তদন্ত কমিটিসহ বিবাদীদের কার্যক্রমের শুনানি আজ @প্রথম আলো
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটিসহ বিবাদীদের কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় নির্ধারণ করেন। বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি আদালতে উত্থাপিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলায় অংশ নেবেন। তিনি অন্য মামলায় নিয়োজিত থাকবেন। তাই সময় প্রয়োজন। পরে আদালত বেলা দুইটায় সময় নির্ধারণ করেন। গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি ও বিবাদীরা অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পক্ষগুলো কমিটি গঠনসহ কর্মক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন জমা দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পক্ষে প্রতিনিধিরা কার্যক্রম সম্পর্কে অগ্রগতি জানিয়ে গতকাল সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তার কাছে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে ওই ঘটনার সার্বিক তদন্তে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ৫ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দেন। এতে সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, এটিসহ পুরো ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় র্যাবের সম্পৃক্ততা আছে কি না, এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করতে র্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় করা মামলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পাশাপাশি সিআইডিকে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। নির্দেশনার অনুসারে কার্যক্রম বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মাধ্যমে আদালতে দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি ১৫ মে (আজ) কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশে বলা হয়। ওই সাতজনের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদীদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। সাত খুনের ঘটনার পর অবসরে পাঠানো র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন আদালত। স্বতঃপ্রণোদিত রুলের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে বলে জানানো হয়। গত ২৭ এপ্রিল দুপুুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে সাতজনের মরদেহ। এই সাতজন হলেন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলাও করেছে নজরুলের পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পক্ষে প্রতিনিধিরা কার্যক্রম সম্পর্কে অগ্রগতি জানিয়ে গতকাল সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তার কাছে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে ওই ঘটনার সার্বিক তদন্তে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ৫ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দেন। এতে সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, এটিসহ পুরো ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় র্যাবের সম্পৃক্ততা আছে কি না, এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করতে র্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় করা মামলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পাশাপাশি সিআইডিকে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। নির্দেশনার অনুসারে কার্যক্রম বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মাধ্যমে আদালতে দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি ১৫ মে (আজ) কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশে বলা হয়। ওই সাতজনের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদীদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। সাত খুনের ঘটনার পর অবসরে পাঠানো র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন আদালত। স্বতঃপ্রণোদিত রুলের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে বলে জানানো হয়। গত ২৭ এপ্রিল দুপুুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে সাতজনের মরদেহ। এই সাতজন হলেন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলাও করেছে নজরুলের পরিবার।
No comments