ইউসুফ-ঝড়ে হঠাৎ রোমাঞ্চ
মাস তিনেক আগের আবুধাবির আবদুল রাজ্জাককে কাল সেঞ্চুরিয়নে মনে করিয়ে দিলেন ইউসুফ পাঠান। আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাত নম্বরে নেমে ৭২ বলে ১০৯ রান করে পাকিস্তানকে প্রায় অসম্ভব এক জয় এনে দিয়েছিলেন রাজ্জাক। কাল ‘রাজ্জাক’ প্রায় হয়েই গিয়েছিলেন ইউসুফ। যখন উইকেটে গিয়েছিলেন, তখন ভারতের সামনে লজ্জাজনক এক পরাজয়ের শঙ্কা। সেখান থেকে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের কাছাকাছি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পারেননি। আউট হয়েছেন ৮টি করে চার-ছয়ে ৭০ বলে ১০৫ রান করে।
ইউসুফের বিদায়ে নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের পরাজয়ও। ৩৩ রানে জিতে ৩-২-এ সিরিজ নিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের মাটিতে নেতৃত্ব দেওয়া শেষ সিরিজটা জিতলেন গ্রায়াম স্মিথ। টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজেও ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু টেস্টের মতো ব্যর্থ হলো এখানেও। টেস্ট সিরিজটা অবশ্য ড্র হয়েছিল।
ইউসুফের খুনে সেঞ্চুরিতে অনেকটাই চাপ পড়ে গেছে হাশিম আমলার আরেকটি দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরি। আমলার অপরাজিত সেঞ্চুরির কল্যাণেই বড় পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয় ৪২ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল তখন ৩ উইকেটে ২২৬। ঘণ্টা খানেক পর শুরু হলে খেলা নেমে আসে ৪৬ ওভারে। বিরতির পর প্রথম ওভারেই আউট হন জেপি ডুমিনি। দ্রুত রান তোলার তৃষ্ণায় শেষ দুই ওভারে আউট আরও ৫ জন। ওই ৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলতে পারে মাত্র ২৪ রান। এই পাগলাটে কয়েকটা ওভারই অবশ্য বিচলিত করতে পারেনি আমলাকে, অপরাজিত থেকে যান ১৩২ বলে ১১৬ রান করে।
৬০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর উইকেটে গিয়েছিলেন ইউসুফ। পরিস্থিতি বুঝে শুরুতে খেলছিলেন দেখেশুনে, প্রথম ২১ বলে করেছিলেন ১৪ রান। এক পাশে টিকে থেকে দেখলেন ১১৯ রানে ৮ উইকেট হারাল ভারত। পরিস্থিতিই আবার নিজের সহজাত খেলায় ফেরাল ইউসুফকে। এক পাশে উইকেট আগলে রাখলেন জহির খান, আরেক পাশে পেশিশক্তির দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখালেন ইউসুফ। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়া শটগুলোও অনায়াসে চলে যাচ্ছিল গ্যালারিতে। দৃষ্টিসুখকর ব্যাটিং নয়, কিন্তু ভীষণ কার্যকরী। মরনে মরকেলকে চার মেরে ফিফটি ছুঁয়েছেন ৪৭ বলে। ফিফটির পর যেন খ্যাপাটে হয়ে উঠলেন পরের ফিফটিতে বল লাগল মাত্র ২১টি। সতসোবেকে ছয়, চার, ছয়ে তিন অঙ্ক ছুঁলেন ৬৮ বলে। ওই ওভারেই নিয়েছেন ২০ রান। একপর্যায়ে ৫০ রান প্রয়োজন ছিল ৬৮ বলে। কিন্তু মরকেলকে ছয় মারতে গিয়ে আকাশে তুললেন ইউসুফ, ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ক্যাচে স্বস্তি ফিরল স্বাগতিকদের। নবম উইকেট জুটিতে ঠিক ১০০ রান উঠেছে, এর মাত্র ১৩ রানই জহিরের। ৭৯ রানই ইউসুফের! এরপর জহির চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৬ ওভারে ২৫০/৯ (স্মিথ ৭, আমলা ১১৬*, ফন উইক ৫৬, ডি ভিলিয়ার্স ১১, ডুমিনি ৩৫, ডু প্লেসিস ৮, বোথা ২, পিটারসন ৪, মরকেল ০, স্টেইন ০, সতসোবে ০*; মুনাফ ৩/৫০, যুবরাজ ২/৪৫, জহির ২/৪৭)।
ভারত: ৪০.২ ওভারে ২৩৪ (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ২৬৮) (পার্থিব ৩৮, রোহিত ৫, কোহলি ২, ধোনি ৫, যুবরাজ ৮, রায়না ১১, ইউসুফ ১০৫, হরভজন ১৩, পীযূষ ৮, জহির ২৪, মুনাফ ৪; মরকেল ৪/৫২, স্টেইন ২/৩২, সতসোবে ২/৫৭, বোথা ১/৩৩, পিটারসন ১/৪৫)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩ রানে জয়ী (দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-২-এ সিরিজ জয়ী)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হাশিম আমলা।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: মরনে মরকেল।
ইউসুফের বিদায়ে নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের পরাজয়ও। ৩৩ রানে জিতে ৩-২-এ সিরিজ নিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের মাটিতে নেতৃত্ব দেওয়া শেষ সিরিজটা জিতলেন গ্রায়াম স্মিথ। টেস্টের মতো ওয়ানডে সিরিজেও ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু টেস্টের মতো ব্যর্থ হলো এখানেও। টেস্ট সিরিজটা অবশ্য ড্র হয়েছিল।
ইউসুফের খুনে সেঞ্চুরিতে অনেকটাই চাপ পড়ে গেছে হাশিম আমলার আরেকটি দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরি। আমলার অপরাজিত সেঞ্চুরির কল্যাণেই বড় পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয় ৪২ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল তখন ৩ উইকেটে ২২৬। ঘণ্টা খানেক পর শুরু হলে খেলা নেমে আসে ৪৬ ওভারে। বিরতির পর প্রথম ওভারেই আউট হন জেপি ডুমিনি। দ্রুত রান তোলার তৃষ্ণায় শেষ দুই ওভারে আউট আরও ৫ জন। ওই ৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলতে পারে মাত্র ২৪ রান। এই পাগলাটে কয়েকটা ওভারই অবশ্য বিচলিত করতে পারেনি আমলাকে, অপরাজিত থেকে যান ১৩২ বলে ১১৬ রান করে।
৬০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর উইকেটে গিয়েছিলেন ইউসুফ। পরিস্থিতি বুঝে শুরুতে খেলছিলেন দেখেশুনে, প্রথম ২১ বলে করেছিলেন ১৪ রান। এক পাশে টিকে থেকে দেখলেন ১১৯ রানে ৮ উইকেট হারাল ভারত। পরিস্থিতিই আবার নিজের সহজাত খেলায় ফেরাল ইউসুফকে। এক পাশে উইকেট আগলে রাখলেন জহির খান, আরেক পাশে পেশিশক্তির দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখালেন ইউসুফ। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়া শটগুলোও অনায়াসে চলে যাচ্ছিল গ্যালারিতে। দৃষ্টিসুখকর ব্যাটিং নয়, কিন্তু ভীষণ কার্যকরী। মরনে মরকেলকে চার মেরে ফিফটি ছুঁয়েছেন ৪৭ বলে। ফিফটির পর যেন খ্যাপাটে হয়ে উঠলেন পরের ফিফটিতে বল লাগল মাত্র ২১টি। সতসোবেকে ছয়, চার, ছয়ে তিন অঙ্ক ছুঁলেন ৬৮ বলে। ওই ওভারেই নিয়েছেন ২০ রান। একপর্যায়ে ৫০ রান প্রয়োজন ছিল ৬৮ বলে। কিন্তু মরকেলকে ছয় মারতে গিয়ে আকাশে তুললেন ইউসুফ, ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ক্যাচে স্বস্তি ফিরল স্বাগতিকদের। নবম উইকেট জুটিতে ঠিক ১০০ রান উঠেছে, এর মাত্র ১৩ রানই জহিরের। ৭৯ রানই ইউসুফের! এরপর জহির চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৬ ওভারে ২৫০/৯ (স্মিথ ৭, আমলা ১১৬*, ফন উইক ৫৬, ডি ভিলিয়ার্স ১১, ডুমিনি ৩৫, ডু প্লেসিস ৮, বোথা ২, পিটারসন ৪, মরকেল ০, স্টেইন ০, সতসোবে ০*; মুনাফ ৩/৫০, যুবরাজ ২/৪৫, জহির ২/৪৭)।
ভারত: ৪০.২ ওভারে ২৩৪ (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ২৬৮) (পার্থিব ৩৮, রোহিত ৫, কোহলি ২, ধোনি ৫, যুবরাজ ৮, রায়না ১১, ইউসুফ ১০৫, হরভজন ১৩, পীযূষ ৮, জহির ২৪, মুনাফ ৪; মরকেল ৪/৫২, স্টেইন ২/৩২, সতসোবে ২/৫৭, বোথা ১/৩৩, পিটারসন ১/৪৫)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩ রানে জয়ী (দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-২-এ সিরিজ জয়ী)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হাশিম আমলা।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: মরনে মরকেল।
No comments