বিচারপতি মতিনের রায় কার্যকর হোক-সুপ্রিম কোর্ট পরিস্থিতি
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে আশু দরকার সংযম ও সহনশীলতা। আদালতকক্ষে যাঁরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন, তাঁদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তবে তা হওয়া উচিত নিরপেক্ষভাবে, ক্ষমতাসীন দলের শক্তির বাতাবরণে নয়। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান চালাল, তার কি বিকল্প ছিল না?
সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা হয়েছে। তাঁর এজলাসসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবীদের তথাকথিত রাষ্ট্রদ্রোহের দায়েও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আবার এর আড়ালে প্রকৃতপক্ষেই ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিচার বাধাগ্রস্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। সুতরাং আজকের সুপ্রিম কোর্টের যে পরিস্থিতি, তার একটা অশুভ পরম্পরা রয়েছে।
আমরা যারপরনাই বিচলিত যে দলীয় স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে যেমন পুলিশ বিভাগ ও জনপ্রশাসনকে দূষিত হতে দেখেছি, তেমনই অশুভ চিন্তার দংশনে বিচার বিভাগও বিপর্যস্ত। এর প্রতিকারে সর্বাগ্রে প্রয়োজন উভয় দলের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের আত্মসমালোচনা এবং সহনশীলতার মনোভাব নিয়ে কাজ করা। পুলিশি শক্তি প্রতিষেধক নয়।
আমরা বহু বছর ধরে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে দেওয়া বিচারপতি এম এ মতিনের (বর্তমানে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান) দেওয়া রায়ের পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করে চলেছি। ওই রায় অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে কোনো ধরনের দলবাজি ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। যদিও বড় দুই দলের ব্যানারে প্রায় নিয়মিতই বিচার বিভাগবহির্ভূত বিষয়ে মিছিল, সভা-সমাবেশ হয়ে চলেছে। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত আইনজীবীদের হাইকোর্টে আইন পেশার অনুশীলন থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছিল। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে আমরা মনে করি, থানা পুলিশকে না টেনে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আশা করব, বার ও বেঞ্চের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক বজায় রাখতে সমঝোতা হবে। কিন্তু সমঝোতার মানে যেন প্রকৃত দোষীদের পার পাওয়া না হয়।
গত ২ আগস্ট আদালতের ঘটনা আকস্মিক ছিল না। মুফতি আমিনীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিট দায়ের হওয়ার পরই আদালত অঙ্গনে, বিশেষ করে বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা আঁচ করেন যে বিষয়টিতে বেগম খালেদা জিয়াও জড়িত হয়ে পড়ছেন। রিটের শুনানির আগেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি বৈঠক ডাকতে উদ্যোগী হয়, যার অন্যতম এজেন্ডা ছিল ‘জনৈক বিচারকের বিচারকসুলভ’ আচরণ প্রসঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সমিতির বৈঠকে ওই এজেন্ডা অনিষ্পন্ন থাকলেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। কয়েকজন আইনজীবী গ্রেপ্তার হওয়া, আদালত অঙ্গন পুলিশ-বেষ্টিত থাকা এবং গ্রেপ্তার এড়াতে একজন আইনজীবী সমিতি অফিসে অবস্থান নেওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে উভয় পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
খালেদা জিয়া ও আমিনীর অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক। কিন্তু আদালত সেটা মনে রেখেছিলেন বলে প্রতীয়মান হয় না। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা বিচারপতি মতিনের রায় বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অবিলম্বে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা হয়েছে। তাঁর এজলাসসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবীদের তথাকথিত রাষ্ট্রদ্রোহের দায়েও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আবার এর আড়ালে প্রকৃতপক্ষেই ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিচার বাধাগ্রস্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। সুতরাং আজকের সুপ্রিম কোর্টের যে পরিস্থিতি, তার একটা অশুভ পরম্পরা রয়েছে।
আমরা যারপরনাই বিচলিত যে দলীয় স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে যেমন পুলিশ বিভাগ ও জনপ্রশাসনকে দূষিত হতে দেখেছি, তেমনই অশুভ চিন্তার দংশনে বিচার বিভাগও বিপর্যস্ত। এর প্রতিকারে সর্বাগ্রে প্রয়োজন উভয় দলের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের আত্মসমালোচনা এবং সহনশীলতার মনোভাব নিয়ে কাজ করা। পুলিশি শক্তি প্রতিষেধক নয়।
আমরা বহু বছর ধরে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে দেওয়া বিচারপতি এম এ মতিনের (বর্তমানে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান) দেওয়া রায়ের পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করে চলেছি। ওই রায় অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে কোনো ধরনের দলবাজি ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। যদিও বড় দুই দলের ব্যানারে প্রায় নিয়মিতই বিচার বিভাগবহির্ভূত বিষয়ে মিছিল, সভা-সমাবেশ হয়ে চলেছে। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত আইনজীবীদের হাইকোর্টে আইন পেশার অনুশীলন থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছিল। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে আমরা মনে করি, থানা পুলিশকে না টেনে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আশা করব, বার ও বেঞ্চের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক বজায় রাখতে সমঝোতা হবে। কিন্তু সমঝোতার মানে যেন প্রকৃত দোষীদের পার পাওয়া না হয়।
গত ২ আগস্ট আদালতের ঘটনা আকস্মিক ছিল না। মুফতি আমিনীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিট দায়ের হওয়ার পরই আদালত অঙ্গনে, বিশেষ করে বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা আঁচ করেন যে বিষয়টিতে বেগম খালেদা জিয়াও জড়িত হয়ে পড়ছেন। রিটের শুনানির আগেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি বৈঠক ডাকতে উদ্যোগী হয়, যার অন্যতম এজেন্ডা ছিল ‘জনৈক বিচারকের বিচারকসুলভ’ আচরণ প্রসঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সমিতির বৈঠকে ওই এজেন্ডা অনিষ্পন্ন থাকলেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। কয়েকজন আইনজীবী গ্রেপ্তার হওয়া, আদালত অঙ্গন পুলিশ-বেষ্টিত থাকা এবং গ্রেপ্তার এড়াতে একজন আইনজীবী সমিতি অফিসে অবস্থান নেওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয়। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে উভয় পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
খালেদা জিয়া ও আমিনীর অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক। কিন্তু আদালত সেটা মনে রেখেছিলেন বলে প্রতীয়মান হয় না। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা বিচারপতি মতিনের রায় বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অবিলম্বে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
No comments