ভারী বর্ষণ: পাকিস্তানে বন্যার অবনতি
পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা-কবলিত প্রায় দেড় কোটি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সিন্ধু প্রদেশের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। এ পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এ মুহূর্তে নিরূপণ করা সম্ভব নয়।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টার মিশন বন্ধ এবং দক্ষিণাঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া তারবেলা ও মংলা বাঁধও হুমকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রকৌশলীরা। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় গত শনিবার সিন্ধু প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিন্ধুসহ অন্যান্য অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সিন্ধু প্রদেশের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনকালে বলেন, পরিস্থিতি বিপর্যয়কর এবং তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ অবস্থায় আরও আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছুই করেছে। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা এতই গুরুতর যে পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তিনি বলেন, আমাদের প্রথম প্রাধান্য হচ্ছে, লোকজনের জীবন বাঁচানো। আমাদের ত্রাণ কর্মসূচি ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের সমন্বয় করতে হবে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিন্ধুতে আরও অন্তত দুই দিন বৃষ্টি হবে। ওই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি বন্যার হুমকিতে আছে বলে কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা দিয়েছে। তাঁরা বন্যাপীড়িত অপর রাজ্য খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন। রাজ্যের এক কর্মকর্তা আদনান আহমেদ বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব খারাপ, বিশেষত সোয়াত উপত্যকায়। নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলেছি।’
পুলিশ কর্মকর্তা মুমতাজ জেরিন বলেন, গত শনিবার বন্যা-কবলিতদের উদ্ধার করে একটি ট্রাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকটি একটি গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ১১ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যে ব্রিটেন, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টার মিশন বন্ধ এবং দক্ষিণাঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া তারবেলা ও মংলা বাঁধও হুমকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রকৌশলীরা। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় গত শনিবার সিন্ধু প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিন্ধুসহ অন্যান্য অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সিন্ধু প্রদেশের বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনকালে বলেন, পরিস্থিতি বিপর্যয়কর এবং তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ অবস্থায় আরও আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছুই করেছে। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা এতই গুরুতর যে পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তিনি বলেন, আমাদের প্রথম প্রাধান্য হচ্ছে, লোকজনের জীবন বাঁচানো। আমাদের ত্রাণ কর্মসূচি ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের সমন্বয় করতে হবে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিন্ধুতে আরও অন্তত দুই দিন বৃষ্টি হবে। ওই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি বন্যার হুমকিতে আছে বলে কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা দিয়েছে। তাঁরা বন্যাপীড়িত অপর রাজ্য খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন। রাজ্যের এক কর্মকর্তা আদনান আহমেদ বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব খারাপ, বিশেষত সোয়াত উপত্যকায়। নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা লোকজনকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলেছি।’
পুলিশ কর্মকর্তা মুমতাজ জেরিন বলেন, গত শনিবার বন্যা-কবলিতদের উদ্ধার করে একটি ট্রাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকটি একটি গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ১১ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যে ব্রিটেন, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
No comments