ডিএসসিসি নির্ধারিত মাংসের দাম ডিএনসিসিতেও চলবে? by শাহেদ শফিক
রমজান
উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজধানী ঢাকার মাংসের দাম নির্ধারণ
করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশন (ডিএনসিসি) এখনও মাংসের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে
নগরবাসীর পাশাপাশি মাংস বিক্রেতাদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মাংসের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই এলাকায় মাংসের মূল্য নির্ধারণ না করলেও ডিএসসিসি নির্ধারিত দামেই বিক্রি হবে। আর মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিএসসিসি নির্ধারিত দাম ডিএনসিসিতে কার্যকর থাকবে না। তবে তারা রোজাদারদের জন্য সাধ্যমতো কম দামে মাংস বিক্রি করবেন।
এদিকে, রমজানে মাংসের দাম নির্ধারণ করার লক্ষ্যে ব্যসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সোমবার দুপুরে নগরভবনের ব্যাংক ফ্লোরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মেয়র গত রমজানের তুলনায় ২৫ টাকা কমিয়ে এবার রমজানে দেশি গরুর মাংসের কেজি নির্ধারণ করেন ৪৫০ টাকা। বিদেশি গরুর মাংসের দাম ২০ টাকা কমিয়ে ৪২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেন। এছাড়া মহিষের মাংসের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমিয়ে ৪২০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংসের দামও গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুপার শপগুলোতেও একই দামে মাংস বিক্রির নির্দেশ দেন তিনি।
তবে ডিএসসিসি নির্ধারিত এই দাম ডিএনসিসি এলাকায় কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ডিএসসিসি নির্ধারিত দাম শুধু ডিএসসিসি এলাকায় কার্যকর থাকবে। ডিএনসিসি এলাকায় তারা এই দামে বিক্রি করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সাধারণত আমরা যে দর নির্ধারণ করি, ডিএনসিসিও তাই করে। গত বছরও দুই সিটি করপোরেশনের মাংসের দাম একই ছিল। এই দাম না মানলে মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, উত্তর সিটি করপোরেশন এই দাম মেনে চলতে বাধ্য নয়।’
ওই বৈঠকে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ‘গরুর হাটের ইজারাদারের সন্ত্রাসীরা মাংস ব্যবসায়ীদের বেঁধে রাখে। রাতের অন্ধকারে তাদের কাছে টাকা আদায় করে। আর ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা লুটের টাকার অংশ নিচ্ছে। কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে।’
ডিএসসিসি মেয়রের উদ্দেশে রবিউল আলম বলেন, ‘গাবতলীর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আপনি উত্তরের মেয়রকে একটা ফোন করুন। আমাদের অন্য কোনও দাবি নেই। সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা সেই রেটে টাকা জমা দিতে চাই। এটা করলে তিনশ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করা সম্ভব।’
জানতে চাইলে রবিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গাবতলী হাটে অবৈধভাবে অতিরিক্ত খাজনাসহ গরু ব্যবসায়ীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ইজারাদার ও ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যে কারণে গরুর দাম বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব মাংসের ওপরে পড়েছে। সরকারের আইন অনুযায়ী খাজনা আদায় করলে আমরা ৩০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে পারবো।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই অনিয়মের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জড়িত। বারবার অভিযোগ করলেও ডিএনসিসি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণেই আমরা কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে পারছি না। এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করবো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছি না এটা ঠিক। কিন্তু ডিএসসিসির বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি থাকে। যেহেতু দুই সিটি করপোরেশন একই শহরে অবস্থিত, সে জন্যই আমরা দক্ষিণ সিটি যে দাম নির্ধারণ করে, আমাদের এখানেও সে অনুপাতে চলবে। যদিও বৈঠকে ডিএনসিসির কোনও প্রতিনিধিকে পাওয়া যায়নি।’ মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যাই করি আইন মোতাবেক করি। যদি ডিএনসিসি আইন অমান্য করে থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
ডিএসসিসি নির্ধারিত মাংসের দাম ডিএনসিসি এলাকায় বলবৎ থাকবে কিনা এ বিষয়ে চানতে চাইলে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতা রবিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেহেতু ডিএনসিসি আমাদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করেনি সে কারণে সেখানে কোনও মাংসের দাম নির্ধারণ হয়নি। তাদের কারণেই আমরা মাংসের দাম বাড়িয়েছি। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আসন্ন রমজানে মাংসের দাম কম রাখতে। কিন্তু ডিএসসিসি নির্ধারিত দাম সেখানে কার্যকর হবে না।’
মাংসের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই এলাকায় মাংসের মূল্য নির্ধারণ না করলেও ডিএসসিসি নির্ধারিত দামেই বিক্রি হবে। আর মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিএসসিসি নির্ধারিত দাম ডিএনসিসিতে কার্যকর থাকবে না। তবে তারা রোজাদারদের জন্য সাধ্যমতো কম দামে মাংস বিক্রি করবেন।
এদিকে, রমজানে মাংসের দাম নির্ধারণ করার লক্ষ্যে ব্যসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সোমবার দুপুরে নগরভবনের ব্যাংক ফ্লোরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মেয়র গত রমজানের তুলনায় ২৫ টাকা কমিয়ে এবার রমজানে দেশি গরুর মাংসের কেজি নির্ধারণ করেন ৪৫০ টাকা। বিদেশি গরুর মাংসের দাম ২০ টাকা কমিয়ে ৪২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেন। এছাড়া মহিষের মাংসের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমিয়ে ৪২০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংসের দামও গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুপার শপগুলোতেও একই দামে মাংস বিক্রির নির্দেশ দেন তিনি।
তবে ডিএসসিসি নির্ধারিত এই দাম ডিএনসিসি এলাকায় কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ডিএসসিসি নির্ধারিত দাম শুধু ডিএসসিসি এলাকায় কার্যকর থাকবে। ডিএনসিসি এলাকায় তারা এই দামে বিক্রি করতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সাধারণত আমরা যে দর নির্ধারণ করি, ডিএনসিসিও তাই করে। গত বছরও দুই সিটি করপোরেশনের মাংসের দাম একই ছিল। এই দাম না মানলে মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, উত্তর সিটি করপোরেশন এই দাম মেনে চলতে বাধ্য নয়।’
ওই বৈঠকে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ‘গরুর হাটের ইজারাদারের সন্ত্রাসীরা মাংস ব্যবসায়ীদের বেঁধে রাখে। রাতের অন্ধকারে তাদের কাছে টাকা আদায় করে। আর ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা লুটের টাকার অংশ নিচ্ছে। কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে।’
ডিএসসিসি মেয়রের উদ্দেশে রবিউল আলম বলেন, ‘গাবতলীর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আপনি উত্তরের মেয়রকে একটা ফোন করুন। আমাদের অন্য কোনও দাবি নেই। সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা সেই রেটে টাকা জমা দিতে চাই। এটা করলে তিনশ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করা সম্ভব।’
জানতে চাইলে রবিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গাবতলী হাটে অবৈধভাবে অতিরিক্ত খাজনাসহ গরু ব্যবসায়ীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। ইজারাদার ও ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যে কারণে গরুর দাম বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব মাংসের ওপরে পড়েছে। সরকারের আইন অনুযায়ী খাজনা আদায় করলে আমরা ৩০০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে পারবো।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই অনিয়মের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জড়িত। বারবার অভিযোগ করলেও ডিএনসিসি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণেই আমরা কম মূল্যে মাংস বিক্রি করতে পারছি না। এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করবো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছি না এটা ঠিক। কিন্তু ডিএসসিসির বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি থাকে। যেহেতু দুই সিটি করপোরেশন একই শহরে অবস্থিত, সে জন্যই আমরা দক্ষিণ সিটি যে দাম নির্ধারণ করে, আমাদের এখানেও সে অনুপাতে চলবে। যদিও বৈঠকে ডিএনসিসির কোনও প্রতিনিধিকে পাওয়া যায়নি।’ মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যাই করি আইন মোতাবেক করি। যদি ডিএনসিসি আইন অমান্য করে থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।’
ডিএসসিসি নির্ধারিত মাংসের দাম ডিএনসিসি এলাকায় বলবৎ থাকবে কিনা এ বিষয়ে চানতে চাইলে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতা রবিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেহেতু ডিএনসিসি আমাদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করেনি সে কারণে সেখানে কোনও মাংসের দাম নির্ধারণ হয়নি। তাদের কারণেই আমরা মাংসের দাম বাড়িয়েছি। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আসন্ন রমজানে মাংসের দাম কম রাখতে। কিন্তু ডিএসসিসি নির্ধারিত দাম সেখানে কার্যকর হবে না।’
No comments