বিদ্রোহী আনেলকা-ইব্রার জবাব
ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনকে (এফএফএফ) আক্ষেপে পুড়িয়ে গোল করেই চলেছেন নিকোলাস আনেলকা। পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে জিলিনার বিপক্ষে জোড়া গোলের গৌরব মাখল তাঁর বুট জোড়া। এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও জোড়া গোল করেছিলেন উইগান অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে। মৌসুমের শুরুতে ৫ ম্যাচে ৪ গোল। ফ্রান্সের জাতীয় দলের এই দুঃসময়ে আনেলকার দুর্দান্ত ফর্ম এফএফএফকে নিশ্চয়ই পোড়াচ্ছে। বিশ্বকাপের পর যে ১৮ ম্যাচের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে এফএফএফ।
মাঠে যা করছেন, তাতেই দেশের ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিদের নাকে খত দেওয়ার জোগাড়। কিন্তু ‘বিদ্রোহী’ আনেলকা শুধু গোল করেই সন্তুষ্ট নন। প্রতিবাদের ভাষা জানাতে বেছে নিয়েছেন গোল উদ্যাপনের বিভিন্ন ভঙ্গি। পরশুই যেমন এমন একটা ভাব করলেন, অদৃশ্য হাতকড়া কেউ পরিয়ে দিয়েছে তাঁকে। ম্যাচের শেষেও একরকম ধুয়ে দিলেন এফএফএফকে, ‘আমি এমনটা করেছি ফ্রেঞ্চ ফেডারেশনের উদ্দেশেই। যা হয়ে গেছে সেটা এখন আমার জন্য স্রেফ অতীত। আমি এখনো পুরোপুরি চেলসিকে নিয়ে ভাবছি।’
শুধুই চেলসি? জাতীয় দল যদি আবার ডাকে, দুঃসময়ে কি সাড়া দেবেন না? মাত্রই তো ফ্রান্স তাদের ফুটবল ইতিহাসেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। আনেলকার রূঢ় জবাব, ‘না, কখনোই আর খেলব না।’
পরশু জোড়া গোল করেছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচও। আনেলকার মতো প্রতিবাদী উদ্যাপন তিনি করেননি। চাইলে করতে পারতেন। তাঁরও যে পাল্টা জবাব দেওয়ার ছিল। বার্সেলোনা ছেড়ে আসার পর পেপ গার্দিওলার সঙ্গে কয়েক দফা বাক্যবাণ চালাচালি করেছেন। মিলানের হয়ে ইউরোপ-অভিষেকে জোড়া গোল সেই জবাবেরই একটা অংশ কি না, কে জানে। একটা রেকর্ডও করে ফেলেছেন। ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করার।
পরশু জোড়া গোলদাতার তালিকায় নাম আছে দুই আর্সেনাল খেলোয়াড়ের। সেস ফ্যাব্রিগাস আর কার্লোস ভেলা। ফ্যাব্রিগাসের জন্য জবাব দেওয়ার কিছু ছিল না, ছিল গানার সমর্থকদের মন জিতে নেওয়ার। গত বিশ্বকাপের আগে-পরে তাঁর বার্সেলোনায় চলে যাওয়া নিয়ে অনেক কথাবার্তাই হয়েছে। ফ্যাব্রিগাসও ঠারেঠোরে জানিয়ে দিয়েছিলেন, নিজের শেকড়ে ফিরে যেতে তিনি উদ্গ্রীব। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ইংল্যান্ডের ক্লাবটিতেই থেকে যেতে হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করেছিল, ফ্যাব্রিগাস হয়তো মনখুলে খেলতে পারবেন না। কারণ বার্সা-আর্সেনাল সমঝোতা হয়েছে, পরের মৌসুমে এই মিডফিল্ডার চলে যাবেন ন্যু ক্যাম্পে। তা-ই যদি হয়, ফ্যাব্রিগাসের মন তো সেখানেই পড়ে থাকার কথা।
কিন্তু না। মৌসুমের শুরুতে ৪ ম্যাচে দুটি গোল করে এবং তাঁর মূল কাজ যেটি—তিনটি গোল করিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, আর্সেনালের অধিনায়কের বন্ধনী শুধু বাহুতে নয়, ধারণ করে আছেন হূদয়েও। আর ২১ বছর বয়সী কার্লোস ভেলা এই মৌসুমে তিন ম্যাচে সমান গোল করে আর্সেন ওয়েঙ্গারের কাছে বার্তা পাঠালেন, তাঁকে আর ধারে এ-ক্লাব সে-ক্লাবে পাঠানোর দরকার নেই। গানারদের হয়ে তোপ দাগানোর জন্য তিনি প্রস্তুত।
গতবারের রানার্সআপ বায়ার্ন মিউনিখের শুভসূচনা হয়েছে টমাস মুলার আর মিরোস্লাভ ক্লোসার পায়ে। জার্মানির দুই বিশ্বকাপ হিরো শক্ত প্রতিপক্ষ রোমার বিপক্ষে দেরিতে হলেও দলকে পুরো ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। দুজনের গোল পাওয়াটা বায়ার্নের জন্য সুখবর। এবার মৌসুমের শুরুটা যে খুব একটা ইতিবাচক হয়নি গতবারের ‘ডাবল’জয়ীদের, তাতে মুলার-ক্লোসার বিশ্বকাপের আলোটা ফিরিয়ে আনতে না পারার কারণটাই মূল।
মাঠে যা করছেন, তাতেই দেশের ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাব্যক্তিদের নাকে খত দেওয়ার জোগাড়। কিন্তু ‘বিদ্রোহী’ আনেলকা শুধু গোল করেই সন্তুষ্ট নন। প্রতিবাদের ভাষা জানাতে বেছে নিয়েছেন গোল উদ্যাপনের বিভিন্ন ভঙ্গি। পরশুই যেমন এমন একটা ভাব করলেন, অদৃশ্য হাতকড়া কেউ পরিয়ে দিয়েছে তাঁকে। ম্যাচের শেষেও একরকম ধুয়ে দিলেন এফএফএফকে, ‘আমি এমনটা করেছি ফ্রেঞ্চ ফেডারেশনের উদ্দেশেই। যা হয়ে গেছে সেটা এখন আমার জন্য স্রেফ অতীত। আমি এখনো পুরোপুরি চেলসিকে নিয়ে ভাবছি।’
শুধুই চেলসি? জাতীয় দল যদি আবার ডাকে, দুঃসময়ে কি সাড়া দেবেন না? মাত্রই তো ফ্রান্স তাদের ফুটবল ইতিহাসেই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। আনেলকার রূঢ় জবাব, ‘না, কখনোই আর খেলব না।’
পরশু জোড়া গোল করেছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচও। আনেলকার মতো প্রতিবাদী উদ্যাপন তিনি করেননি। চাইলে করতে পারতেন। তাঁরও যে পাল্টা জবাব দেওয়ার ছিল। বার্সেলোনা ছেড়ে আসার পর পেপ গার্দিওলার সঙ্গে কয়েক দফা বাক্যবাণ চালাচালি করেছেন। মিলানের হয়ে ইউরোপ-অভিষেকে জোড়া গোল সেই জবাবেরই একটা অংশ কি না, কে জানে। একটা রেকর্ডও করে ফেলেছেন। ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করার।
পরশু জোড়া গোলদাতার তালিকায় নাম আছে দুই আর্সেনাল খেলোয়াড়ের। সেস ফ্যাব্রিগাস আর কার্লোস ভেলা। ফ্যাব্রিগাসের জন্য জবাব দেওয়ার কিছু ছিল না, ছিল গানার সমর্থকদের মন জিতে নেওয়ার। গত বিশ্বকাপের আগে-পরে তাঁর বার্সেলোনায় চলে যাওয়া নিয়ে অনেক কথাবার্তাই হয়েছে। ফ্যাব্রিগাসও ঠারেঠোরে জানিয়ে দিয়েছিলেন, নিজের শেকড়ে ফিরে যেতে তিনি উদ্গ্রীব। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ইংল্যান্ডের ক্লাবটিতেই থেকে যেতে হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করেছিল, ফ্যাব্রিগাস হয়তো মনখুলে খেলতে পারবেন না। কারণ বার্সা-আর্সেনাল সমঝোতা হয়েছে, পরের মৌসুমে এই মিডফিল্ডার চলে যাবেন ন্যু ক্যাম্পে। তা-ই যদি হয়, ফ্যাব্রিগাসের মন তো সেখানেই পড়ে থাকার কথা।
কিন্তু না। মৌসুমের শুরুতে ৪ ম্যাচে দুটি গোল করে এবং তাঁর মূল কাজ যেটি—তিনটি গোল করিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, আর্সেনালের অধিনায়কের বন্ধনী শুধু বাহুতে নয়, ধারণ করে আছেন হূদয়েও। আর ২১ বছর বয়সী কার্লোস ভেলা এই মৌসুমে তিন ম্যাচে সমান গোল করে আর্সেন ওয়েঙ্গারের কাছে বার্তা পাঠালেন, তাঁকে আর ধারে এ-ক্লাব সে-ক্লাবে পাঠানোর দরকার নেই। গানারদের হয়ে তোপ দাগানোর জন্য তিনি প্রস্তুত।
গতবারের রানার্সআপ বায়ার্ন মিউনিখের শুভসূচনা হয়েছে টমাস মুলার আর মিরোস্লাভ ক্লোসার পায়ে। জার্মানির দুই বিশ্বকাপ হিরো শক্ত প্রতিপক্ষ রোমার বিপক্ষে দেরিতে হলেও দলকে পুরো ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন। দুজনের গোল পাওয়াটা বায়ার্নের জন্য সুখবর। এবার মৌসুমের শুরুটা যে খুব একটা ইতিবাচক হয়নি গতবারের ‘ডাবল’জয়ীদের, তাতে মুলার-ক্লোসার বিশ্বকাপের আলোটা ফিরিয়ে আনতে না পারার কারণটাই মূল।
No comments