বৃষ্টির সঙ্গে আনন্দ-বরিষণ
ম্যাচ শেষ। মাঠের একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে অর্চনা দাস। হাতে এক গোছা ফুলের তোড়া। অপেক্ষায়—কখন ভাঙবে উৎসব। উৎসব কি আর থামে? ভর বৃষ্টির মধ্যেও তাই ভিজে জবজবে হয়ে অপেক্ষায় আবাহনী অধিনায়কের জন্য। স্বামী প্রাণতোষ দাসকে যে সবার আগে শুভেচ্ছা জানাতে হবে! মিডিয়ার ভিড় ঠেলে ঠিকই ফুলের তোড়া নিলেন প্রাণতোষ। কিন্তু পরক্ষণেই মিশে গেলেন সতীর্থদের ভিড়ে, আনন্দ অবগাহনে। শুধু অর্চনা দাসই নন, কাল পুরো আবাহনী পরিবার এই ট্রফিটির অপেক্ষায় ছিল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারিয়ে কোটি টাকার সুপার কাপ জেতার সুযোগ তো অবিরল নয়!
সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি। টাইব্রেকার শুরুর সময়টাতেও বৃষ্টি। নাটকীয় টাইব্রেকারে লিঙ্কন শেষ গোলটা দিতেই ভোঁ-দৌড়। স্টেডিয়ামের লোহার বেড়া টপকে একদল আবাহনী-সমর্থক মাঠের মধ্যে। পুলিশের লাঠিপেটাও তাদের দমাতে পারেনি।
বরদুলই ট্রফি দিয়ে মৌসুম শুরু করে আবাহনী ফেডারেশন কাপ জিতেছে। লিগ জেতা হয়নি হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের। এই টুর্নামেন্টটা তাই চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন আবাহনীর খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক প্রাণতোষ যেমন বললেন, ‘এই জয়টা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার। আমাদের লক্ষ্যই ছিল এবার সুপার কাপ ঘরে নেব। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। লিগে ভালো ফল করতে পারিনি বলে সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ছিল। হতাশা ঘোচানোর সুযোগ খুঁজছিলাম। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি।’
ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপুু দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘ভারতের বরদুলই ট্রফি জিতে শুরু করেছিলাম। পরে জিতি ফেডারেশন কাপ। কিন্তু লিগের শেষ পর্যায়ে এসে কক্ষ্যচ্যুত হয়েছিলাম। সবার প্রতিজ্ঞামতো সুপার কাপ জিতে প্রমাণ করেছি, আমরাই সেরা।’
কোচ অমলেশ সেন অবশ্য রেফারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট, ‘রেফারিং ভালো হয়নি। লাল কার্ডের ঘটনার সময়কার গোলটা আমাদের দেওয়া উচিত ছিল।’ কিন্তু ২-১ পিছিয়ে থেকেও যে হাল ছাড়েননি বললেন সেটাও, ‘কোনো সময় মনে হয়নি ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা কখনো খেলা ছাড়িনি।’
আবাহনীতে যখন আনন্দযজ্ঞ, মোহামেডানে শ্মশানের নীরবতা। বদলি গোলরক্ষক তিতুমীর বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন সতীর্থ ভাসানি। ভাসানির কাঠগড়ায় বিদেশিরা, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের ভুলেই আমরা হেরেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য। অথচ আমাদের গোলকিপার অ্যাডভেন্টাজ করেছে। সেভ করেছে।’ অধিনায়ক হাসান আল মামুন দুষলেন ভাগ্যকে, ‘১০ জন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের টার্গেট ছিল টাইব্রেকারে কিছু করব। দুর্ভাগ্য, টাইব্রেকারে হেরে গেছি। তার পরও সবাইকে অভিনন্দন।’
এমন ভাঙাচোরা দল নিয়েও সুপার কাপের ফাইনালে ওঠাটাও কম নয় বলে মনে করেন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। তাঁর চোখে আল হাসানের লাল কার্ড দেখাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট, ‘যেসব সুযোগ পেয়েছি, সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। পেনাল্টিতে অ্যাডভান্টেজ পেয়েও ধরে রাখতে পারিনি।’ গোলরক্ষক আল হাসানই যে ডুবিয়েছেন, সেটা বলতেও দ্বিধা নেই, ‘ওর শতভাগ রেড কার্ড পাওনা। ওই রেড কার্ডই ছিল আমাদের টার্নিং পয়েন্ট।’
সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি। টাইব্রেকার শুরুর সময়টাতেও বৃষ্টি। নাটকীয় টাইব্রেকারে লিঙ্কন শেষ গোলটা দিতেই ভোঁ-দৌড়। স্টেডিয়ামের লোহার বেড়া টপকে একদল আবাহনী-সমর্থক মাঠের মধ্যে। পুলিশের লাঠিপেটাও তাদের দমাতে পারেনি।
বরদুলই ট্রফি দিয়ে মৌসুম শুরু করে আবাহনী ফেডারেশন কাপ জিতেছে। লিগ জেতা হয়নি হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের। এই টুর্নামেন্টটা তাই চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন আবাহনীর খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক প্রাণতোষ যেমন বললেন, ‘এই জয়টা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার। আমাদের লক্ষ্যই ছিল এবার সুপার কাপ ঘরে নেব। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। লিগে ভালো ফল করতে পারিনি বলে সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ছিল। হতাশা ঘোচানোর সুযোগ খুঁজছিলাম। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি।’
ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপুু দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘ভারতের বরদুলই ট্রফি জিতে শুরু করেছিলাম। পরে জিতি ফেডারেশন কাপ। কিন্তু লিগের শেষ পর্যায়ে এসে কক্ষ্যচ্যুত হয়েছিলাম। সবার প্রতিজ্ঞামতো সুপার কাপ জিতে প্রমাণ করেছি, আমরাই সেরা।’
কোচ অমলেশ সেন অবশ্য রেফারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট, ‘রেফারিং ভালো হয়নি। লাল কার্ডের ঘটনার সময়কার গোলটা আমাদের দেওয়া উচিত ছিল।’ কিন্তু ২-১ পিছিয়ে থেকেও যে হাল ছাড়েননি বললেন সেটাও, ‘কোনো সময় মনে হয়নি ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা কখনো খেলা ছাড়িনি।’
আবাহনীতে যখন আনন্দযজ্ঞ, মোহামেডানে শ্মশানের নীরবতা। বদলি গোলরক্ষক তিতুমীর বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন সতীর্থ ভাসানি। ভাসানির কাঠগড়ায় বিদেশিরা, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের ভুলেই আমরা হেরেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য। অথচ আমাদের গোলকিপার অ্যাডভেন্টাজ করেছে। সেভ করেছে।’ অধিনায়ক হাসান আল মামুন দুষলেন ভাগ্যকে, ‘১০ জন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের টার্গেট ছিল টাইব্রেকারে কিছু করব। দুর্ভাগ্য, টাইব্রেকারে হেরে গেছি। তার পরও সবাইকে অভিনন্দন।’
এমন ভাঙাচোরা দল নিয়েও সুপার কাপের ফাইনালে ওঠাটাও কম নয় বলে মনে করেন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। তাঁর চোখে আল হাসানের লাল কার্ড দেখাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট, ‘যেসব সুযোগ পেয়েছি, সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। পেনাল্টিতে অ্যাডভান্টেজ পেয়েও ধরে রাখতে পারিনি।’ গোলরক্ষক আল হাসানই যে ডুবিয়েছেন, সেটা বলতেও দ্বিধা নেই, ‘ওর শতভাগ রেড কার্ড পাওনা। ওই রেড কার্ডই ছিল আমাদের টার্নিং পয়েন্ট।’
No comments