একজন সৌদি সাংবাদিককে নিয়ে রহস্য
সৌদি
আরব সরকারের সমালোচক ও সুপরিচিত সাংবাদিক জামাল খাসোগি রহস্যজনকভাবে
নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল সৌদি আরবের কনসুলেটে প্রবেশ করার
পর তার কোনো হদিস নেই। তিনি ওই কনসুলেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নি। ওদিকে
কনসুলেটের বাইরে অবস্থান করছেন তার প্রেমিকা। কিন্তু তিনিও কারো কাছ থেকে
কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না। রিয়াদ থেকে বলা হয়েছে, খাসোগি ইস্তাম্বুলে তাদের
কনসুলেট ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। তবে তুরস্ক ও খাসোগির প্রেমিকা হাতিস বলছেন
ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, খাসোগি ওই ভবনে প্রবেশের পর তিনি কোথায় আছেন কোনো
খবর মিলছে না।
তার কোনো কথাও শোনা যায় নি। এ নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জামাল খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক। তিনি মঙ্গলবার সৌদি আরবের কনসুলেটে গিয়েছিলেন তার বৈবাহিক অবস্থা সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে। গত বছর যখন সৌদি আরবে ব্যাপক ধরপাকড় করা হয় তখন খাসোগি স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে প্রবেশ করে আর বেরিয়ে আসেন নি। তিনি সরকারের সাবেক একজন উপদেষ্টা। তবে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বেশ কিছু নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। সমালোচনা করেছেন ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপ নিয়ে। সেই জামাল খাসোগি কোথায়! এ প্রশ্নে প্রথম দিকে সৌদি আরব নীরব ছিল। পরে তারা বলেছে, জামাল খাসোগি কনসুলেট ভবন ত্যাগ করার পর নিখোঁজের বিষয়ে তাদের কনসুলেট তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এসপিএ বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। তবে বুধবার তুরস্কের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই সাংবাদিককে কনসুলেটের ভিতর আটকে রাখা হয়েছে। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের কাছে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, তথ্যমতে আমরা জানতে পেরেছি ওই সাংবাদিক সৌদি আরবের একজন নাগরিক। তিনি এখনও ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে আছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ নিবিড়ভাবে নজর রাখছে এ ঘটনার দিকে। এ নিয়ে সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আঙ্কারা।
ওদিকে খাসোগির প্রেমিকা ঘটনার পর থেকেই ওই কনসুলেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন। তিনি একজন তুর্কি নাগরিক। বলেছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে তার কোনো খবরই আমি পাচ্ছি না। তিনি ওই কনসুলেটের সামনে দেয়া ব্যারিকেডের বাইরে অবস্থান করছেন। তার কাছে নিজের মোবাইল ফোন রেখে গেছেন খাসোগি। তিনি বলেন, খাসোগি কোথায় আছেন আমি জানতে চাই। আমরা চাই খাসোগি ওই কনসুলেট থেকে নিরাপদে এবং সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসুক।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটন পোস্টের আন্তর্জাতিক মতামত বিষয়ক সম্পাদক ইলি লোপেজ। মঙ্গলবার তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, খাসোগি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার পর যদি তাকে আটক করা হয় তাহলে তা হবে অন্যায় ও ক্ষোভের কারণ। টার্কিশ-আরব মিডিয়া এসোসিয়েশনের প্রধান ও খাসোগির বন্ধু তুরান কিসলাকসি বলেছেন, আমরা নিশ্চিত যে, খাসোগিকে আটক করা হয়েছে। যদি কনসুলেটের নিচ দিয়ে কোনো সুরঙ না থাকে তাহলে তাকে আটক রাখা হয়েছে। খাসোগি নিখোঁজ হওয়াকে চরমভাবে উদ্বেগের বলে উল্লেখ করেছে রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডারস। তাকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্ত করতে তারা সৌদি আরব ও তুরস্ক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস। তারা বলেছে, সৌদি আরবের এমন একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হওয়া উদ্বেগের। সমালোচক খাসোগিকে আটক করা হতে পারে।
তার কোনো কথাও শোনা যায় নি। এ নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জামাল খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক। তিনি মঙ্গলবার সৌদি আরবের কনসুলেটে গিয়েছিলেন তার বৈবাহিক অবস্থা সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে। গত বছর যখন সৌদি আরবে ব্যাপক ধরপাকড় করা হয় তখন খাসোগি স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে প্রবেশ করে আর বেরিয়ে আসেন নি। তিনি সরকারের সাবেক একজন উপদেষ্টা। তবে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বেশ কিছু নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। সমালোচনা করেছেন ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপ নিয়ে। সেই জামাল খাসোগি কোথায়! এ প্রশ্নে প্রথম দিকে সৌদি আরব নীরব ছিল। পরে তারা বলেছে, জামাল খাসোগি কনসুলেট ভবন ত্যাগ করার পর নিখোঁজের বিষয়ে তাদের কনসুলেট তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এসপিএ বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। তবে বুধবার তুরস্কের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই সাংবাদিককে কনসুলেটের ভিতর আটকে রাখা হয়েছে। আঙ্কারায় সাংবাদিকদের কাছে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, তথ্যমতে আমরা জানতে পেরেছি ওই সাংবাদিক সৌদি আরবের একজন নাগরিক। তিনি এখনও ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে আছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ নিবিড়ভাবে নজর রাখছে এ ঘটনার দিকে। এ নিয়ে সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আঙ্কারা।
ওদিকে খাসোগির প্রেমিকা ঘটনার পর থেকেই ওই কনসুলেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন। তিনি একজন তুর্কি নাগরিক। বলেছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে তার কোনো খবরই আমি পাচ্ছি না। তিনি ওই কনসুলেটের সামনে দেয়া ব্যারিকেডের বাইরে অবস্থান করছেন। তার কাছে নিজের মোবাইল ফোন রেখে গেছেন খাসোগি। তিনি বলেন, খাসোগি কোথায় আছেন আমি জানতে চাই। আমরা চাই খাসোগি ওই কনসুলেট থেকে নিরাপদে এবং সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসুক।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটন পোস্টের আন্তর্জাতিক মতামত বিষয়ক সম্পাদক ইলি লোপেজ। মঙ্গলবার তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, খাসোগি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার পর যদি তাকে আটক করা হয় তাহলে তা হবে অন্যায় ও ক্ষোভের কারণ। টার্কিশ-আরব মিডিয়া এসোসিয়েশনের প্রধান ও খাসোগির বন্ধু তুরান কিসলাকসি বলেছেন, আমরা নিশ্চিত যে, খাসোগিকে আটক করা হয়েছে। যদি কনসুলেটের নিচ দিয়ে কোনো সুরঙ না থাকে তাহলে তাকে আটক রাখা হয়েছে। খাসোগি নিখোঁজ হওয়াকে চরমভাবে উদ্বেগের বলে উল্লেখ করেছে রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডারস। তাকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্ত করতে তারা সৌদি আরব ও তুরস্ক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস। তারা বলেছে, সৌদি আরবের এমন একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হওয়া উদ্বেগের। সমালোচক খাসোগিকে আটক করা হতে পারে।
No comments