হাইতিতে কলেরা ঠেকাতে অর্থ চেয়েছে জাতিসংঘ
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে কলেরা। দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। মহামারি রোধে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার সাহায্য চেয়েছে জাতিসংঘ। অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম কিনতে এই অর্থ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র এলিজাবেথ বায়ারস গত শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, এই সহযোগিতা আমরা পাব। আর যদি আমরা এই তহবিল সংগ্রহে ব্যর্থ হই, তাহলে হাইতিতে কলেরা মহামারি প্রতিরোধে আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, কলেরা মহামারি প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত ওষুধ, বাড়তি চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত সেবিকা ও পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জামাদি কেনার কাজে ওই তহবিল দরকার।
হাইতিতে গত ২২ অক্টোবর কলেরায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এর পর থেকে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে কলেরায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে রাজধানী পোর্ট অ প্রিন্সে এ রোগে মাত্র ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাইতিতে অন্তত আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অন্তত ১৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। রাজধানীর বিভিন্ন তাঁবুতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁরা জীবন যাপন করছে। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিশেষ করে, বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর মধ্যে কলেরা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, আগামী ছয় মাসে হাইতিতে অন্তত দুই লাখ মানুষ ডায়রিয়া কিংবা কলেরায় আক্রান্ত হবে।
ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র এলিজাবেথ বায়ারস গত শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, এই সহযোগিতা আমরা পাব। আর যদি আমরা এই তহবিল সংগ্রহে ব্যর্থ হই, তাহলে হাইতিতে কলেরা মহামারি প্রতিরোধে আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, কলেরা মহামারি প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত ওষুধ, বাড়তি চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত সেবিকা ও পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জামাদি কেনার কাজে ওই তহবিল দরকার।
হাইতিতে গত ২২ অক্টোবর কলেরায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এর পর থেকে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে কলেরায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে রাজধানী পোর্ট অ প্রিন্সে এ রোগে মাত্র ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাইতিতে অন্তত আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অন্তত ১৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। রাজধানীর বিভিন্ন তাঁবুতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁরা জীবন যাপন করছে। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিশেষ করে, বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর মধ্যে কলেরা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, আগামী ছয় মাসে হাইতিতে অন্তত দুই লাখ মানুষ ডায়রিয়া কিংবা কলেরায় আক্রান্ত হবে।
No comments