ইয়েমেন শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইথিওপিয়ার
ইয়েমেনে
চলমান সহিংসতা নিরসনে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে
ইথিওপিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেছেন, ইয়েমেনি ভাইদের মধ্যে
সংঘাত বন্ধে এবং তাদের পুনর্মিলনে তিনি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
ইয়েমেনের জনগণ এবং সংঘাতরত পক্ষগুলোর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে তিনি নিজের
এমন অবস্থান তুলে ধরেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক
সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।
ইয়েমেনের সংঘাতরত পক্ষগুলোকে তাদের নিজ দেশের সক্ষমতা নষ্ট না করার আহ্বান জানান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী। সংঘাত বন্ধে আলোচনার টেবিলে বসার ওপর জোর দেন তিনি।
আবি আহমেদ বলেন, যুদ্ধে কোনও বিজয়ী পক্ষ নেই। এটি মাতৃভূমি, এর সক্ষমতা ও সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয়।
তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ কেবল ধ্বংস, ক্ষয়ক্ষতি, ঘৃণা ও দাঙ্গা ডেকে আনে।
এদিকে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে বুধবার সুইডেনের উদ্দেশে রওনা করেছে ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত সরকারের প্রতিনিধি দল।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সুইডেনে শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মতি জানায় হুথি বিদ্রোহীরা। এ সপ্তাহেই আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত ইয়েমেন সরকার আগেই বলে রেখেছে তারা আলোচনায় যেতে রাজি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে ইয়েমেনের মনসুর হাদি সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে সুইডেনের উদ্দেশে রওনা করেছে।
এ আলোচনাকে সামনে রেখে (৩ ডিসেম্বর) সানা থেকে আহত ৫০ হুথি বিদ্রোহী, তিন ইয়েমেনি চিকিৎসক ও জাতিসংঘের এক চিকিৎসককে ওমানের মাস্কটে সরিয়ে নিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আয়োজিত প্রথম দফার আলোচনা ব্যর্থ হয়েছিল। হুথি বিদ্রোহীরা জেনেভায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তখন। বিদ্রোহীদের অভিযোগ ছিল, জাতিসংঘ তাদের প্রতিনিধিদের সানায় ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। আহত বিদ্রোহীদের নিরাপদে ওমানে সরিয়ে নেওয়ারও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
ইয়েমেনের সংঘাতরত পক্ষগুলোকে তাদের নিজ দেশের সক্ষমতা নষ্ট না করার আহ্বান জানান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী। সংঘাত বন্ধে আলোচনার টেবিলে বসার ওপর জোর দেন তিনি।
আবি আহমেদ বলেন, যুদ্ধে কোনও বিজয়ী পক্ষ নেই। এটি মাতৃভূমি, এর সক্ষমতা ও সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয়।
তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ কেবল ধ্বংস, ক্ষয়ক্ষতি, ঘৃণা ও দাঙ্গা ডেকে আনে।
এদিকে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে বুধবার সুইডেনের উদ্দেশে রওনা করেছে ইয়েমেনের সৌদি সমর্থিত সরকারের প্রতিনিধি দল।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সুইডেনে শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মতি জানায় হুথি বিদ্রোহীরা। এ সপ্তাহেই আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত ইয়েমেন সরকার আগেই বলে রেখেছে তারা আলোচনায় যেতে রাজি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে ইয়েমেনের মনসুর হাদি সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে সুইডেনের উদ্দেশে রওনা করেছে।
এ আলোচনাকে সামনে রেখে (৩ ডিসেম্বর) সানা থেকে আহত ৫০ হুথি বিদ্রোহী, তিন ইয়েমেনি চিকিৎসক ও জাতিসংঘের এক চিকিৎসককে ওমানের মাস্কটে সরিয়ে নিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আয়োজিত প্রথম দফার আলোচনা ব্যর্থ হয়েছিল। হুথি বিদ্রোহীরা জেনেভায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তখন। বিদ্রোহীদের অভিযোগ ছিল, জাতিসংঘ তাদের প্রতিনিধিদের সানায় ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। আহত বিদ্রোহীদের নিরাপদে ওমানে সরিয়ে নেওয়ারও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
No comments