অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে বিধানসভায় বিল আনা হচ্ছে
পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরের বিতর্কিত ৯৯৭ একর জমি ফেরত নিয়ে রাজ্য সরকার যে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল, শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এবার ঠিক হয়েছে, টাটার সঙ্গে লিজ চুক্তি বাতিল এবং ৪০০ একর জমি অনিচ্ছুক চাষিদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিল বিধানসভায় পেশ করা হবে। এ জন্য বিধানসভার অধিবেশন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাল সোমবার বসছে সেই অধিবেশন। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই সম্ভবত আনা হবে বিলটি।
গত বৃহস্পতিবার নাটকীয়ভাবে অর্ডিন্যান্স জারির কথা ঘোষণা করার পরই বিরোধী রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, বিধানসভাকে এড়িয়ে এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। তাই এটা সংবিধানের পরিপন্থী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিধানসভা চালু থাকাকালীন অর্ডিন্যান্স জারির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণ শেষ পর্যন্ত বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান সরকারকে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অর্ডিন্যান্সের সরকারি নির্দেশিকা জারি না করে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিধানসভায় একটি বিল এনে সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে নেওয়া এবং এর থেকে ৪০০ একর জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে ১৮৮৯ সালে জমি অধিগ্রহণ আইনের সংশোধনী আনা হবে, নাকি আলাদাভাবে সিঙ্গুরের জমি ফেরত নেওয়ার জন্য লিজ চুক্তি বাতিল করার বিল আনা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংবিধানের ২১৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল চাইলে যেকোনো মুহূর্তে অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করতে পারেন। সেইমতোই অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গুরের ৪৪০ একর জমি দুই হাজার ৯০০ জন চাষিকে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে চাষিদের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও জেলা শাসক থাকবেন। জানা গেছে, আগে ৪০০ একর জমি চিহ্নিত করা হবে। এরপর যার যেমন জমির পরিমাণ, সেইমতো ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জমিকে চাষের উপযোগী করে দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার নাটকীয়ভাবে অর্ডিন্যান্স জারির কথা ঘোষণা করার পরই বিরোধী রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, বিধানসভাকে এড়িয়ে এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। তাই এটা সংবিধানের পরিপন্থী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিধানসভা চালু থাকাকালীন অর্ডিন্যান্স জারির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণ শেষ পর্যন্ত বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান সরকারকে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অর্ডিন্যান্সের সরকারি নির্দেশিকা জারি না করে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিধানসভায় একটি বিল এনে সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে নেওয়া এবং এর থেকে ৪০০ একর জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে ১৮৮৯ সালে জমি অধিগ্রহণ আইনের সংশোধনী আনা হবে, নাকি আলাদাভাবে সিঙ্গুরের জমি ফেরত নেওয়ার জন্য লিজ চুক্তি বাতিল করার বিল আনা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংবিধানের ২১৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল চাইলে যেকোনো মুহূর্তে অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করতে পারেন। সেইমতোই অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গুরের ৪৪০ একর জমি দুই হাজার ৯০০ জন চাষিকে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে চাষিদের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও জেলা শাসক থাকবেন। জানা গেছে, আগে ৪০০ একর জমি চিহ্নিত করা হবে। এরপর যার যেমন জমির পরিমাণ, সেইমতো ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জমিকে চাষের উপযোগী করে দেওয়া হবে।
No comments