আর্সেনালের ছয় চেলসির চার
কোথাও কোনো অঘটন নেই। পরশু বড় দলগুলো ইউরোপ-শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শুরুটা করল জয় দিয়েই। স্প্যানিশ লিগটা জয় দিয়ে শুরু করতে পারেননি হোসে মরিনহো। তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইউরোপ অভিযানের শুরুটা তাঁর জয় দিয়েই হলো। জয় পেয়েছে ইংল্যান্ডের দুই পরাশক্তি চেলসি ও আর্সেনাল আর ইতালির এসি মিলান। কষ্টার্জিত হলেও, জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে এই চার দলের মধ্যে বড় জয় পেয়েছে ইংলিশ দুই ক্লাব আর্সেনাল ও চেলসিই। নিজেদের মাঠে আর্সেনাল ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগালের স্পোর্টিং ব্রাগাকে। স্লোভাকিয়ার এমএসকে জিলিনাকে তাদের মাঠে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফিরেছে চেলসি। রিয়াল, বায়ার্ন আর মিলান তিনটি দলই জিতেছে ২-০ গোলে। নিজেদের মাঠে রিয়ালের জয়টি সাবেক চ্যাম্পিয়ন আয়াক্স আমস্টারডামের বিপক্ষে। আর বায়ার্ন তাদের মাঠে হারিয়েছে ইতালির এএস রোমাকে। তবে ইতালির আরেক দল এসি মিলান নিজেদের মাঠে জয় পেয়েছে অজেরির বিপক্ষে।
শক্তির বিচারে বায়ার্ন ও রোমার ব্যবধান বড়জোর আঠারো-বিশ। এর পরও গতবারের রানার্সআপ বায়ার্নের কষ্টার্জিত জয়টা ঠিক মেনে নিতে পারেনি সমর্থকেরা। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ ছিল লুইস ফন গলের দল। দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেললেও গোল পেতে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৭৯ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সোনার জুতাজয়ী টমাস মুলার। ৪ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান বিশ্বকাপে রোনালদোর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের পেছনে ছোটা মিরোস্লাভ ক্লোসা।
জয়টা কষ্টে এসেছে ঠিক, তবে বায়ার্ন সময় যেতে যেতে আরও ভালো করবে বলেই বিশ্বাস কোচ ফন গলের। রোমার অতি রক্ষণাত্মক খেলার সমালোচনা করে সমর্থকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন বায়ার্নের ডাচ কোচ, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমি মনে করি, আমরা ভালোই খেলেছি। তারা (রোমা) শুধু রক্ষণাত্মক খেলেছে। আমাদের সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
মরিনহোর অবশ্য এসব কথা বলার প্রয়োজন পড়েনি। দল খুব বড় জয় হয়তো পায়নি। তবে আনিটার আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে হিগুয়েইনের গোল মিলে আসা তাদের জয়টি এসেছে আয়াক্সকে দলিতমথিত করে। ম্যাচ শেষে মরিনহো তাই বলতে পারলেন, ‘দুর্দান্ত খেলেছি আমরা।’
রিয়াল অসাধারণ ফুটবলই খেলেছে এদিন। এবং তা মরিনহোর ফুটবল-দর্শনের বাইরে গিয়ে। ১৯৭১ থেকে ’৭৩, টানা তিন বছরের চ্যাম্পিয়ন আয়াক্সকে শুরু থেকেই চেপে ধরে রিয়াল। ওজিল, রোনালদো, ডি মারিয়ারা মিলে আয়াক্সের গোলে নিয়েছেন ৩৫টি শট। এই চাপ সামলাতে পারেনি আয়াক্স। প্রথম গোলটিও সেই সাক্ষ্য দেয়। ৩১ মিনিটে ওজিল, ডি মারিয়া, রোনালদো আর হিগুয়েইন সমন্বিত আক্রমণ থেকেই গোল পায় রিয়াল। বল বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন আনিটা।
দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে। সেটিও মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া চিপ করে বল দিয়েছিলেন মেসুত ওজিলকে। তাঁর শটটি আয়াক্স গোলরক্ষক স্টেকেলেনবার্গ ফিরিয়ে দেন। বলটি আবার ওজিলের পায়ে ফিরে এলে তিনি সেটি দিয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা হিগুয়েইনকে। হিগুয়েইন ছোট্ট ভলিতে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও দুটির বেশি গোল পায়নি রিয়াল। তবে আর্সেনাল আক্রমণ যেমন করেছে, তেমনি গোলও পেয়েছে। ব্রাগার জালে আর্সেনালের গোল-বন্যার শুরুটা করেন অধিনায়ক সেস ফ্যাব্রিগাস। জোড়া গোল করেছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। মেক্সিকান ফরোয়ার্ড কার্লোস ভেলাও তাই। বাকি দুটি গোল চামাক ও আন্দ্রেই আরশাভিনের।
চেলসির জয়ে বড় ভূমিকা বিশ্বকাপে বহিষ্কৃত ফরাসি স্ট্রাইকার নিকোলাস আনেলকার। জোড়া গোল করেছেন তিনি। চেলসির বাকি দুটি গোল মাইকেল এসিয়েন ও স্টারিজের। এদিকে বার্সেলোনা ছেড়ে মিলানে যাওয়ার এই প্রথম পায়ের নিচে যেন মাটি পেলেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। মিলানের দুটি গোলই করেছেন তিনি।
তবে এই চার দলের মধ্যে বড় জয় পেয়েছে ইংলিশ দুই ক্লাব আর্সেনাল ও চেলসিই। নিজেদের মাঠে আর্সেনাল ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগালের স্পোর্টিং ব্রাগাকে। স্লোভাকিয়ার এমএসকে জিলিনাকে তাদের মাঠে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফিরেছে চেলসি। রিয়াল, বায়ার্ন আর মিলান তিনটি দলই জিতেছে ২-০ গোলে। নিজেদের মাঠে রিয়ালের জয়টি সাবেক চ্যাম্পিয়ন আয়াক্স আমস্টারডামের বিপক্ষে। আর বায়ার্ন তাদের মাঠে হারিয়েছে ইতালির এএস রোমাকে। তবে ইতালির আরেক দল এসি মিলান নিজেদের মাঠে জয় পেয়েছে অজেরির বিপক্ষে।
শক্তির বিচারে বায়ার্ন ও রোমার ব্যবধান বড়জোর আঠারো-বিশ। এর পরও গতবারের রানার্সআপ বায়ার্নের কষ্টার্জিত জয়টা ঠিক মেনে নিতে পারেনি সমর্থকেরা। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ ছিল লুইস ফন গলের দল। দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেললেও গোল পেতে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৭৯ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সোনার জুতাজয়ী টমাস মুলার। ৪ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান বিশ্বকাপে রোনালদোর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের পেছনে ছোটা মিরোস্লাভ ক্লোসা।
জয়টা কষ্টে এসেছে ঠিক, তবে বায়ার্ন সময় যেতে যেতে আরও ভালো করবে বলেই বিশ্বাস কোচ ফন গলের। রোমার অতি রক্ষণাত্মক খেলার সমালোচনা করে সমর্থকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন বায়ার্নের ডাচ কোচ, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমি মনে করি, আমরা ভালোই খেলেছি। তারা (রোমা) শুধু রক্ষণাত্মক খেলেছে। আমাদের সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
মরিনহোর অবশ্য এসব কথা বলার প্রয়োজন পড়েনি। দল খুব বড় জয় হয়তো পায়নি। তবে আনিটার আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে হিগুয়েইনের গোল মিলে আসা তাদের জয়টি এসেছে আয়াক্সকে দলিতমথিত করে। ম্যাচ শেষে মরিনহো তাই বলতে পারলেন, ‘দুর্দান্ত খেলেছি আমরা।’
রিয়াল অসাধারণ ফুটবলই খেলেছে এদিন। এবং তা মরিনহোর ফুটবল-দর্শনের বাইরে গিয়ে। ১৯৭১ থেকে ’৭৩, টানা তিন বছরের চ্যাম্পিয়ন আয়াক্সকে শুরু থেকেই চেপে ধরে রিয়াল। ওজিল, রোনালদো, ডি মারিয়ারা মিলে আয়াক্সের গোলে নিয়েছেন ৩৫টি শট। এই চাপ সামলাতে পারেনি আয়াক্স। প্রথম গোলটিও সেই সাক্ষ্য দেয়। ৩১ মিনিটে ওজিল, ডি মারিয়া, রোনালদো আর হিগুয়েইন সমন্বিত আক্রমণ থেকেই গোল পায় রিয়াল। বল বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন আনিটা।
দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে। সেটিও মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া চিপ করে বল দিয়েছিলেন মেসুত ওজিলকে। তাঁর শটটি আয়াক্স গোলরক্ষক স্টেকেলেনবার্গ ফিরিয়ে দেন। বলটি আবার ওজিলের পায়ে ফিরে এলে তিনি সেটি দিয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা হিগুয়েইনকে। হিগুয়েইন ছোট্ট ভলিতে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও দুটির বেশি গোল পায়নি রিয়াল। তবে আর্সেনাল আক্রমণ যেমন করেছে, তেমনি গোলও পেয়েছে। ব্রাগার জালে আর্সেনালের গোল-বন্যার শুরুটা করেন অধিনায়ক সেস ফ্যাব্রিগাস। জোড়া গোল করেছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। মেক্সিকান ফরোয়ার্ড কার্লোস ভেলাও তাই। বাকি দুটি গোল চামাক ও আন্দ্রেই আরশাভিনের।
চেলসির জয়ে বড় ভূমিকা বিশ্বকাপে বহিষ্কৃত ফরাসি স্ট্রাইকার নিকোলাস আনেলকার। জোড়া গোল করেছেন তিনি। চেলসির বাকি দুটি গোল মাইকেল এসিয়েন ও স্টারিজের। এদিকে বার্সেলোনা ছেড়ে মিলানে যাওয়ার এই প্রথম পায়ের নিচে যেন মাটি পেলেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। মিলানের দুটি গোলই করেছেন তিনি।
No comments