মমতাকে পাশে চান সোনিয়া
কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসসহ আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান৷ তিনি তৃণমূলের সঙ্গে আগের সম্পর্ক ফিরিয়ে আনতে চান৷ গত সোমবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী তাঁর এমন মনোভাবের কথা জানান৷ লোকসভা নির্বাচনের নয় পর্বে ভোট গ্রহণ শেষে সোমবার রাতেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত বুথ-ফেরত জনমত জরিপ প্রকাশ করা হয়৷ প্রায় সব জনমত জরিপে উঠে এসেছে, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এবার সরকার গঠন করছে৷ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুথ-ফেরত জরিপ প্রকাশের পর সোমবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠক হয়।
বৈঠকে বুথ-ফেরত জরিপ নিয়েও আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই দুটি সিদ্ধান্ত হয়। একটি হচ্ছে, বুথ-ফেরত সমীক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করা৷ অন্যটি হলো মোদিকে ঠেকাতে কংগ্রেস সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো। বিশেষ করে তৃণমূলসহ বিভিন্ন রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের সখ্য গড়ে তোলা৷ কংগ্রেস মূলত সেসব আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ঐক্য গড়তে চায়, যেসব দল সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোট পেয়ে আসছে। কংগ্রেস মনে করে, মুসলিমরা বিজেপির দিকে ঝুঁকছে না। তাই এসব ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোকে নিয়ে ভবিষ্যতে এগোতে চায় কংগ্রেস। বৈঠক সূত্র জানায়, সোনিয়া চাইছেন, তৃণমূলের সঙ্গে আগের সম্পর্ককে ফিরিয়ে আনতে। কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ভালো না হলেও সোনিয়ার সঙ্গে মমতার এখনো উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিতীয়ত, মমতার আগে ধারণা ছিল, বিজেপির পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়া সম্ভব হবে না। দলটিকে আঞ্চলিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু বুথ-ফেরত জরিপে উল্টো আভাস আসায় মমতাও হতাশ৷ মমতার ধারণা ছিল, মোদি বা কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সে ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো শক্তির সরকার গড়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর এর নেতৃত্ব দিতে পারেন মমতা। এতে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল।
No comments