৫০০ সন্ত্রাসীর নয়া তালিকা ঢাকায় by নুরুজ্জামান লাবু
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের নতুন একটি তালিকা তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ তালিকায় অন্তত পাঁচ শতাধিক সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। যাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের নামও রয়েছে। থানাভিত্তিক এ তালিকায় সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটিগরিতে ভাগ করা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ এই তালিকা মোতাবেক অভিযান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ির কারণে খুন-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। এ কারণে পুরানো তালিকার সূত্র ধরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের এ তালিকাটি হালনাগাদ করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেসব সন্ত্রাসীর নাম আগের তালিকায় ছিল না তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক অনেক উঠতি সন্ত্রাসী নানারকম অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে। তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মার্চে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন। একের পর এক খুন-ছিনতাইরের ঘটনা ঘটলেও অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে না পারার বিষয়টি ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া অনেক সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বা প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হলেও পুরনো তালিকায় তাদের নাম ছিল। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক অপরাধ কর্মকাণ্ডে নতুন নতুন মুখও দেখা গিয়েছে। অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, এসব কারণেই রাজধানীর ৪৯টি থানা ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী হালনাগাদ তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। হালনাগাদ তালিকায় পৃথক পৃথক ক্যাটিগরি রয়েছে। ভাড়াটে খুনি থেকে শুরু করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, বোমাবাজসহ কয়েকটি ক্যাটিগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের বর্তমান ঠিকানা, অবস্থান, আশ্রয়দাতা বা গডফাদার, রাজনৈতিক পরিচয় সব কিছুই ওই তালিকায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীতে এলাকা ভিত্তিক অপরাধীরা সাধারণত নিজ নিজ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে। বৃহত্তর মিরপুর এলাকায় সবাই শাহাদতের নাম ব্যবহার করে। এছাড়া পুরান ঢাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাত শহীদের নামে, ফার্মগেট এলাকায় সুব্রত বাইনের নামে, মগবাজার-মালিবাগ এলাকায় জিসানের নাম ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কোন যোগাযোগ নেই। ভীতি সৃষ্টি করার জন্য তারা পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে। এরা উঠতি সন্ত্রাসী। আগের তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম থাকলেও উঠতি সন্ত্রাসীদের নাম ছিল না। নতুন তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যে তালিকাগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম জোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এলাকা ভিত্তিক এসব অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার সন্ত্রাসীদের কোন না কোনভাবে সংযোগ থাকে। এ কারণে ঘটনার পরপরই ওই থানা এলাকার সন্ত্রাসীদের তালিকার খোঁজ করা হয়। কিন্তু পুুরনো তালিকাটি হালনাগাদ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হতো। গোয়েন্দা পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন কোথাও কোন অপরাধ সংগঠিত হলে অপরাধের ধরনের সঙ্গে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড মিলিয়ে অনুসন্ধান করা হলে সন্ত্রাসীদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত এসব সন্ত্রাসীর সবাইকে আগেভাগে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও কোণঠাসা করে রাখা যাবে।
সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম জোন মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, তেজগাঁও, লালবাগ, ওয়ারী, মতিঝিল ও রমনা পৃথকভাবে সন্ত্রাসীদের তালিকা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের নতুন তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, মিরপুর বিভাগের ছয়টি থানা এলাকায় ৫২ জন সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। এরা হলো মিরপুর মডেল থানা এলাকার এম এ কাইয়ুম, মারুফ হাসান স্বপন, সেলিম আজাদ, আক্কাস আলী, ইমদাদুল হক, সোহেল ওরফে রাজীব ও এমিল। পল্লবী থানা এলাকার মজিবর রহমান ওরফে জামিল, মশিউর ওরফে মশু, আতিক ওরফে সবুজ, শরিফুল্লাহ ওরফে ভোটা শরীফ, মনসুর ওরফে ভৈরব মনসুর, আওলাদ হোসেন লাক্কু, আফাউল্লাহ, শফিকুল ইসলাম সফু, সাইদুর রহমান ওরফে টেইলার্স সহিদ, আবুল কালাম ওরফে ভাণ্ডারী কালাম, আজিজুল হক রনি, রুস্তম, মুন্না, রবি ও রনি (২)। কাফরুলের মাসুদ ওরফে হাতকাটা মাসুদ, আবু তাহের ওরফে ভাইস্তা বাবু, সজীব, ইব্রাহীম ও লিটন ওরফে কুত্তা লিটন। দারুসসালাম থানা এলাকার জগলুল পাশা ওরফে পাভেল, আজম, এনামুল করিম ওরফে বোমা খোকন, কালু, আমজাদ, সুমন ওরফে পাগলা সুমন, রাসেল ও ইকবাল হোসেন সেন্টু। শাহআলী থানা এলাকার লেলিন, আমজাদ হোসেন, কার্টুন মাসুদ, মনির হোসেন ওরফে বোমা মনির, আমিনুল ইসলাম ওরফে আঙ্কেল, মনির হোসেন ওরফে কিরণ, শাহাদত আলী, ইকবাল, পাংকু বাবু, সাজেদ হোসেন মিশু, সুজন, রানু, ভন্ড রনি, চিকু রনি, গাজী সুমন ও আবদুস সাত্তার। মিরপুর ছাড়া অন্য ক্রাইম জোন এলাকার প্রতিটিতে ৫০ থেকে ৭০ জনের করে নাম রয়েছে। গড়ে প্রতিটি থানা এলাকায় ১২-১৩ জন করে সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নতুন এই তালিকায় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ-সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। মিরপুর বিভাগের তালিকায় ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগরীর (উত্তর) সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রনি ও ঢাকা মহানগর যুবলীগের (উত্তর) সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন লাক্কুর নামও রয়েছে।
এদিকে ডিএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের করা সন্ত্রাসীদের এই তালিকাভুক্তরা সবাই মাঝারি থেকে শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসী। ছোটখাটো সন্ত্রাসীদের নাম এই তালিকায় নেই। তালিকাভুক্তরা সবাই একাধিক খুন-ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণ মামলার আসামি। এর পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম জোন থেকে পৃথক আরেকটি ডিজিটাল সন্ত্রাসী তালিকা করা হচ্ছে। যেখানে থানা পর্যায়ের বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক ছিঁচকে চোর থেকে শুরু করে সব ধরণের সন্ত্রাসীদের ডাটা সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি থানায় ডিজিটাল ডাটা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সন্ত্রাসীদের ডিজিটাল তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। এই তালিকা হলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর তাদের চিহ্নিত করা সহজ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মার্চে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন। একের পর এক খুন-ছিনতাইরের ঘটনা ঘটলেও অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে না পারার বিষয়টি ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া অনেক সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বা প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হলেও পুরনো তালিকায় তাদের নাম ছিল। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক অপরাধ কর্মকাণ্ডে নতুন নতুন মুখও দেখা গিয়েছে। অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, এসব কারণেই রাজধানীর ৪৯টি থানা ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী হালনাগাদ তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। হালনাগাদ তালিকায় পৃথক পৃথক ক্যাটিগরি রয়েছে। ভাড়াটে খুনি থেকে শুরু করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, বোমাবাজসহ কয়েকটি ক্যাটিগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের বর্তমান ঠিকানা, অবস্থান, আশ্রয়দাতা বা গডফাদার, রাজনৈতিক পরিচয় সব কিছুই ওই তালিকায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীতে এলাকা ভিত্তিক অপরাধীরা সাধারণত নিজ নিজ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে। বৃহত্তর মিরপুর এলাকায় সবাই শাহাদতের নাম ব্যবহার করে। এছাড়া পুরান ঢাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাত শহীদের নামে, ফার্মগেট এলাকায় সুব্রত বাইনের নামে, মগবাজার-মালিবাগ এলাকায় জিসানের নাম ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কোন যোগাযোগ নেই। ভীতি সৃষ্টি করার জন্য তারা পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে। এরা উঠতি সন্ত্রাসী। আগের তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম থাকলেও উঠতি সন্ত্রাসীদের নাম ছিল না। নতুন তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যে তালিকাগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম জোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এলাকা ভিত্তিক এসব অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার সন্ত্রাসীদের কোন না কোনভাবে সংযোগ থাকে। এ কারণে ঘটনার পরপরই ওই থানা এলাকার সন্ত্রাসীদের তালিকার খোঁজ করা হয়। কিন্তু পুুরনো তালিকাটি হালনাগাদ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হতো। গোয়েন্দা পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন কোথাও কোন অপরাধ সংগঠিত হলে অপরাধের ধরনের সঙ্গে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড মিলিয়ে অনুসন্ধান করা হলে সন্ত্রাসীদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত এসব সন্ত্রাসীর সবাইকে আগেভাগে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও কোণঠাসা করে রাখা যাবে।
সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম জোন মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, তেজগাঁও, লালবাগ, ওয়ারী, মতিঝিল ও রমনা পৃথকভাবে সন্ত্রাসীদের তালিকা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের নতুন তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, মিরপুর বিভাগের ছয়টি থানা এলাকায় ৫২ জন সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। এরা হলো মিরপুর মডেল থানা এলাকার এম এ কাইয়ুম, মারুফ হাসান স্বপন, সেলিম আজাদ, আক্কাস আলী, ইমদাদুল হক, সোহেল ওরফে রাজীব ও এমিল। পল্লবী থানা এলাকার মজিবর রহমান ওরফে জামিল, মশিউর ওরফে মশু, আতিক ওরফে সবুজ, শরিফুল্লাহ ওরফে ভোটা শরীফ, মনসুর ওরফে ভৈরব মনসুর, আওলাদ হোসেন লাক্কু, আফাউল্লাহ, শফিকুল ইসলাম সফু, সাইদুর রহমান ওরফে টেইলার্স সহিদ, আবুল কালাম ওরফে ভাণ্ডারী কালাম, আজিজুল হক রনি, রুস্তম, মুন্না, রবি ও রনি (২)। কাফরুলের মাসুদ ওরফে হাতকাটা মাসুদ, আবু তাহের ওরফে ভাইস্তা বাবু, সজীব, ইব্রাহীম ও লিটন ওরফে কুত্তা লিটন। দারুসসালাম থানা এলাকার জগলুল পাশা ওরফে পাভেল, আজম, এনামুল করিম ওরফে বোমা খোকন, কালু, আমজাদ, সুমন ওরফে পাগলা সুমন, রাসেল ও ইকবাল হোসেন সেন্টু। শাহআলী থানা এলাকার লেলিন, আমজাদ হোসেন, কার্টুন মাসুদ, মনির হোসেন ওরফে বোমা মনির, আমিনুল ইসলাম ওরফে আঙ্কেল, মনির হোসেন ওরফে কিরণ, শাহাদত আলী, ইকবাল, পাংকু বাবু, সাজেদ হোসেন মিশু, সুজন, রানু, ভন্ড রনি, চিকু রনি, গাজী সুমন ও আবদুস সাত্তার। মিরপুর ছাড়া অন্য ক্রাইম জোন এলাকার প্রতিটিতে ৫০ থেকে ৭০ জনের করে নাম রয়েছে। গড়ে প্রতিটি থানা এলাকায় ১২-১৩ জন করে সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নতুন এই তালিকায় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ-সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। মিরপুর বিভাগের তালিকায় ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগরীর (উত্তর) সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রনি ও ঢাকা মহানগর যুবলীগের (উত্তর) সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন লাক্কুর নামও রয়েছে।
এদিকে ডিএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের করা সন্ত্রাসীদের এই তালিকাভুক্তরা সবাই মাঝারি থেকে শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসী। ছোটখাটো সন্ত্রাসীদের নাম এই তালিকায় নেই। তালিকাভুক্তরা সবাই একাধিক খুন-ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণ মামলার আসামি। এর পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম জোন থেকে পৃথক আরেকটি ডিজিটাল সন্ত্রাসী তালিকা করা হচ্ছে। যেখানে থানা পর্যায়ের বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক ছিঁচকে চোর থেকে শুরু করে সব ধরণের সন্ত্রাসীদের ডাটা সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি থানায় ডিজিটাল ডাটা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সন্ত্রাসীদের ডিজিটাল তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। এই তালিকা হলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর তাদের চিহ্নিত করা সহজ হয়ে যাবে।
No comments