পিছু ছাড়েনি আণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তা
আজ থেকে ৬৫ বছর আগে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে আণবিক বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ হতাহত হয়। এত বছর পরও বোমার তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব রয়ে গেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি।
জাপানের সরকারি হিসাব মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে আণবিক বোমার আঘাত থেকে অন্তত দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ রক্ষা পায়। তারা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত। তেজস্ক্রিয়তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে তাঁদের শরীরে। অনেকের শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার।
হিবাকুশা লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত জিন পরবর্তী বংশধরদের শরীরেও স্থানান্তরিত হচ্ছে। এতে কেউ কেউ জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ হয়ে। দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যেও তেজস্ক্রিয়তার কুপ্রভাব পড়বে—এমন আশঙ্কা অনেককেই তাড়িয়ে বেড়ায়।
হিরোশিমায় আণবিক বোমা হামলায় আহত কাজু সাতুরের বয়স এখন ৮২ বছর। একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সাতুর অনেক শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। এখন তিনি ছেলে ও নাতিদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁর আশঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত জিন বহন করে তাঁর ছেলে কিংবা নাতিদের শরীরে বাসা বাঁধবে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি।
আশঙ্কা ও উদ্বেগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও কম নেই। একজন প্রয়াত হিবাকুশার ছেলে নোবুহিতো হিরানো (৫২)। তিনি বলেন, ‘কিছু বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন, আণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার নেতিবাচক প্রভাব দ্বিতীয় প্রজন্মের ওপর পড়েনি। আমি তাঁদের এ কথা বিশ্বাস করি না। অজানা আশঙ্কা আমার পিছু ছাড়ে না।’
হিবাকুশাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মানুষদের বিনা মূল্যে ক্যানসার পরীক্ষার কোনো পরিকল্পনা নেই জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ পরিচালনায় ‘দ্য র্যাডিয়েশন ইফেক্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ চলতি মাসের শেষের দিকে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরের হিবাকুশাদের এক হাজার ২০০ শিশুর শরীরে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার কোনো প্রভাব আছে কি না, তা বিনা মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
জাপানের সরকারি হিসাব মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে আণবিক বোমার আঘাত থেকে অন্তত দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ রক্ষা পায়। তারা ‘হিবাকুশা’ নামে পরিচিত। তেজস্ক্রিয়তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে তাঁদের শরীরে। অনেকের শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার।
হিবাকুশা লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত জিন পরবর্তী বংশধরদের শরীরেও স্থানান্তরিত হচ্ছে। এতে কেউ কেউ জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ হয়ে। দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যেও তেজস্ক্রিয়তার কুপ্রভাব পড়বে—এমন আশঙ্কা অনেককেই তাড়িয়ে বেড়ায়।
হিরোশিমায় আণবিক বোমা হামলায় আহত কাজু সাতুরের বয়স এখন ৮২ বছর। একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সাতুর অনেক শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। এখন তিনি ছেলে ও নাতিদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁর আশঙ্কা, ক্ষতিগ্রস্ত জিন বহন করে তাঁর ছেলে কিংবা নাতিদের শরীরে বাসা বাঁধবে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি।
আশঙ্কা ও উদ্বেগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও কম নেই। একজন প্রয়াত হিবাকুশার ছেলে নোবুহিতো হিরানো (৫২)। তিনি বলেন, ‘কিছু বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন, আণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার নেতিবাচক প্রভাব দ্বিতীয় প্রজন্মের ওপর পড়েনি। আমি তাঁদের এ কথা বিশ্বাস করি না। অজানা আশঙ্কা আমার পিছু ছাড়ে না।’
হিবাকুশাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মানুষদের বিনা মূল্যে ক্যানসার পরীক্ষার কোনো পরিকল্পনা নেই জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ পরিচালনায় ‘দ্য র্যাডিয়েশন ইফেক্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ চলতি মাসের শেষের দিকে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরের হিবাকুশাদের এক হাজার ২০০ শিশুর শরীরে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তার কোনো প্রভাব আছে কি না, তা বিনা মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
No comments