স্টেইন গান

প্রথম ইনিংসে ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন পাকিস্তানকে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫২ রানে ৫ উইকেট। জোহানেসবার্গ টেস্টে ৬০ রানে ১১ উইকেট ডেল স্টেইনের ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং তো বটেই,
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও। পাকিস্তানের বিপক্ষেও এত কম রানে কারও ১০ উইকেট নেই। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর বোলারের কীর্তির খাতায় লিখে যাচ্ছেন নতুন নতুন অর্জন—
৬৩ টেস্টে স্টেইনের ৩২৩ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেইন-নির্ভরতা এ থেকে পরিষ্কার নয়। সেটি পরিষ্কার হবে অন্য একটা পরিসংখ্যানে। দলের জয়ে স্টেইনের পারফরম্যান্সে।
৩৩টি জয়ে স্টেইনের
অবদান ২২৫ উইকেট।
গড় ১৫.৭৯, দলের জয়ে কমপক্ষে ২০০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে এটিই সেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্য যে স্টেইনের ভালো করার সঙ্গে সমানুপাতিক, সেটির প্রমাণ মিলবে আরেকটি তথ্যে। ক্যারিয়ারে যে ২১ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন, এর মধ্যে ১৭ বারই জিতেছে
দল। পাঁচবার ম্যাচে ১০
উইকেট, পাঁচবারই জয়।
দলের জয়ে সেরা বোলিং গড়ের মতো আরেকটা ক্ষেত্রেও স্টেইন ক্রিকেট ইতিহাসেরই সেরা। দলের জয়ে ২০০ বা এর বেশি উইকেট নিয়েছেন, এমন বোলারদের মধ্যে সেরা স্ট্রাইক রেট তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে, এমন টেস্টে গড়ে ২৯.৯ বলে একটি করে উইকেট স্টেইনের। কাছাকাছি আছেন পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস (৩৫.০)।
ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেটের দিক থেকেও ৩০০ বা এর বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে স্টেইন (৪০.৮)। এখানেও তাঁর পরেই আছেন ওয়াকার (৪৩.৪)।
ক্যারিয়ার বোলিং গড়ের (২২.৬৭) বিচারেও স্টেইন সর্বকালের সেরাদের মধ্যেই আছেন। টেস্ট ক্রিকেটে কমপক্ষে ২০০ উইকেট পেয়েছেন, এমন ৬১ জন বোলারের মধ্যে বোলিং গড়ে স্টেইনের ওপরে আছেন মাত্র সাতজন—রিচার্ড হ্যাডলি (২২.২৯), অ্যালান ডোনাল্ড (২২.২৫), গ্লেন ম্যাকগ্রা (২১.৬৪), ফ্রেড ট্রুম্যান (২১.৫৭), কার্টলি অ্যামব্রোস (২০.৯৯), জোয়েল গার্নার (২০.৯৭) ও ম্যালকম মার্শাল (২০.৯৪)।

No comments

Powered by Blogger.