সিরিয়ায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা
সিরিয়ায় গত শুক্রবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলি চালিয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী। বিক্ষোভ দমনে সেনারা এদিন ট্যাংকসহ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে। এতে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে এই প্রথম সে দেশে হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করা হলো।
গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভে সিরিয়া সরকারের এই দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। সিরীয় সরকারের প্রতি এই বর্বরোচিত সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, সিরিয়া সরকার দেশটিকে ‘বিপজ্জনক পথে’ নিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সিরীয় সরকারের সেনাবাহিনী ব্যবহারকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকেরা শুক্রবার নিউইয়র্কে মিলিত হয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেন। এতে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা না থাকলেও সরকারের দমনপীড়নের নিন্দা জানানো হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ উত্থাপনের প্রস্তাব আনা হয়েছে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
সিরিয়া সরকার বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ যে খসড়া প্রস্তাব করেছে, তাতে সিরিয়ার ‘চরমপন্থী’ ও ‘সন্ত্রাসীরা’ উৎসাহিত হতে পারে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের মারিত আল-নুমান নগরে বিক্ষোভকারীদের দখলে নেওয়া একটি থানায় শুক্রবার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলি চালালে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। এ ছাড়া লাটাকিয়া বন্দরে নিহত হয় আরও নয়জন।
আবদেল রহমান আরও জানান, এদিন দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা প্রদেশের বসরা আল-হারি নগরে সেনাবাহিনীর গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। দামেস্কের কাবুন জেলায় নিহত হয়েছে আরও তিনজন বেসামরিক লোক।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিসার আল শুগহুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, জিসার আল শুগহুরের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি গ্রামে বোমা হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে আল-জিয়ারা নামের একটি গ্রামের গমখেত।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, সেনাবাহিনী ট্যাংক থেকে হামলা চালানো শুরু করার পর জিসার আল শুগহুর শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা তুরস্কসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যাওয়ায় এই শহরটি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে।
বিক্ষোভ দমনে এই প্রথম সে দেশে হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করা হলো।
গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভে সিরিয়া সরকারের এই দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। সিরীয় সরকারের প্রতি এই বর্বরোচিত সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, সিরিয়া সরকার দেশটিকে ‘বিপজ্জনক পথে’ নিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সিরীয় সরকারের সেনাবাহিনী ব্যবহারকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকেরা শুক্রবার নিউইয়র্কে মিলিত হয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেন। এতে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা না থাকলেও সরকারের দমনপীড়নের নিন্দা জানানো হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ উত্থাপনের প্রস্তাব আনা হয়েছে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
সিরিয়া সরকার বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ যে খসড়া প্রস্তাব করেছে, তাতে সিরিয়ার ‘চরমপন্থী’ ও ‘সন্ত্রাসীরা’ উৎসাহিত হতে পারে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের মারিত আল-নুমান নগরে বিক্ষোভকারীদের দখলে নেওয়া একটি থানায় শুক্রবার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলি চালালে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। এ ছাড়া লাটাকিয়া বন্দরে নিহত হয় আরও নয়জন।
আবদেল রহমান আরও জানান, এদিন দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা প্রদেশের বসরা আল-হারি নগরে সেনাবাহিনীর গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। দামেস্কের কাবুন জেলায় নিহত হয়েছে আরও তিনজন বেসামরিক লোক।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিসার আল শুগহুরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, জিসার আল শুগহুরের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি গ্রামে বোমা হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে আল-জিয়ারা নামের একটি গ্রামের গমখেত।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, সেনাবাহিনী ট্যাংক থেকে হামলা চালানো শুরু করার পর জিসার আল শুগহুর শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা তুরস্কসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যাওয়ায় এই শহরটি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে।
No comments