হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য খুব দুর্বল by খোমেনী ইহসান
হেফাজতের লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশ দেখে
আসলাম। সত্যি কথা বলতে কি আমার পছন্দ হয়নি। ১৬ কোটি মানুষের দেশে সক্ষমতা
থাকলে আদম সন্তানের যোগান পাওয়াটা কঠিন কী?
হেফাজতে
ইসলামের লোকেদের ও তাদের বন্ধুদের যে দীর্ঘ প্রাতিষ্ঠানিকতার ইতিহাস, তাতে
করে সরকার বাধা দিলেও ৭-৮ লাখ মানুষকে জড়ো করা তাদের সামর্থ্যের পক্ষে
অসুবিধার কিছুই না।
যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিকতা ও শাসকশ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতার ঐতিহ্যগত ক্ষমতার কারণেই ইসলামবিরোধীরা তাদের পক্ষে লোকজন ছাড়াই দেশ অচল করে দিতে পারে।
কাজেই লোকসংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো লোক জড়ো করে কী করা হয়েছে, কোন বার্তা দেয়া হয়েছে। বার্তার দিক থেকে হেফাজতের বক্তব্য খুব দুর্বল। দেশের লাখ লাখ মানুষ এই সমাবেশে এসেছে, তারা কিন্তু হেফাজতের নেতাকর্মী হওয়ার কারণে আসেনি। এসেছে তারা ইসলাম ও নবীজীর (সা.) প্রতি অসামান্য ভালোবাসা হৃদয়ে পোষণ করেন বলে।
সেই ভালোবাসাকে আশ্রয় করে হেফাজত যে কর্মসূচি পালন করেছে, তাতে এইসব মানুষের যেই প্রত্যাশা তার সামান্যই মিলেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক সত্য হলো হেফাজত আজ সরকারের হাতকেই শক্তিশালী করেছে। কাজেই ইসলামবিরোধীরাই শক্তিশালী হয়েছে।
যার প্রশ্রয়ে ইসলামবিরোধীরা ইসলাম ও নবীজী (সা.) অবমাননা করলো তার কাছেই বিচারের ধরনা দেওয়ার মানে তো স্পষ্ট, অনিষ্টকারীকেই অনিষ্টতার বিচারিক মানা।
পরের কথা হলো একটা গণবিরোধী, ইনসাফ ও আদলবিরোধী সংবিধানের মধ্যে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ থাকা বা না থাকার মাঝে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেমন তামাশা বাংলাদেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহর বেলায় করা হচ্ছে।
সবশেষ আমি বলবো হেফাজতের নেতাদের চরম দায়িত্বহীনতা সম্পর্কে। তারা সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করেছে। তাদেরই দায়িত্ব ছিলো এই লোকগুলোর বাড়ি ফেরার ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা জানানো।
নিরীহ কিছু মানুষ হেফাজতের সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও পার হতে পারেনি। অথচ এরই মধ্যে কী বর্বর হামলার শিকারই না তারা হলো! তাদের ব্যাপারে এখন হেফাজতের যেনো কোনো দায় নেই। তারা কি আক্রান্তদের জন্য রক্ষার জন্য তাদের কর্তব্য পালন করেছেন?
সত্যি কথা কি অস্পষ্ট কিছু বক্তব্য দিলেই জাগরণ হয় না, বা কারো কলাম পড়ে ভালোলাগায় মগ্ন হলেও হয় না। যেমন হয়নি শাহবাগকারীদের।
যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিকতা ও শাসকশ্রেণীর পৃষ্ঠপোষকতার ঐতিহ্যগত ক্ষমতার কারণেই ইসলামবিরোধীরা তাদের পক্ষে লোকজন ছাড়াই দেশ অচল করে দিতে পারে।
কাজেই লোকসংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো লোক জড়ো করে কী করা হয়েছে, কোন বার্তা দেয়া হয়েছে। বার্তার দিক থেকে হেফাজতের বক্তব্য খুব দুর্বল। দেশের লাখ লাখ মানুষ এই সমাবেশে এসেছে, তারা কিন্তু হেফাজতের নেতাকর্মী হওয়ার কারণে আসেনি। এসেছে তারা ইসলাম ও নবীজীর (সা.) প্রতি অসামান্য ভালোবাসা হৃদয়ে পোষণ করেন বলে।
সেই ভালোবাসাকে আশ্রয় করে হেফাজত যে কর্মসূচি পালন করেছে, তাতে এইসব মানুষের যেই প্রত্যাশা তার সামান্যই মিলেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক সত্য হলো হেফাজত আজ সরকারের হাতকেই শক্তিশালী করেছে। কাজেই ইসলামবিরোধীরাই শক্তিশালী হয়েছে।
যার প্রশ্রয়ে ইসলামবিরোধীরা ইসলাম ও নবীজী (সা.) অবমাননা করলো তার কাছেই বিচারের ধরনা দেওয়ার মানে তো স্পষ্ট, অনিষ্টকারীকেই অনিষ্টতার বিচারিক মানা।
পরের কথা হলো একটা গণবিরোধী, ইনসাফ ও আদলবিরোধী সংবিধানের মধ্যে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ থাকা বা না থাকার মাঝে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। যেমন তামাশা বাংলাদেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহর বেলায় করা হচ্ছে।
সবশেষ আমি বলবো হেফাজতের নেতাদের চরম দায়িত্বহীনতা সম্পর্কে। তারা সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করেছে। তাদেরই দায়িত্ব ছিলো এই লোকগুলোর বাড়ি ফেরার ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা জানানো।
নিরীহ কিছু মানুষ হেফাজতের সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও পার হতে পারেনি। অথচ এরই মধ্যে কী বর্বর হামলার শিকারই না তারা হলো! তাদের ব্যাপারে এখন হেফাজতের যেনো কোনো দায় নেই। তারা কি আক্রান্তদের জন্য রক্ষার জন্য তাদের কর্তব্য পালন করেছেন?
সত্যি কথা কি অস্পষ্ট কিছু বক্তব্য দিলেই জাগরণ হয় না, বা কারো কলাম পড়ে ভালোলাগায় মগ্ন হলেও হয় না। যেমন হয়নি শাহবাগকারীদের।
No comments