উপহারের তালিকায় রাখুন ঈদসংখ্যা by সোহরাব হাসান
ঈদে আমরা প্রিয়জনকে উপহার দিই। এই উপহারের তালিকায় থাকে নতুন জামা-কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, মোবাইল ফোনসেট আরও কত-কী।
ঈদে যে যাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী প্রিয়জনকে উপহার দেন। যাঁরা প্রচুর ধনসম্পদের মালিক, তাঁরা নিশ্চয়ই দামি সামগ্রী উপহার দেন। শুনেছি, কেউ কেউ ঈদ উপলক্ষে প্রিয়জনকে গাড়ি-বাড়িও উপহার দিয়ে থাকেন। আবার কেউ দেন বিদেশ ভ্রমণের টিকিট। আর যাঁরা গরিব, নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, তাঁরা নিজ নিজ সামর্থ্যের মধ্যে প্রিয়জনকে উপহার সামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনন্ত বছরের এই দিনটিতে প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে সচেষ্ট থাকেন।
আমাদের দেশে ঈদ, পুজো বা অন্যান্য উৎসবে পণ্যের দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মূল্যহ্রাস কিংবা লোভনীয় সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বাহারি বিজ্ঞাপন ছাপালেও স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি দাম নিয়ে থাকেন। কেউ বা সারা বছরের লোকসানটাও পুষিয়ে নেন ঈদকে উপলক্ষ করে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে ঠিক উল্টোটাই ঘটে থাকে। সেখানে বড় দিন বা ইস্টার সানডে উপলক্ষে বিক্রেতারা স্বাভাবিক অবস্থার থেকে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি করেন। তাঁরা এই উৎসবকে দেখেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ হিসেবে। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা দেখেন মওকা হিসেবে।
ঈদে আপনার প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনি এসব নামীদামি উপহার সামগ্রীর সঙ্গে একটি নতুন পণ্য যোগ করতে পারেন—বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার ঈদসংখ্যা। এক সময়ে আমরা শারদীয় দুর্গোৎসবে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ-এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। একটি পত্রিকায় এতজন লেখক-কবির লেখা থাকতে পারে, ভেবে অবাক হতাম। পাকিস্তান আমলে এখানে বেগম ছাড়া কোনো পত্রিকা ম্যাগাজিন আকারে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করত না। স্বাধীনতার পর বিচিত্রা এই রেওয়াজ চালু করে। বিচিত্রার দেখাদেখি আশি ও নব্বইয়ের দশকে অন্যান্য সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আকারে ঈদসংখ্যা বের করলেও দৈনিক পত্রিকাগুলোর ঈদসংখ্যা হতো ব্রড সেটেই। সম্ভবত ২০০২ সালে যুগান্তর প্রথম ম্যাগাজিন আকারে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। এর পর সব পত্রিকা। ঈদে এখন ২৪-২৫টি ঢাউস সাইজের ঈদসংখ্যা বের হয়।
হাদিসে আছে, জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি/ দুটি যদি জোটে তবে, ফুল কিনে নাও হও অনুরাগী। ঈদের নতুন পোশাকশিল্পকে যদি আমরা খাদ্যের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে ঈদসংখ্যাগুলো হলো ফুল। নতুন পোশাকে আপনি শরীরকে সাজাবেন। মনকে সাজান বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার ঈদসংখ্যা দিয়ে। কেননা এগুলো কেবল হরফের সম্ভার নয়, জীবনেরও অনুষঙ্গ।
এই ঈদে আপনি আপনার প্রিয়জনকে অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে একটি বা দুটি ঈদসংখ্যা উপহার দিন। আপনি যখন প্রিয়জনের বাড়িতে যাবেন প্রথম আলো ও কিশোর আলো কিংবা অন্য কোনো পত্রিকার একটি ঈদসংখ্যা নিয়ে যেতে ভুলবেন না। সেটি অন্তত আগামী ঈদ পর্যন্ত সঙ্গী হবে। ভালোবাসা ও আনন্দের সঙ্গী।
ঈদে যে যাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী প্রিয়জনকে উপহার দেন। যাঁরা প্রচুর ধনসম্পদের মালিক, তাঁরা নিশ্চয়ই দামি সামগ্রী উপহার দেন। শুনেছি, কেউ কেউ ঈদ উপলক্ষে প্রিয়জনকে গাড়ি-বাড়িও উপহার দিয়ে থাকেন। আবার কেউ দেন বিদেশ ভ্রমণের টিকিট। আর যাঁরা গরিব, নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, তাঁরা নিজ নিজ সামর্থ্যের মধ্যে প্রিয়জনকে উপহার সামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনন্ত বছরের এই দিনটিতে প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে সচেষ্ট থাকেন।
আমাদের দেশে ঈদ, পুজো বা অন্যান্য উৎসবে পণ্যের দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীরা মূল্যহ্রাস কিংবা লোভনীয় সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বাহারি বিজ্ঞাপন ছাপালেও স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি দাম নিয়ে থাকেন। কেউ বা সারা বছরের লোকসানটাও পুষিয়ে নেন ঈদকে উপলক্ষ করে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে ঠিক উল্টোটাই ঘটে থাকে। সেখানে বড় দিন বা ইস্টার সানডে উপলক্ষে বিক্রেতারা স্বাভাবিক অবস্থার থেকে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি করেন। তাঁরা এই উৎসবকে দেখেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ হিসেবে। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা দেখেন মওকা হিসেবে।
ঈদে আপনার প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনি এসব নামীদামি উপহার সামগ্রীর সঙ্গে একটি নতুন পণ্য যোগ করতে পারেন—বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার ঈদসংখ্যা। এক সময়ে আমরা শারদীয় দুর্গোৎসবে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ-এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। একটি পত্রিকায় এতজন লেখক-কবির লেখা থাকতে পারে, ভেবে অবাক হতাম। পাকিস্তান আমলে এখানে বেগম ছাড়া কোনো পত্রিকা ম্যাগাজিন আকারে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করত না। স্বাধীনতার পর বিচিত্রা এই রেওয়াজ চালু করে। বিচিত্রার দেখাদেখি আশি ও নব্বইয়ের দশকে অন্যান্য সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আকারে ঈদসংখ্যা বের করলেও দৈনিক পত্রিকাগুলোর ঈদসংখ্যা হতো ব্রড সেটেই। সম্ভবত ২০০২ সালে যুগান্তর প্রথম ম্যাগাজিন আকারে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। এর পর সব পত্রিকা। ঈদে এখন ২৪-২৫টি ঢাউস সাইজের ঈদসংখ্যা বের হয়।
হাদিসে আছে, জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি/ দুটি যদি জোটে তবে, ফুল কিনে নাও হও অনুরাগী। ঈদের নতুন পোশাকশিল্পকে যদি আমরা খাদ্যের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে ঈদসংখ্যাগুলো হলো ফুল। নতুন পোশাকে আপনি শরীরকে সাজাবেন। মনকে সাজান বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার ঈদসংখ্যা দিয়ে। কেননা এগুলো কেবল হরফের সম্ভার নয়, জীবনেরও অনুষঙ্গ।
এই ঈদে আপনি আপনার প্রিয়জনকে অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে একটি বা দুটি ঈদসংখ্যা উপহার দিন। আপনি যখন প্রিয়জনের বাড়িতে যাবেন প্রথম আলো ও কিশোর আলো কিংবা অন্য কোনো পত্রিকার একটি ঈদসংখ্যা নিয়ে যেতে ভুলবেন না। সেটি অন্তত আগামী ঈদ পর্যন্ত সঙ্গী হবে। ভালোবাসা ও আনন্দের সঙ্গী।
No comments