আফগানিস্তানে বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জালালাবাদের প্রধান বিমানবন্দর ও সেখানকার একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা। গতকাল শনিবার ভোরের দিকে এ ঘটনায় আট হামলাকারী নিহত হয়েছে। এদিকে কুন্দুজ প্রদেশের একটি বিপণিকেন্দ্রে অপর এক হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে আরও ১০ জন। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এসব হামলার ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে লিসবনে ন্যাটো জোটের নেতারা মিলিত হচ্ছেন। সেখানে আফগান যুদ্ধ ও দেশটির ভবিষ্যৎই হবে প্রধান আলোচ্যসূচি। এ ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী মাসে আফগান যুদ্ধের কৌশল নিয়ে পর্যালোচনা করবেন ।
আফগানিস্তানে তালেবানের পতনের নবম বর্ষপূর্তি ছিল গতকাল। ২০০১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান বাহিনীর কাছে পতন ঘটে তালেবান সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালে সন্ত্রাসী হামলার আগে ও পরে আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয় তালেবান সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জালালাবাদ বিমানবন্দর থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। সেখানে বিস্ফোরণ ও বন্দুকযুদ্ধের আওয়াজও পাওয়া গেছে। হেলিকপ্টারগুলো আকাশে ক্রমাগত টহল দেয়। বিমানবন্দরের কাছে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীসহ দুজন হামলাকারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনী (আইএসএএফ) জানায়, তালেবান জঙ্গিরা একই সঙ্গে বিমানবন্দরের কাছে আইএসএএফের সম্মুখ ঘাঁটিতেও হামলা চালায়। আফগান ও বিদেশি সেনারা গুলি চালিয়ে এ হামলার জবাব দিয়েছে। এতে আটজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের দেহে ছিল আত্মঘাতী হামলার পোশাক। আইএসএএফ বলেছে, জঙ্গি হামলায় আফগান বা বিদেশি সেনাদের কেউ আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, এসব হামলায় ১৪ জন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী অংশ নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, হামলায় অন্তত ৩০ জন বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আফগান কর্মকর্তারা বলেন, যেকোনো হামলার ঘটনায় তালেবানেরা বাড়িয়ে বাড়িয়ে তথ্য পরিবেশন করে। আফগান সেনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হামদর্দ বলেন, হামলায় অংশ নেওয়া আট জঙ্গি মারা গেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আইএসএএফের ঘাঁটির কাছে তিনটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সেনা পোশাকে এসব ব্যক্তির সঙ্গে ছিল রকেটচালিত গ্রেনেড ও ভারী মেশিনগান।
দিনের অপর ঘটনায় কুন্দুজ প্রদেশের ইমাম সাহেব জেলার একটি বিপণিকেন্দ্রে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বিপণিকেন্দ্রের ভেতরে একটি মোটরসাইকেলে বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দুজন পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি মারা যান। আহত হন আরও ১৮ জন।
ইমাম সাহেব জেলার প্রধান মোহাম্মদ আইয়ুব হাক্কিয়ার বলেছেন, সম্ভবত সরকারপন্থী মিলিশিয়া কমান্ডার আবদুল মান্নানকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় তিনিও মারা গেছেন।
এসব হামলার ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে লিসবনে ন্যাটো জোটের নেতারা মিলিত হচ্ছেন। সেখানে আফগান যুদ্ধ ও দেশটির ভবিষ্যৎই হবে প্রধান আলোচ্যসূচি। এ ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী মাসে আফগান যুদ্ধের কৌশল নিয়ে পর্যালোচনা করবেন ।
আফগানিস্তানে তালেবানের পতনের নবম বর্ষপূর্তি ছিল গতকাল। ২০০১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান বাহিনীর কাছে পতন ঘটে তালেবান সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালে সন্ত্রাসী হামলার আগে ও পরে আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয় তালেবান সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জালালাবাদ বিমানবন্দর থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। সেখানে বিস্ফোরণ ও বন্দুকযুদ্ধের আওয়াজও পাওয়া গেছে। হেলিকপ্টারগুলো আকাশে ক্রমাগত টহল দেয়। বিমানবন্দরের কাছে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীসহ দুজন হামলাকারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনী (আইএসএএফ) জানায়, তালেবান জঙ্গিরা একই সঙ্গে বিমানবন্দরের কাছে আইএসএএফের সম্মুখ ঘাঁটিতেও হামলা চালায়। আফগান ও বিদেশি সেনারা গুলি চালিয়ে এ হামলার জবাব দিয়েছে। এতে আটজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একজনের দেহে ছিল আত্মঘাতী হামলার পোশাক। আইএসএএফ বলেছে, জঙ্গি হামলায় আফগান বা বিদেশি সেনাদের কেউ আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, এসব হামলায় ১৪ জন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী অংশ নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, হামলায় অন্তত ৩০ জন বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আফগান কর্মকর্তারা বলেন, যেকোনো হামলার ঘটনায় তালেবানেরা বাড়িয়ে বাড়িয়ে তথ্য পরিবেশন করে। আফগান সেনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হামদর্দ বলেন, হামলায় অংশ নেওয়া আট জঙ্গি মারা গেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আইএসএএফের ঘাঁটির কাছে তিনটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সেনা পোশাকে এসব ব্যক্তির সঙ্গে ছিল রকেটচালিত গ্রেনেড ও ভারী মেশিনগান।
দিনের অপর ঘটনায় কুন্দুজ প্রদেশের ইমাম সাহেব জেলার একটি বিপণিকেন্দ্রে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বিপণিকেন্দ্রের ভেতরে একটি মোটরসাইকেলে বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দুজন পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি মারা যান। আহত হন আরও ১৮ জন।
ইমাম সাহেব জেলার প্রধান মোহাম্মদ আইয়ুব হাক্কিয়ার বলেছেন, সম্ভবত সরকারপন্থী মিলিশিয়া কমান্ডার আবদুল মান্নানকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় তিনিও মারা গেছেন।
No comments