গ্রন্ডোনার আশঙ্কা, মেসি হয়তো ছেড়েই দেবেন
চাইলে তিনি খেলতে পারতেন স্পেনের হয়েও। স্পেনের নাগরিকত্বও আছে তাঁর। খেলতে পারতেন জাভি-ইনিয়েস্তা-পুয়োল-পিকে-পেদ্রোদের মতো তাঁর বার্সা-সতীর্থদের পাশেই। কিন্তু শৈশবেই আর্জেন্টিনা ছাড়লেও নাড়ির টান ছাড়তে পারেননি। লিওনেল মেসি বেছে নিয়েছেন আকাশি-সাদা জার্সিটাই। কিন্তু এখানে খেলতে যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়, তাঁর জন্য এর সবই অচেনা। চারপাশ থেকে সমালোচনা, দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনতে তো মেসি অভ্যস্ত নন।
হুলিও গ্রন্ডোনার তাই ভয় হচ্ছে, শেষে না সমালোচনার বাড়াবাড়িতে জাতীয় দল থেকেই মুখ ফিরিয়ে নেন মেসি। আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার প্রধান এই আশঙ্কার কথাই বলেছেন, ‘হয়তো এর থেকে মুক্তি পেতে মেসি বলতে পারে, ‘আমি আর এখানে আসবই না, স্পেনে থেকে যাব।’
রোজারিওতে জন্মালেও সেই ছোট্টটি থাকার সময়ই মেসি স্পেনে চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই বার্সার যুব প্রকল্পে ফুটবল শিক্ষা। সেখানেই কাটান বছরের বেশির ভাগ সময়। সেই অর্থে আর্জেন্টিনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সুতাটা শক্ত নয় মোটেও। গ্রন্ডোনা সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘সবার এমন মনে হতে পারে, আর্জেন্টিনার মানুষ শুধু ওর বদনামই করতে চায়। ও রোজারিওতে জন্মেছে। সেখানে থেকেছে, খেলেছে। এরপর হরমোন সমস্যা হলো। সে নিজেই নিজের পথ খুঁজে বের করে বার্সেলোনায় চলে গেল। ওরা ওকে এমনভাবে গড়ে তুলল, যেন সে সেখানেই জন্মেছে। এত কিছুর পরেও কিন্তু সে স্পেনের বদলে আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিয়েছে জাতীয় দল হিসেবে। আমাদের সেটাকে সম্মান করা উচিত।’
গ্রন্ডোনা যখন শঙ্কায় ভুগছেন, তখন মেসি নিজে এই বলে আশ্বস্ত করছেন, সমালোচকদের কথা তিনি কানেই তোলেন না, ‘সমালোচনা আমাদের যথেষ্ট ভোগায়, আবার এটা আমাদের দল হিসেবে সুসংগঠিতও করে। আমার যত সমালোচনাই করা হোক, আমি আর্জেন্টিনা দলের হয়েই খেলব। কারণ আমি সব সময় তা-ই চেয়েছি। সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার কারণে এই চাওয়াটা শেষ হয়ে যাবে না। সংবাদমাধ্যমে কী বলা হলো না-হলো, এসব নিয়ে আমি মোটেও ভাবিত নই।’ তবে এও জানালেন, ‘কাউকে উদ্দেশ করে যখন সিটি বাজানো কিংবা অপমান করা হয়, সেটা নিশ্চয়ই তার ভালো লাগে না। তবে আমরাই কিন্তু সব থেকে বেশি করে চাই দল ভালো করুক।’
মেসি থাকলেই যে আর্জেন্টিনা বার্সেলোনা হয়ে উঠবে—এমনটা আশা করাও বাতুলতা। মেসিই বলছেন, ‘বার্সেলোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনার তুলনা করা বোকামি। আমরা সেখানে একসঙ্গে খেলছি অনেক বছর ধরে। জাতীয় দলেও বল ধরে রেখে, খেলার ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে—অনেকটা সেভাবেই খেলার চেষ্টা করছি। কিন্তু দুই দলের তুলনা কোনোভাবেই চলে না, সেটা দল হিসেবে যেমন নয়, তেমনি একক কোনো খেলোয়াড় হিসেবেও নয়।’
তবে মানুষের এই হতাশার পেছনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ব্যর্থতা যে আছে, মেসি সেটাও বোঝেন, ‘আর্জেন্টিনার একটা শিরোপা দরকার। অনেক দিন হয়ে গেল, আমরা কিছুই জিতিনি।
হুলিও গ্রন্ডোনার তাই ভয় হচ্ছে, শেষে না সমালোচনার বাড়াবাড়িতে জাতীয় দল থেকেই মুখ ফিরিয়ে নেন মেসি। আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার প্রধান এই আশঙ্কার কথাই বলেছেন, ‘হয়তো এর থেকে মুক্তি পেতে মেসি বলতে পারে, ‘আমি আর এখানে আসবই না, স্পেনে থেকে যাব।’
রোজারিওতে জন্মালেও সেই ছোট্টটি থাকার সময়ই মেসি স্পেনে চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই বার্সার যুব প্রকল্পে ফুটবল শিক্ষা। সেখানেই কাটান বছরের বেশির ভাগ সময়। সেই অর্থে আর্জেন্টিনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সুতাটা শক্ত নয় মোটেও। গ্রন্ডোনা সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘সবার এমন মনে হতে পারে, আর্জেন্টিনার মানুষ শুধু ওর বদনামই করতে চায়। ও রোজারিওতে জন্মেছে। সেখানে থেকেছে, খেলেছে। এরপর হরমোন সমস্যা হলো। সে নিজেই নিজের পথ খুঁজে বের করে বার্সেলোনায় চলে গেল। ওরা ওকে এমনভাবে গড়ে তুলল, যেন সে সেখানেই জন্মেছে। এত কিছুর পরেও কিন্তু সে স্পেনের বদলে আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিয়েছে জাতীয় দল হিসেবে। আমাদের সেটাকে সম্মান করা উচিত।’
গ্রন্ডোনা যখন শঙ্কায় ভুগছেন, তখন মেসি নিজে এই বলে আশ্বস্ত করছেন, সমালোচকদের কথা তিনি কানেই তোলেন না, ‘সমালোচনা আমাদের যথেষ্ট ভোগায়, আবার এটা আমাদের দল হিসেবে সুসংগঠিতও করে। আমার যত সমালোচনাই করা হোক, আমি আর্জেন্টিনা দলের হয়েই খেলব। কারণ আমি সব সময় তা-ই চেয়েছি। সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার কারণে এই চাওয়াটা শেষ হয়ে যাবে না। সংবাদমাধ্যমে কী বলা হলো না-হলো, এসব নিয়ে আমি মোটেও ভাবিত নই।’ তবে এও জানালেন, ‘কাউকে উদ্দেশ করে যখন সিটি বাজানো কিংবা অপমান করা হয়, সেটা নিশ্চয়ই তার ভালো লাগে না। তবে আমরাই কিন্তু সব থেকে বেশি করে চাই দল ভালো করুক।’
মেসি থাকলেই যে আর্জেন্টিনা বার্সেলোনা হয়ে উঠবে—এমনটা আশা করাও বাতুলতা। মেসিই বলছেন, ‘বার্সেলোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনার তুলনা করা বোকামি। আমরা সেখানে একসঙ্গে খেলছি অনেক বছর ধরে। জাতীয় দলেও বল ধরে রেখে, খেলার ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে—অনেকটা সেভাবেই খেলার চেষ্টা করছি। কিন্তু দুই দলের তুলনা কোনোভাবেই চলে না, সেটা দল হিসেবে যেমন নয়, তেমনি একক কোনো খেলোয়াড় হিসেবেও নয়।’
তবে মানুষের এই হতাশার পেছনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ব্যর্থতা যে আছে, মেসি সেটাও বোঝেন, ‘আর্জেন্টিনার একটা শিরোপা দরকার। অনেক দিন হয়ে গেল, আমরা কিছুই জিতিনি।
No comments