শুধু ফোটালেই কি পানি বিশুদ্ধ হয়? by শাহনাজ খান
সুমাইয়ার
দুমাস হয় বিয়ে হয়েছে। নতুন সংসার গোছানোর আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যস্ত সে।
ইশ্বরদীর মেয়ে সুমাইয়া। বর তার পাশের গ্রামের তবে চাকরি করে ঢাকায়। বিয়ের
পর সুমাইয়ার বসবাস শুরু স্বামীর সাথে ঢাকার মগবাজারে। ঢাকায় আসার পর থেকেই
সুমাইয়া পানি নিয়ে পড়েছে মহা ঝামেলায়। গ্রামে টিউবয়েলের পানি পান করা
সুমাইয়ার কাছে সাপ্লাইয়ের পানি খেতে ভালো লাগছে না। তার উপর প্রায়ই
ডায়রিয়ার সমস্যায় পড়ছে সে। বিষয়টা তার স্বামীকে বলতেই একেবারে পাত্তাই দিলো
না। বললো, “আরে আমরা মেসে থাকতে এই পানিই তো খেতাম, বুয়া না আসলে ফুটানো
ছাড়া সরাসরি টেপের পানিই খেতে হতো। আস্তে আস্তে সব সয়ে যাবে” বলে- সুমাইয়ার
স্বামী। কিন্তু সুমাইয়া লক্ষ্য করলো তার স্বামীরও পেটের সমস্যা লেগেই
থাকে, আর অনেক দূর্বলও সে।
সুমাইয়াদের গ্রামের বাড়িতে সব কাজে টিউবয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চৈত্র মাস আসলেই দেখা দেয় বিপত্তি। তখন ওদের গ্রামের টিউবয়েল গুলোতে আর পানি উঠে না। তখন পুকুরের পানিই ভরসা। ওর মাকে দেখেছে, পুকুরের পানিতে ফিটকিরি ব্যবহার করতে। এতে পানি পরিষ্কার হয়ে যায়, শ্যাওলার সবুজ আর থাকে না। কিন্তু গ্রামের সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ওদের বলেছে, ফিটকিরি দিলেই পানি জীবাণুমুক্ত হয় না। তাই পানি ফুটাতে হবে। এতে সব জীবাণু মরে যায়। তারপর থেকে সুমাইয়াদের বাড়ির সবাই এভাবেই পানি বিশুদ্ধ করে।
কিন্তু ঢাকার ওয়াসার সাপ্লাইয়ের পানি দেখতে পরিষ্কার তাই সুমাইয়া ফিটকিরি দেয় না, শুধু ফুটায়। সে মনে মনে ভাবে তাহলে কি ফিটকিরি না দেয়াতেই এই সমস্যা। এসব নিয়ে পাশের বাসার ভাবীর সাথে কথা বলে সুমাইয়া। জানতে চায়, তাদেরও একই সমস্যা আছে কিনা।
প্রতিবেশি ভাবী সুমাইয়াকে বুঝিয়ে বলে, পানি ফুটালে এর মধ্যে থাকা জীবাণু, পরজীবী এমনকি এর ডিম, লার্ভাসহ ধ্বংস হয়ে যায়। তাই পানি ১০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় দশ মিনিট ধরে ফুটানো উচিত। তবে, ফুটানো পদ্ধতিতে পানিতে থাকা রাসায়নিক উপাদান ধ্বংস হয় না। যেমনঃ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। অনেক সময় পানি ফুটিয়ে ওই একই পাত্রে রেখে দিলে তলানি জমে থাকতে দেখা যায়। এগুলোই ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। এছাড়া দীর্ঘ সময় ফুটানো পানিতে ফ্লোরাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এটি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। অনেকেই রান্না শেষে পানির হাড়ি সারাদিন ধরে চুলাতেই রেখে দেয়, যা কোনভাবেই করা উচিত না।
ফ্লোরাইড শিশুর মস্তিষ্কের গঠন প্রক্রিয়াতে বাঁধা দেয়, আইকিউ কমায় এমনকি পানিতে থাকা এই ফ্লোরাইডকে সন্তান জন্মদান ক্ষমতা হ্রাসের জন্য দায়ী করা হয়। ২০১৩ সালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকাশিত হয় এনভায়রনমেন্ট হেলথ সায়েন্সেস’ সাময়িকীতে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অধিক ফোটানো পানিতে আর্সেনিকের প্রভাব দেখা যায়। আর্সেনিকযুক্ত পানি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আর্সেনিকের বিষক্রিয়া পরিপাক অঙ্গগুলোরও ক্ষতি করে। প্রতিবেশি ভাবী সুমাইয়াকে বলেন যে তিনি এসব জেনেছেন একটি হেলথ ম্যাগাজিন থেকে।
সুমাইয়া জানতে চায় তাহলে আপনারা কিভাবে পানি বিশুদ্ধ করেন? ভাবী জানায়, বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার ব্যবহার করেন তারা। ফিল্টারের পানি খেতেও ভালো লাগে। তবে, ফিল্টার কিনতে হবে বুঝেশুনে, বলেন ভাবী। গল্প করতে করতে তিনি আরো বলেন, পানি অনেক উপায়ে বিশুদ্ধ করা যায়। যেমনঃ আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি, সৌর তাপ, রাসায়নিক (ওজোন, ক্লোরিন, আয়োডিন ও ব্রোমিন দ্বারা)ব্যবহার, প্রভৃতি। তবে সহজ হলো ফিল্টার ব্যবহার করা।সে রাতেই সুমাইয়া তার স্বামীর কাছে ফিল্টার কেনার আবদার করে।
পরদিন ওরা যায় ঢাকার নিউমার্কেটে। দোকানে ঢুকে তো সুমাইয়া একেবারে অবাক। কত নাম ও ডিজাইনের ফিল্টার। ভাবনায় পড়ে যায় কোনটা ভালো, কোনটাই বা কিনবে সে। দোকানীকে বললে, তিনি তাদের একটা ফিল্টার দেখান। এই ওয়াটার ফিল্টার, পানি বিশুদ্ধকরণের এমন এক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দূষিত পানি পুরোপুরি বিশুদ্ধ করে ফেলা সম্ভব। শতভাগ বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা পাওয়া যায় এই ফিল্টারে। কিন্তু এটা ব্যবহারে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আর তিন লিটার পানি দিলে এ থেকে পাওয়া যায় এক লিটার বিশুদ্ধ পানি, বাকীটা পান করা যায় না। তবে অন্য কাজে ব্যবহার করা যায়। এটি রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার বা আরও (RO) ওয়াটার পিউরিফায়ার।
এরপর আরো একধরনের ফিল্টার দেখে। এগুলো ইউভি ওয়াটার পিউরিফায়ার। এটাতেও বিদ্যুৎের প্রয়োজন হয়। দোকানী জানায়, এ ধরনের ফিল্টার পানিতে থাকা জীবাণু, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম। তবে মৃত ব্যাকটেরিয়াগুলো পানিতেই থেকে যায়। এগুলো সম্পূর্ণভাবে কেমিক্যাল ফ্রি এবং পানির স্বাদ কিংবা রংয়ের পরিবর্তন হয় না। এই ফিল্টারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও সহজ।
সুমাইয়া আরেক ধরনের ফিল্টার দেখিয়ে জানতে চায়, ওগুলো কেমন? দোকানী বলে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করে এগুলো। এটা ইউএফ ওয়াটার পিউরিফায়ার। এ ফিল্টারগুলো পানি থেকে সব জীবাণু, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সরিয়ে ফেলতে পারে। তবে, এগুলো পানিতে দ্রবীভূত কঠিন পদার্থগুলোকে দূর করতে পারেনা। সেক্ষেত্রে এই ফিল্টারগুলোর উপরে ছাকনি সিস্টেম থাকে। সাধারণত এধরণের ফিল্টার অনেক বছর ব্যবহার করা যায়।
সুমাইয়া জানতে চায় কোনটা বেশি ভালো? দোকানী বলে এর সবগুলো দিয়েই পানি বিশুদ্ধকরণ সম্ভব। যার যেমন সামর্থ্য বা চাহিদা, সে তেমনটা কেনে।
এতো কিছু দেখে সে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। দোকানীর সব কথায় ভরসাও পায় না সে। তারপর সে বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুক পেইজে আরো একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে গ্রিনবাড নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ধরনের ফিল্টার বাজারজাত করে, যা অনেক বেশি আধুনিক ও বিশ্বাসযোগ্য। তারপর GREENBUD Water Purification System এর ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে সেখান থেকেই ফিল্টার কিনে নেন।
তবে কেনার সময় সাবধান থাকতে হবে নকল কোম্পানি থেকে। ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে নির্দেশিকার নিয়ম মেনে। যথাযথ পদ্ধতি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চললেই পাওয়া যাবে জীবন রক্ষাকারী বিশুদ্ধ পানি। পানি সঠিক উপায়ে বিশুদ্ধ করা না হলে এ থেকে পানিবাহিত রোগ যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস হতে পারে। শিশুদের জন্য এর যে কোনটাই হতে পারে প্রাণঘাতী।
সুমাইয়াদের গ্রামের বাড়িতে সব কাজে টিউবয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চৈত্র মাস আসলেই দেখা দেয় বিপত্তি। তখন ওদের গ্রামের টিউবয়েল গুলোতে আর পানি উঠে না। তখন পুকুরের পানিই ভরসা। ওর মাকে দেখেছে, পুকুরের পানিতে ফিটকিরি ব্যবহার করতে। এতে পানি পরিষ্কার হয়ে যায়, শ্যাওলার সবুজ আর থাকে না। কিন্তু গ্রামের সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ওদের বলেছে, ফিটকিরি দিলেই পানি জীবাণুমুক্ত হয় না। তাই পানি ফুটাতে হবে। এতে সব জীবাণু মরে যায়। তারপর থেকে সুমাইয়াদের বাড়ির সবাই এভাবেই পানি বিশুদ্ধ করে।
কিন্তু ঢাকার ওয়াসার সাপ্লাইয়ের পানি দেখতে পরিষ্কার তাই সুমাইয়া ফিটকিরি দেয় না, শুধু ফুটায়। সে মনে মনে ভাবে তাহলে কি ফিটকিরি না দেয়াতেই এই সমস্যা। এসব নিয়ে পাশের বাসার ভাবীর সাথে কথা বলে সুমাইয়া। জানতে চায়, তাদেরও একই সমস্যা আছে কিনা।
প্রতিবেশি ভাবী সুমাইয়াকে বুঝিয়ে বলে, পানি ফুটালে এর মধ্যে থাকা জীবাণু, পরজীবী এমনকি এর ডিম, লার্ভাসহ ধ্বংস হয়ে যায়। তাই পানি ১০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় দশ মিনিট ধরে ফুটানো উচিত। তবে, ফুটানো পদ্ধতিতে পানিতে থাকা রাসায়নিক উপাদান ধ্বংস হয় না। যেমনঃ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। অনেক সময় পানি ফুটিয়ে ওই একই পাত্রে রেখে দিলে তলানি জমে থাকতে দেখা যায়। এগুলোই ক্যালসিয়াম কার্বোনেট। এছাড়া দীর্ঘ সময় ফুটানো পানিতে ফ্লোরাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এটি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। অনেকেই রান্না শেষে পানির হাড়ি সারাদিন ধরে চুলাতেই রেখে দেয়, যা কোনভাবেই করা উচিত না।
ফ্লোরাইড শিশুর মস্তিষ্কের গঠন প্রক্রিয়াতে বাঁধা দেয়, আইকিউ কমায় এমনকি পানিতে থাকা এই ফ্লোরাইডকে সন্তান জন্মদান ক্ষমতা হ্রাসের জন্য দায়ী করা হয়। ২০১৩ সালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকাশিত হয় এনভায়রনমেন্ট হেলথ সায়েন্সেস’ সাময়িকীতে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অধিক ফোটানো পানিতে আর্সেনিকের প্রভাব দেখা যায়। আর্সেনিকযুক্ত পানি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ফুসফুসের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আর্সেনিকের বিষক্রিয়া পরিপাক অঙ্গগুলোরও ক্ষতি করে। প্রতিবেশি ভাবী সুমাইয়াকে বলেন যে তিনি এসব জেনেছেন একটি হেলথ ম্যাগাজিন থেকে।
সুমাইয়া জানতে চায় তাহলে আপনারা কিভাবে পানি বিশুদ্ধ করেন? ভাবী জানায়, বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার ব্যবহার করেন তারা। ফিল্টারের পানি খেতেও ভালো লাগে। তবে, ফিল্টার কিনতে হবে বুঝেশুনে, বলেন ভাবী। গল্প করতে করতে তিনি আরো বলেন, পানি অনেক উপায়ে বিশুদ্ধ করা যায়। যেমনঃ আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি, সৌর তাপ, রাসায়নিক (ওজোন, ক্লোরিন, আয়োডিন ও ব্রোমিন দ্বারা)ব্যবহার, প্রভৃতি। তবে সহজ হলো ফিল্টার ব্যবহার করা।সে রাতেই সুমাইয়া তার স্বামীর কাছে ফিল্টার কেনার আবদার করে।
পরদিন ওরা যায় ঢাকার নিউমার্কেটে। দোকানে ঢুকে তো সুমাইয়া একেবারে অবাক। কত নাম ও ডিজাইনের ফিল্টার। ভাবনায় পড়ে যায় কোনটা ভালো, কোনটাই বা কিনবে সে। দোকানীকে বললে, তিনি তাদের একটা ফিল্টার দেখান। এই ওয়াটার ফিল্টার, পানি বিশুদ্ধকরণের এমন এক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দূষিত পানি পুরোপুরি বিশুদ্ধ করে ফেলা সম্ভব। শতভাগ বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা পাওয়া যায় এই ফিল্টারে। কিন্তু এটা ব্যবহারে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আর তিন লিটার পানি দিলে এ থেকে পাওয়া যায় এক লিটার বিশুদ্ধ পানি, বাকীটা পান করা যায় না। তবে অন্য কাজে ব্যবহার করা যায়। এটি রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার বা আরও (RO) ওয়াটার পিউরিফায়ার।
এরপর আরো একধরনের ফিল্টার দেখে। এগুলো ইউভি ওয়াটার পিউরিফায়ার। এটাতেও বিদ্যুৎের প্রয়োজন হয়। দোকানী জানায়, এ ধরনের ফিল্টার পানিতে থাকা জীবাণু, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম। তবে মৃত ব্যাকটেরিয়াগুলো পানিতেই থেকে যায়। এগুলো সম্পূর্ণভাবে কেমিক্যাল ফ্রি এবং পানির স্বাদ কিংবা রংয়ের পরিবর্তন হয় না। এই ফিল্টারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও সহজ।
সুমাইয়া আরেক ধরনের ফিল্টার দেখিয়ে জানতে চায়, ওগুলো কেমন? দোকানী বলে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করে এগুলো। এটা ইউএফ ওয়াটার পিউরিফায়ার। এ ফিল্টারগুলো পানি থেকে সব জীবাণু, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সরিয়ে ফেলতে পারে। তবে, এগুলো পানিতে দ্রবীভূত কঠিন পদার্থগুলোকে দূর করতে পারেনা। সেক্ষেত্রে এই ফিল্টারগুলোর উপরে ছাকনি সিস্টেম থাকে। সাধারণত এধরণের ফিল্টার অনেক বছর ব্যবহার করা যায়।
সুমাইয়া জানতে চায় কোনটা বেশি ভালো? দোকানী বলে এর সবগুলো দিয়েই পানি বিশুদ্ধকরণ সম্ভব। যার যেমন সামর্থ্য বা চাহিদা, সে তেমনটা কেনে।
এতো কিছু দেখে সে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। দোকানীর সব কথায় ভরসাও পায় না সে। তারপর সে বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুক পেইজে আরো একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে গ্রিনবাড নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ধরনের ফিল্টার বাজারজাত করে, যা অনেক বেশি আধুনিক ও বিশ্বাসযোগ্য। তারপর GREENBUD Water Purification System এর ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে সেখান থেকেই ফিল্টার কিনে নেন।
তবে কেনার সময় সাবধান থাকতে হবে নকল কোম্পানি থেকে। ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে নির্দেশিকার নিয়ম মেনে। যথাযথ পদ্ধতি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চললেই পাওয়া যাবে জীবন রক্ষাকারী বিশুদ্ধ পানি। পানি সঠিক উপায়ে বিশুদ্ধ করা না হলে এ থেকে পানিবাহিত রোগ যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস হতে পারে। শিশুদের জন্য এর যে কোনটাই হতে পারে প্রাণঘাতী।
>>নিয়ন আলোয়
No comments