শেষ পর্যন্ত সুপার কাপ হচ্ছে
বেলা সাড়ে তিনটায় বাফুফে অফিস থেকে জরুরি মুঠোবার্তা—চারটায় সংবাদ সম্মেলন!
কিন্তু সাড়ে চারটা অব্দি সিনিয়র সহসভাপতির কক্ষে বসে সভা করলেন কয়েকজন কর্মকর্তা। একটু আগে তাঁরা বসেছেন বাফুফে সভাপতির সঙ্গে। ‘তাঁরা’ মানে বাংলাদেশ লিগ কমিটির কর্মকর্তারা। বোঝাই গেল, বাংলাদেশ লিগ এবং ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে কোনো খবর দেওয়া হবে।
ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে তিন মাস আগেই যেখানে পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে বাফুফে এত দিন বন্দী ছিল সেই দীর্ঘসূত্রতার বেড়াজালে। একটা সভা করতেই মাস পার হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা নেই, তাই সভা হবে না। সব বন্ধ!
তিন-চার দিন আগে বাফুফের জরুরি কমিটির সভায় সব ঠিক করে ফেলবে বলা হলেও সেই সভায়ও কিছু হয়নি। বছরের শুরু থেকে যেভাবে বলা হচ্ছিল, ‘১০ দিনের মধ্যে সব হয়ে যাবে’ এই সভা শেষেও সেটিই বলা হলো। পরশু বাংলাদেশ লিগ কমিটি সভায় বসে লিগ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অবনমিত দুই দল বিয়ানীবাজার আর শুকতারার ফেরার আবেদন এবং ঘরোয়া ফুটবলের মূল আয়োজনগুলোর সময়সূচি ঠিক করার জন্য সভাপতির সঙ্গে বসার পর অবশেষে কাল এল কিছু ঘোষণা।
হারুনুর রশিদ, আনোয়ারুল হকদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী আধঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, ‘বাংলাদেশ লিগ ১২টি দল নিয়েই হবে। শুকতারা, বিয়ানীবাজারের আবেদন নাকচ।’ বলা হয়েছে, আগামী বছর সেপ্টেম্বরে ৮ দল নিয়ে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর শুরু হবে, এই দলগুলো সেখানে খেলতে পারবে। যদিও এই ঘোষণায় বিয়ানীবাজার ক্ষুব্ধ, মামলার চিন্তা মাথায় রেখে অর্থমন্ত্রীকে দিয়ে সুপারিশ করানোর চেষ্টায় আছে দলটি।
এবার বাংলাদেশ লিগে গোলরক্ষকসহ পাঁচজন বিদেশি, বিদেশি খেলোয়াড়দের ব্লিপ টেস্ট (ফিটনেস টেস্ট), ১-১৫ সেপ্টেম্বর দলবদল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন, প্রতিটি বিভাগে একটি করে স্টেডিয়াম শুধু ফুটবলের জন্য ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা হবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
মৌসুমের প্রথম আয়োজন ফেডারেশন কাপ। ব্যাপ্তি ৭ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পরের মাসে আর খেলা নেই। ঈদুল আজহা এবং গুয়াংজুতে এশিয়ান গেমসের জন্য বিরতি (এমন কারণে পৃথিবীর কোথাও কিছু বন্ধ থাকবে না, বাংলাদেশ বলেই ব্যতিক্রম!)! ১-১৫ ডিসেম্বর হবে সুপার কাপ। পাতানো ফুটবল যারা খেলে তাদের জন্য দেড় কোটি টাকার পুরস্কারের সুপার কাপ আয়োজনের বিরোধিতা হয়েছিল কিছুদিন আগে। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি হারিয়ে না যাওয়া ঘরোয়া ফুটবলের জন্য ভালো খবরই। সুপার কাপের পরপরই বাংলাদেশ লিগ, যা ২০ ডিসেম্বর শুরু করে মে মাসে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাঠে ম্যাচ চলাকালে সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ছাড়া প্রতিটি দলকে এবার থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ কোচিং ক্যাম্প করতে হবে। তবে জুনিয়র দল রাখা এখনই বাধ্যতামূলক নয়।
আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার চলতে থাকায় এই স্টেডিয়াম আপাতত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবল কমলাপুর স্টেডিয়ামেই চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সুপার কাপের সম্ভাব্য ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে কোনো অজুহাত হিসেবে নিতে রাজি নন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পেলে ভালো, নইলে কমলাপুরেই হবে সুপার কাপ। আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না।’ তবে তাঁর কথা হলো, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হলে সুপার কাপের প্রাইজমানি আগের মতোই থাকবে। কিন্তু কমলাপুরে হলে সবকিছু কমে যাবে।’
প্রথম সুপার কাপে খেলেছে বাংলাদেশ লিগের ৮ দল। দ্বিতীয় সুপার কাপে খেলার কথা ৬ দলের, নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডির হাতে যেহেতু জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়, তাই জামালকে সুযোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ লিগের ১২টি দলকেই খেলার সুযোগ দেবে বাফুফে।
কিন্তু সাড়ে চারটা অব্দি সিনিয়র সহসভাপতির কক্ষে বসে সভা করলেন কয়েকজন কর্মকর্তা। একটু আগে তাঁরা বসেছেন বাফুফে সভাপতির সঙ্গে। ‘তাঁরা’ মানে বাংলাদেশ লিগ কমিটির কর্মকর্তারা। বোঝাই গেল, বাংলাদেশ লিগ এবং ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে কোনো খবর দেওয়া হবে।
ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে তিন মাস আগেই যেখানে পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে বাফুফে এত দিন বন্দী ছিল সেই দীর্ঘসূত্রতার বেড়াজালে। একটা সভা করতেই মাস পার হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা নেই, তাই সভা হবে না। সব বন্ধ!
তিন-চার দিন আগে বাফুফের জরুরি কমিটির সভায় সব ঠিক করে ফেলবে বলা হলেও সেই সভায়ও কিছু হয়নি। বছরের শুরু থেকে যেভাবে বলা হচ্ছিল, ‘১০ দিনের মধ্যে সব হয়ে যাবে’ এই সভা শেষেও সেটিই বলা হলো। পরশু বাংলাদেশ লিগ কমিটি সভায় বসে লিগ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অবনমিত দুই দল বিয়ানীবাজার আর শুকতারার ফেরার আবেদন এবং ঘরোয়া ফুটবলের মূল আয়োজনগুলোর সময়সূচি ঠিক করার জন্য সভাপতির সঙ্গে বসার পর অবশেষে কাল এল কিছু ঘোষণা।
হারুনুর রশিদ, আনোয়ারুল হকদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী আধঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, ‘বাংলাদেশ লিগ ১২টি দল নিয়েই হবে। শুকতারা, বিয়ানীবাজারের আবেদন নাকচ।’ বলা হয়েছে, আগামী বছর সেপ্টেম্বরে ৮ দল নিয়ে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর শুরু হবে, এই দলগুলো সেখানে খেলতে পারবে। যদিও এই ঘোষণায় বিয়ানীবাজার ক্ষুব্ধ, মামলার চিন্তা মাথায় রেখে অর্থমন্ত্রীকে দিয়ে সুপারিশ করানোর চেষ্টায় আছে দলটি।
এবার বাংলাদেশ লিগে গোলরক্ষকসহ পাঁচজন বিদেশি, বিদেশি খেলোয়াড়দের ব্লিপ টেস্ট (ফিটনেস টেস্ট), ১-১৫ সেপ্টেম্বর দলবদল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন, প্রতিটি বিভাগে একটি করে স্টেডিয়াম শুধু ফুটবলের জন্য ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা হবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
মৌসুমের প্রথম আয়োজন ফেডারেশন কাপ। ব্যাপ্তি ৭ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পরের মাসে আর খেলা নেই। ঈদুল আজহা এবং গুয়াংজুতে এশিয়ান গেমসের জন্য বিরতি (এমন কারণে পৃথিবীর কোথাও কিছু বন্ধ থাকবে না, বাংলাদেশ বলেই ব্যতিক্রম!)! ১-১৫ ডিসেম্বর হবে সুপার কাপ। পাতানো ফুটবল যারা খেলে তাদের জন্য দেড় কোটি টাকার পুরস্কারের সুপার কাপ আয়োজনের বিরোধিতা হয়েছিল কিছুদিন আগে। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি হারিয়ে না যাওয়া ঘরোয়া ফুটবলের জন্য ভালো খবরই। সুপার কাপের পরপরই বাংলাদেশ লিগ, যা ২০ ডিসেম্বর শুরু করে মে মাসে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাঠে ম্যাচ চলাকালে সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ছাড়া প্রতিটি দলকে এবার থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ কোচিং ক্যাম্প করতে হবে। তবে জুনিয়র দল রাখা এখনই বাধ্যতামূলক নয়।
আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার চলতে থাকায় এই স্টেডিয়াম আপাতত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবল কমলাপুর স্টেডিয়ামেই চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সুপার কাপের সম্ভাব্য ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে কোনো অজুহাত হিসেবে নিতে রাজি নন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পেলে ভালো, নইলে কমলাপুরেই হবে সুপার কাপ। আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না।’ তবে তাঁর কথা হলো, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হলে সুপার কাপের প্রাইজমানি আগের মতোই থাকবে। কিন্তু কমলাপুরে হলে সবকিছু কমে যাবে।’
প্রথম সুপার কাপে খেলেছে বাংলাদেশ লিগের ৮ দল। দ্বিতীয় সুপার কাপে খেলার কথা ৬ দলের, নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডির হাতে যেহেতু জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়, তাই জামালকে সুযোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ লিগের ১২টি দলকেই খেলার সুযোগ দেবে বাফুফে।
No comments