মুম্বাই হামলায় ভালোভাবেই জড়িত ছিল আইএসআই
২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই খুবই গভীরভাবে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছেন ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক মার্কিন নাগরিক ডেভিড হেডলি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। ভারত সরকারের এ সম্পর্কিত গোপন নথির বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান।
গত বছর জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রে আটক করা হয় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হেডলিকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত এবং পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাকে ওই হামলায় সহযোগিতা করেছেন। ভারতীয় ও মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
পত্রিকাটি ১০৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে হেডলি জানিয়েছেন, আইএসআইয়ের কর্মকর্তা ও লস্করের নেতাদের সঙ্গে তাঁর ডজন খানেক বৈঠক হয়েছে। তিনি মুম্বাইয়ে হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, এ জন্য তাঁকে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে তার কিছু অংশ এসেছে আইএসআইয়ের কাছ থেকে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তাঁকে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাতে হয়েছে।
হেডলি দাবি করেছেন, ওই হামলায় আইএসআইয়ের সহযোগিতা করার মূল কারণ ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবাকে শক্তিশালী করে তোলা। এই গোষ্ঠীটি আরও কট্টরপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কারণে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে হেডলি বলেন, ভারতে ওই হামলা চালানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আইএসআইয়ের মধ্যে কোনো সন্দেহের অবকাশ ছিল না।
তবে ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জঙ্গিদের ওপর নজরদারি করার ব্যাপারে আইএসআইয়ের মধ্যে প্রায়ই অনেক অস্পষ্টতা থাকে। সম্ভবত সংস্থার একেবারে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা মুম্বাই হামলার ব্যাপকতা নিয়ে কিছুই জানতেন না। এতে আরও বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই সংগঠন তাদের কার্যক্রম এত দিন পর্যন্ত ভারতশাসিত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করেই চালিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন সম্ভবত তারা পশ্চিমা দেশগুলোতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে লস্করের ভেতরেই সাংগঠনিক কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে বড় ধরনের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এই আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে সংগঠনে ভাঙনও দেখা দিতে পারে।
এ ব্যাপারে হেডলি জিজ্ঞাসাবাদকারীদের বলেন, আফগানিস্তানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর আক্রমণাত্মক মনোভাব ও ধর্মীয় গোঁড়ামি দেখে লস্করের সদস্যরাও প্রভাবিত হচ্ছে এবং তারা এই সংগঠন ছেড়ে আফগানদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। আর এ কারণে দলের ঐক্য টিকিয়ে রাখতে মুম্বাইয়ে হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে লস্কর। আইএসআই আশা করেছিল, এই হামলা জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে ভাঙনকে রোধ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতশাসিত কাশ্মীরে সক্রিয় ওই গোষ্ঠীগুলোতে ভাঙন বেড়ে যায়।
মুম্বাই হামলায় আইএসআইয়ের জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাটির এক মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২০০৮ সালের নভেম্বরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১৬৬ জন নিহত হন। ওই হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
গত বছর জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রে আটক করা হয় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হেডলিকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত এবং পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাকে ওই হামলায় সহযোগিতা করেছেন। ভারতীয় ও মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
পত্রিকাটি ১০৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে হেডলি জানিয়েছেন, আইএসআইয়ের কর্মকর্তা ও লস্করের নেতাদের সঙ্গে তাঁর ডজন খানেক বৈঠক হয়েছে। তিনি মুম্বাইয়ে হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, এ জন্য তাঁকে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে তার কিছু অংশ এসেছে আইএসআইয়ের কাছ থেকে। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তাঁকে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাতে হয়েছে।
হেডলি দাবি করেছেন, ওই হামলায় আইএসআইয়ের সহযোগিতা করার মূল কারণ ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবাকে শক্তিশালী করে তোলা। এই গোষ্ঠীটি আরও কট্টরপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর কারণে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ভারতীয় তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে হেডলি বলেন, ভারতে ওই হামলা চালানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আইএসআইয়ের মধ্যে কোনো সন্দেহের অবকাশ ছিল না।
তবে ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জঙ্গিদের ওপর নজরদারি করার ব্যাপারে আইএসআইয়ের মধ্যে প্রায়ই অনেক অস্পষ্টতা থাকে। সম্ভবত সংস্থার একেবারে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা মুম্বাই হামলার ব্যাপকতা নিয়ে কিছুই জানতেন না। এতে আরও বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই সংগঠন তাদের কার্যক্রম এত দিন পর্যন্ত ভারতশাসিত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করেই চালিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন সম্ভবত তারা পশ্চিমা দেশগুলোতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে লস্করের ভেতরেই সাংগঠনিক কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে বড় ধরনের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এই আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে সংগঠনে ভাঙনও দেখা দিতে পারে।
এ ব্যাপারে হেডলি জিজ্ঞাসাবাদকারীদের বলেন, আফগানিস্তানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর আক্রমণাত্মক মনোভাব ও ধর্মীয় গোঁড়ামি দেখে লস্করের সদস্যরাও প্রভাবিত হচ্ছে এবং তারা এই সংগঠন ছেড়ে আফগানদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। আর এ কারণে দলের ঐক্য টিকিয়ে রাখতে মুম্বাইয়ে হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে লস্কর। আইএসআই আশা করেছিল, এই হামলা জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে ভাঙনকে রোধ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতশাসিত কাশ্মীরে সক্রিয় ওই গোষ্ঠীগুলোতে ভাঙন বেড়ে যায়।
মুম্বাই হামলায় আইএসআইয়ের জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাটির এক মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২০০৮ সালের নভেম্বরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১৬৬ জন নিহত হন। ওই হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
No comments