দ করি। এরপর কোথায় শুটিং করবেন সেটি পরিচালক সিদ্ধান্ত নেন। দেশের বাইরে শুটিংয়ে কী সুবিধা সেটি আমি জানি না। পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন এই বিষয়ে। সম্প্রতি নেপালে একটি ধারাবাহিক ও চারটি খণ্ড নাটকের শুটিং করেছেন নির্মাতা সৈয়দ শাকিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ধারাবাহিকটি একটি পর্যটন কেন্দ্রের গল্পের ওপর। এটি আমি ইচ্ছে করলে বাংলাদেশের কক্সবাজারে শুটিং করতে পারতাম। কিন্তু নেপালে শুটিং করার একটি বিশেষ কারণ আছে। সেটি হলো কক্সবাজারে শুটিং করলে নেপালের চেয়ে প্রতি পর্বে আমার ১০ হাজার টাকা বেশি খরচ হতো। কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া থেকে অন্য সব কিছুর দাম কিছুটা বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর লোকেশন রয়েছে এটি সত্যি। কিন্তু এসব স্থানগুলোতে শুটিং করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অনুমতি নেয়া, প্রশাসন ঠিক রেখে কাজ করা নির্মাতাদের জন্য অসুবিধা হয়। তবে, অন্যরা কী কারণে দেশের বাইরে শুটিং করছেন সেটি আমি জানি না। চলতি বছরে বাঁধন ড্রিম ভিশন নেপালে ৩১টি নাটকের শুটিং করেছে। নেপালে নাটকের শুটিং করা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহাম্মদ বোরহান খান বলেন, আমি দুটি কারণে নেপালে নাটকগুলোর শুটিং করেছি। এর একটি হলো বিদেশে শুটিং করলে সঠিক সময়ে শিল্পীদের পাওয়া যায়। কিন্তু দেশে প্রতিদিন সঠিক সময়ে শিল্পীদের স্পটে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে স্পটে আসতে দেরি করেন তারা। ফলে সময় মতো শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ছাড়া আমার নাটকগুলো নেপাল কেন্দ্রিক ছিল। দেশের বাইরে শুটিং করার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। অন্যরা গল্পের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কী কারণে দেশের বাইরে শুটিং করছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। নাটক সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশীয় লোকেশনের ওপর নির্মাতাদের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তাহলে টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দেশের মানুষের পাশাপাশি সারা বিশ্ব দেখার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শুটিং করার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নাট্য সংশ্লিষ্টরা।
প্রকৃতি কন্যা হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং। স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন আরো অনেক স্থান রয়েছে যেগুলো সবাইকে মুগ্ধ করে। দেশের এমন দর্শনীয় স্থানগুলো সাধারণ মানুষ দেখার সুযোগ পায় দেশীয় নাটক-চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। একটা সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের টিভি নাটকের শুটিং হতো। কিন্তু এখন তা তেমন চোখে পড়ে না। এই সময়ে দেশের বাইরে টিভি নাটকের শুটিং করার প্রবণতা বেড়েছে। সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশকে উপেক্ষা করে বিদেশে নাটকের শুটিংয়ে সুবিধা কী? এই প্রশ্নটি অনেকে আজকাল করছেন। এ ছাড়া গল্পের প্রয়োজনে না কি অন্য কোনো কারণে দেশের বাইরে টিভি নাটকের শুটিং হয় এমন জিজ্ঞাসাও এখন অনেক। সাম্প্রতিক সময়ে নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আমাদের টিভি নাটকের বেশি শুটিং হচ্ছে। সম্প্রতি নেপাল থেকে পাঁচটি নাটকের শুটিং শেষ করে এসেছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী জাকিয়া বারি মম। নেপালে শুটিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের বাইরে শুটিং নিয়ে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। এই বিষয়টি পরিচালকদের। আমি শুধু গল্পটি পছন্দ করি। এরপর কোথায় শুটিং করবেন সেটি পরিচালক সিদ্ধান্ত নেন। দেশের বাইরে শুটিংয়ে কী সুবিধা সেটি আমি জানি না। পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন এই বিষয়ে। সম্প্রতি নেপালে একটি ধারাবাহিক ও চারটি খণ্ড নাটকের শুটিং করেছেন নির্মাতা সৈয়দ শাকিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ধারাবাহিকটি একটি পর্যটন কেন্দ্রের গল্পের ওপর। এটি আমি ইচ্ছে করলে বাংলাদেশের কক্সবাজারে শুটিং করতে পারতাম। কিন্তু নেপালে শুটিং করার একটি বিশেষ কারণ আছে। সেটি হলো কক্সবাজারে শুটিং করলে নেপালের চেয়ে প্রতি পর্বে আমার ১০ হাজার টাকা বেশি খরচ হতো। কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া থেকে অন্য সব কিছুর দাম কিছুটা বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর লোকেশন রয়েছে এটি সত্যি। কিন্তু এসব স্থানগুলোতে শুটিং করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অনুমতি নেয়া, প্রশাসন ঠিক রেখে কাজ করা নির্মাতাদের জন্য অসুবিধা হয়। তবে, অন্যরা কী কারণে দেশের বাইরে শুটিং করছেন সেটি আমি জানি না। চলতি বছরে বাঁধন ড্রিম ভিশন নেপালে ৩১টি নাটকের শুটিং করেছে। নেপালে নাটকের শুটিং করা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহাম্মদ বোরহান খান বলেন, আমি দুটি কারণে নেপালে নাটকগুলোর শুটিং করেছি। এর একটি হলো বিদেশে শুটিং করলে সঠিক সময়ে শিল্পীদের পাওয়া যায়। কিন্তু দেশে প্রতিদিন সঠিক সময়ে শিল্পীদের স্পটে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে স্পটে আসতে দেরি করেন তারা। ফলে সময় মতো শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ছাড়া আমার নাটকগুলো নেপাল কেন্দ্রিক ছিল। দেশের বাইরে শুটিং করার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। অন্যরা গল্পের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কী কারণে দেশের বাইরে শুটিং করছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। নাটক সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশীয় লোকেশনের ওপর নির্মাতাদের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তাহলে টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দেশের মানুষের পাশাপাশি সারা বিশ্ব দেখার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শুটিং করার সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন নাট্য সংশ্লিষ্টরা।
No comments