এবার মনমোহন সিংয়ের বিদায় চায় বিরোধীরা
ভারতে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের
পদত্যাগ দাবিতে এখনো অনড় রয়েছে সে দেশের বিরোধী দল। গত শুক্রবার
দুর্নীতির কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পবন কুমার বানসাল ও
আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের পদত্যাগের পর গতকাল শনিবার তারা এই দাবি
জানিয়েছে। এদিকে গতকাল ভারতের টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিবালকে আইন
মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী সি পি যোশীকে রেল মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সুপারিশের
ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তাঁদের এসব দায়িত্ব দেন। এর আগে
রাষ্ট্রপতি অশ্বিনী কুমার ও বানসালের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। দুর্নীতির
লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় মনমোহনের ওপর ক্রমাগত পদত্যাগের চাপ
বাড়ছে। সম্প্রতি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে গেছে। একের পর
এক দুর্নীতি সামাল দিতে সরকারও হিমশিম খাচ্ছে। এ নিয়ে বিদেশি
বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি
রাজনাথ সিং বলেছেন, সরকার বেশ কিছু গুরুতর দুর্নীতির কেলেঙ্কারির মুখে
পড়েছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে হলে
প্রধানমন্ত্রীকে সততার সঙ্গে এ বিষয়ে ভাবতে হবে। আর এটা করলে তিনি
উপলব্ধি করবেন, পদত্যাগ ছাড়া তাঁর কোনো বিকল্প পথ নেই। ভারতের গণমাধ্যমে
দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দিনকে ‘কালো শুক্রবার’ বলে প্রচার করা হচ্ছে।
কয়লাখনি কেলেঙ্কারির ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের
তদন্তে হস্তক্ষেপের ঘটনায় চাপের মুখে আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার পদত্যাগ
করেন। আর রেলমন্ত্রী তাঁর ভাগনের ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় পদত্যাগ করেন। দুই
মন্ত্রী পদত্যাগ করায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার কীভাবে ক্ষমতায় টিকে
থাকবে—এ নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। অথচ কংগ্রেস মাত্র
দুটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের ক্ষমতার মেয়াদ
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। তবে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনার
উদাহরণ দিয়ে কংগ্রেস বলেছে, এ ঘটনা প্রমাণ করেছে দুর্নীতির ক্ষেত্রে তারা
বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি।
No comments