নদীর নামেই পদ্মা সেতু -ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নামে নয়, পদ্মা নদীর ওপর নির্মীয়মাণ সেতুর নাম এ নদীর নামেই
হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব
নাকচ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রস্তাবিত নাম থেকে তার নামের
অংশটুকু কেটে দিয়েছেন। এ কারণে নদীর নামেই এই সেতুর নামকরণ করা হচ্ছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগীকে দেখতে গিয়ে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনমতের
প্রতিফলন ঘটাতে আমরা পদ্মা সেতুর নাম দিতে চেয়েছিলাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা
সেতু’। কিন্তু বুধবার (৪ঠা অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন মেলায়
আমাকে বলে দিয়েছেন, সেতুর সঙ্গে তার নাম থাকবে না। তিনি শেখ হাসিনা নামটি
কেটে দিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে আমার পরিবার অপমানিত হয়েছে, আমি নিজেও অপমানিত হয়েছি। বিশ্বব্যাংক আমাদের অনেক হেনস্তা করেছে। এখানে আমার পরিবারের কোনো নাম আমি যুক্ত করতে চাই না। এটা আমার চ্যালেঞ্জের সেতু। পদ্মা নদীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন তা বাস্তবায়ন করায় সংসদ সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকেরা তার নামে এই সেতুর নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার প্রস্তাব করে এর সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। আগামী ১৩ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা রেল সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদিন প্রধানমন্ত্রী পদ্মার চলমান কাজসহ মোট চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেললাইনের যে সংযোগ, সেটার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাওয়া পয়েন্টে ১৩০০ মিটার রিভারপ্রটেকশন ও ঢাকা-মাওয়া রুটে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের চলমান কাজেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। কোটার পক্ষে আন্দোলন সম্পর্কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া কী আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা যা করেছেন, তা আর কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারও কোনো দাবি জানাতে হবে না। তবে কোনো বিষয় ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই তা দেখবেন। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের দুর্ভোগ হয়- এমন কর্মসূচি তারা কখনও করবেন না, তারা উঠে যাবেন বলে আমরা আশাবাদী। তারা কারও উস্কানিতে পা দেবেন না। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এখন বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কথা বলার অর্থ হলো- ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’।
ওবায়দুল কাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিখনসহ বান্দরবানের থানচির একটি শিশু এবং ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক পঙ্গু শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ভার নিয়েছেন বলে জানান। এদিকে গতকাল রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগে ফার্মগেটে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সরকারে কোনো সংকট নেই বলে মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কোনো সংকট সৃষ্টি করতেও চাচ্ছে না।
বরং সংকটে আছে বিএনপি। নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, একে- অন্যকে অবিশ্বাসের কারণে তারা আন্দোলন করতে পারছে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনের কারণে বিএনপি আন্দোলনের পথও খুঁজে পাচ্ছে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সরকার রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে’- বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গত দশবছরে বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না।
তাদের আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথাও কোনো সংকট নেই। যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা জনগণের কাছে যান, নৌকায় ভোট চান। সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপ ও জনগণের জন্য করা কাজগুলো তাদের সামনে তুলে ধরেন। মানুষকে বোঝান, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। তারা শান্তিতে থাকে। এ সময় নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রেখে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এদিকে গণসংযোগের সময় নেতাকর্মীদের দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে আমার পরিবার অপমানিত হয়েছে, আমি নিজেও অপমানিত হয়েছি। বিশ্বব্যাংক আমাদের অনেক হেনস্তা করেছে। এখানে আমার পরিবারের কোনো নাম আমি যুক্ত করতে চাই না। এটা আমার চ্যালেঞ্জের সেতু। পদ্মা নদীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন তা বাস্তবায়ন করায় সংসদ সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকেরা তার নামে এই সেতুর নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার প্রস্তাব করে এর সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। আগামী ১৩ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা রেল সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদিন প্রধানমন্ত্রী পদ্মার চলমান কাজসহ মোট চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেললাইনের যে সংযোগ, সেটার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাওয়া পয়েন্টে ১৩০০ মিটার রিভারপ্রটেকশন ও ঢাকা-মাওয়া রুটে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের চলমান কাজেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। কোটার পক্ষে আন্দোলন সম্পর্কে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া কী আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা যা করেছেন, তা আর কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারও কোনো দাবি জানাতে হবে না। তবে কোনো বিষয় ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই তা দেখবেন। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের দুর্ভোগ হয়- এমন কর্মসূচি তারা কখনও করবেন না, তারা উঠে যাবেন বলে আমরা আশাবাদী। তারা কারও উস্কানিতে পা দেবেন না। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এখন বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কথা বলার অর্থ হলো- ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’।
ওবায়দুল কাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিখনসহ বান্দরবানের থানচির একটি শিশু এবং ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক পঙ্গু শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ভার নিয়েছেন বলে জানান। এদিকে গতকাল রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগে ফার্মগেটে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সরকারে কোনো সংকট নেই বলে মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কোনো সংকট সৃষ্টি করতেও চাচ্ছে না।
বরং সংকটে আছে বিএনপি। নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, একে- অন্যকে অবিশ্বাসের কারণে তারা আন্দোলন করতে পারছে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনের কারণে বিএনপি আন্দোলনের পথও খুঁজে পাচ্ছে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘সরকার রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে’- বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গত দশবছরে বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না।
তাদের আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথাও কোনো সংকট নেই। যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা জনগণের কাছে যান, নৌকায় ভোট চান। সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপ ও জনগণের জন্য করা কাজগুলো তাদের সামনে তুলে ধরেন। মানুষকে বোঝান, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। তারা শান্তিতে থাকে। এ সময় নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রেখে আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এদিকে গণসংযোগের সময় নেতাকর্মীদের দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
No comments