‘প্রাগৈতিহাসিক মাত্রায়’ কার্বন ডাই-অক্সাইড
বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড
গ্যাসের উপস্থিতি প্রথমবারের মতো বিপজ্জনক প্রতীকী মাত্রা ‘৪০০ পিপিএম
(পার্টস পার মিলিয়ন)’ ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এ তথ্য
জানিয়ে বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাসের রেকর্ড ছোঁয়ারও আভাস দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপ ও জীবাশ্ম জ্বালানির
ঢালাও ব্যবহারে সৃষ্ট জলবায়ুর ক্ষতি ঠেকাতে অবিলম্বে বিশ্বনেতাদের পদক্ষেপ
নেওয়া প্রয়োজন। গ্রানথাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ও
এনভায়রনমেন্ট অ্যাট লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল
সায়েন্সের নীতিমালা ও যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক বব ওয়ার্ড বলেন, লাখ লাখ
বছরেও এ পৃথিবীতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা এমন পর্যায়ে আর পৌঁছায়নি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা প্রাগৈতিহাসিক যুগের জলবায়ুতে ফিরে যাচ্ছি।
এতে মানবসমাজ ব্যাপক ও সম্ভাব্য বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ঝুঁকিতে পড়বে।’ তিনি
আরও বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিকর গ্যাসের নির্গমন কমাতে পারলে আমরা
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা হ্রাসে সক্ষম হব।’ যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের
মাউনা লোয়া এলাকায় স্থাপিত আবহাওয়া গবেষণাকেন্দ্র ন্যাশনাল ওশানিক
অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দেওয়া ৯ মের তথ্য-উপাত্ত
অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দৈনিক গড়
উপস্থিতির মাত্রা ৪০০ দশমিক ০৩ পিপিএম। ক্যালিফোর্নিয়ার সানদিয়াগোর
স্ক্রিপস ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফির এক পৃথক পর্যবেক্ষণে ওই দিন এ
মাত্রাকে ৩৯৯ দশমিক ৭৩ পিপিএম জানানো হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে ৪০০ দশমিক
০৮ পিপিএম সংশোধিত মাত্রার কথা বলা হয়। পেন স্টেটের আর্থ সিস্টেম
সায়েন্স সেন্টারের পরিচালক মাইকেল ম্যান বলেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড যে
গতিতে বাড়ছে, তা উদ্বেগের বিষয়। এই অপ্রত্যাশিত গতিতে বৃদ্ধির নজির
ইতিহাসে নেই।
No comments