শেখ হাসিনা by নুরুল ইসলাম বিএসসি
শেখ
হাসিনা বলেছেন, দেশের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। এটা
কোনো আবেগের কথা নয়, এটা কোনো বানোয়াট কথা নয়, বিশ্বদরবারে নিজের মনের কথাই
তিনি বলেছেন। শেখ হাসিনার মতো দৃঢ়চেতা মানুষের পক্ষেই সম্ভব দেশের
শাসনকার্য পরিচালনা করা। অন্য মহিলা হলে কবে ভেঙে পড়তেন। মা-বাবা শুধু নয়,
ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন হারিয়ে যে কোনো সাধারণ মানুষ পাগল হয়ে যাওয়ার কথা।
একজন আয়রন লেডি ছাড়া বহুধাবিভক্ত দলের সভানেত্রী হওয়া সম্ভব নয়। বক্তৃতা
দেয়ার সময় মাঝে-মধ্যে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার কান্না দেখলে কলিজা মোচড়
দিয়ে ওঠে। পরক্ষণে ভাবি, এই নেত্রীর চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। সুতরাং যতই
কাঁদুন, এই মহিলাই পারবেন এ দেশটাকে প্রগতির স্রোতে সম্পৃক্ত করতে।
মাঝে-মধ্যে মনের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়। শেখ হাসিনা যদি এ দেশের শাসনক্ষমতায় না থাকেন, আমাদের কী হতে পারে, দেশের শাসনব্যবস্থায় কী ঘটতে পারে। এই বলে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হয় যে, জামায়াতিরা বিএনপির কাঁধে ভর করে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তাদের কচুকাটা করবে। হেফাজতিরা মহিলাদের ঘরে বন্দি রেখে, দেশটাকে বারোশ’ সালে নিয়ে যাবে। যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার চলছে, তারা বেরিয়ে এলে স্বভাবজাত কারণে প্রতিশোধ গ্রহণ করে সংখ্যালঘুসহ যারা বিচারের পক্ষে ছিলেন তাদের হত্যাসহ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করবে। এমনিতে কাদের মোল্লারা কসাই হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করেছে। এই কসাই যদি ছাড়া পায়, কারও মান-ইজ্জতের কথা বাদ দিলাম, জান থাকবে?
এই সরকার সবগুলো কাজ ভালো করেছে এমন দাবি করি না। কিন্তু জাতির পিতার হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসা সোজা ব্যাপার নয়। শেখ হাসিনার পক্ষেই তা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ কল্পনাও করা যায় না।
বিএনপি এখন সুর পালটিয়ে বলছে, নতুন ধরনের প্রতিহিংসাবিহীন দেশ গড়ে তুলবে। প্রশ্ন জাগে, তারা এখন নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থার কথা বলছেন কেন? পুরনো ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রতিহিংসা না থাকলে, নতুন ধারার কথাই বা আসবে কেন?
প্রকৃত ঘটনা, বিএনপি এখন নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। মুখে মধুর বাক্য উচ্চারিত হলেও অন্তরে বিষের থলি দিন দিন ফুলিয়ে-ফাপিয়ে তুলছে। কোন পাগলে বিশ্বাস করবে, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিহিংসায় বিএনপি ভুগছে না? কোন পাগলে বিশ্বাস করবে, কোকোর পাচারকৃত টাকা দেশে যারা ফেরত এনেছেন, তাদের ছেড়ে দেয়া হবে? মুখে শেখ ফরিদ বগলমে ইট।
বিএনপির নতুন ধারার শাসনব্যবস্থার কথা একটু ঘুরিয়ে চিন্তা করলে, জামায়াত-হেফাজতকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিহার তো করতে পারে। এ বিষয়গুলো জামায়াত আর হেফাজতিরা একটু তলিয়ে দেখলে পরিষ্কার হওয়ার কথা। হঠাৎ ভূতের মুখে রাম নাম। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারেক রহমানের অনুরূপ কোনো সমঝোতা হয়েছে কি-না, প্রশ্নটি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
সুশীল সমাজের দাবিদার যারা আছেন, তাদের কাছে মিনতি, শেখ হাসিনাকে অপছন্দের কারণে জামায়াত, হেফাজতিদের পক্ষ নিয়ে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনলে কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না। শেখ হাসিনাকে পছন্দ না পছন্দ করা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু দেশ সবার। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে দেশের দুর্গতি ডেকে আনলে জাতি হিসেবে আমরা টিকতেই পারব না।
দোষেগুণে মানুষ। সবসময় সবাই ভালো ভালো কাজ করে এমন কথা নেই। গুণ বেশি না দোষ বেশি ওটার আলোকেই বিচার করতে হবে। যিনি দেশ পরিচালনা করছেন, তিনি শতভাগ সঠিকভাবে করতে পারবেন, এমন কথা নেই। ৭০-৮০ ভাগ কাজ যদি দেশের উন্নয়নের পক্ষে যায়, তবেই তো ওই সরকারকে জনবান্ধব সরকার বলা যায়। শেখ হাসিনা বিগত সাড়ে চার বছরে কোনটি দেশের বিরুদ্ধে করেছেন, কোন কাজটি দ্বারা দেশের ক্ষতি হয়েছে, এরূপ তত্ত্ব উপস্থাপন করতে কেউ কি পারবেন? যারা এখন সমালোচনা করছেন, একসময় তাদেরও দেশ চালাতে দেখেছি। কেউ কেউ মাঝ পথে ক্ষান্ত দিয়েছেন। বলা যত সহজ, করা বড়ই কঠিন।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
মাঝে-মধ্যে মনের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়। শেখ হাসিনা যদি এ দেশের শাসনক্ষমতায় না থাকেন, আমাদের কী হতে পারে, দেশের শাসনব্যবস্থায় কী ঘটতে পারে। এই বলে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হয় যে, জামায়াতিরা বিএনপির কাঁধে ভর করে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তাদের কচুকাটা করবে। হেফাজতিরা মহিলাদের ঘরে বন্দি রেখে, দেশটাকে বারোশ’ সালে নিয়ে যাবে। যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার চলছে, তারা বেরিয়ে এলে স্বভাবজাত কারণে প্রতিশোধ গ্রহণ করে সংখ্যালঘুসহ যারা বিচারের পক্ষে ছিলেন তাদের হত্যাসহ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করবে। এমনিতে কাদের মোল্লারা কসাই হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করেছে। এই কসাই যদি ছাড়া পায়, কারও মান-ইজ্জতের কথা বাদ দিলাম, জান থাকবে?
এই সরকার সবগুলো কাজ ভালো করেছে এমন দাবি করি না। কিন্তু জাতির পিতার হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসা সোজা ব্যাপার নয়। শেখ হাসিনার পক্ষেই তা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ কল্পনাও করা যায় না।
বিএনপি এখন সুর পালটিয়ে বলছে, নতুন ধরনের প্রতিহিংসাবিহীন দেশ গড়ে তুলবে। প্রশ্ন জাগে, তারা এখন নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থার কথা বলছেন কেন? পুরনো ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রতিহিংসা না থাকলে, নতুন ধারার কথাই বা আসবে কেন?
প্রকৃত ঘটনা, বিএনপি এখন নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। মুখে মধুর বাক্য উচ্চারিত হলেও অন্তরে বিষের থলি দিন দিন ফুলিয়ে-ফাপিয়ে তুলছে। কোন পাগলে বিশ্বাস করবে, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিহিংসায় বিএনপি ভুগছে না? কোন পাগলে বিশ্বাস করবে, কোকোর পাচারকৃত টাকা দেশে যারা ফেরত এনেছেন, তাদের ছেড়ে দেয়া হবে? মুখে শেখ ফরিদ বগলমে ইট।
বিএনপির নতুন ধারার শাসনব্যবস্থার কথা একটু ঘুরিয়ে চিন্তা করলে, জামায়াত-হেফাজতকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিহার তো করতে পারে। এ বিষয়গুলো জামায়াত আর হেফাজতিরা একটু তলিয়ে দেখলে পরিষ্কার হওয়ার কথা। হঠাৎ ভূতের মুখে রাম নাম। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারেক রহমানের অনুরূপ কোনো সমঝোতা হয়েছে কি-না, প্রশ্নটি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
সুশীল সমাজের দাবিদার যারা আছেন, তাদের কাছে মিনতি, শেখ হাসিনাকে অপছন্দের কারণে জামায়াত, হেফাজতিদের পক্ষ নিয়ে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনলে কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না। শেখ হাসিনাকে পছন্দ না পছন্দ করা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু দেশ সবার। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে দেশের দুর্গতি ডেকে আনলে জাতি হিসেবে আমরা টিকতেই পারব না।
দোষেগুণে মানুষ। সবসময় সবাই ভালো ভালো কাজ করে এমন কথা নেই। গুণ বেশি না দোষ বেশি ওটার আলোকেই বিচার করতে হবে। যিনি দেশ পরিচালনা করছেন, তিনি শতভাগ সঠিকভাবে করতে পারবেন, এমন কথা নেই। ৭০-৮০ ভাগ কাজ যদি দেশের উন্নয়নের পক্ষে যায়, তবেই তো ওই সরকারকে জনবান্ধব সরকার বলা যায়। শেখ হাসিনা বিগত সাড়ে চার বছরে কোনটি দেশের বিরুদ্ধে করেছেন, কোন কাজটি দ্বারা দেশের ক্ষতি হয়েছে, এরূপ তত্ত্ব উপস্থাপন করতে কেউ কি পারবেন? যারা এখন সমালোচনা করছেন, একসময় তাদেরও দেশ চালাতে দেখেছি। কেউ কেউ মাঝ পথে ক্ষান্ত দিয়েছেন। বলা যত সহজ, করা বড়ই কঠিন।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
No comments