জঙ্গি দমনে অব্যাহত নজরদারির বিকল্প নেই -রাজধানীতে জেএমবির আস্তানা
জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন সাফল্য দাবি করে আসছিল, তখনই রাজধানীতে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নতুন আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনা স্বভাবতই শান্তিপ্রিয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করবে। জঙ্গিরা সেখানে কেবল আস্তানাই গাড়েনি, অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও প্রস্তুত ছিল। গত রোববার রাতে দনিয়ার শাহজালাল এলাকায় পুলিশ অভিযান চালালে জঙ্গিরা তাদের ওপর বোমা হামলা চালায়। এতে পুলিশসহ ১২ জন আহত হন। আত্মঘাতী বোমা হামলায় জেএমবির কথিত সামরিক শাখার কমান্ডার শিবলীও আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই দিন কুড়িগ্রামে জঙ্গি সন্দেহে ১৪ জনের আটক হওয়ার ঘটনাও প্রমাণ করে, জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ হয়নি। কয়েক দিন আগে রাজধানীর মিরপুর ও টঙ্গীতেও বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছিল।
জঙ্গি তৎপরতার বিষয়টি শুধু আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়। জঙ্গিবাদ প্রচলিত আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। তারা সংবিধান, গণতন্ত্র, রাষ্ট্র কিছুই মানে না। যারাই তাদের মতের বিরোধী, বোমাবাজি করে তাদেরই কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতে চায়। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জঙ্গিরা সারা দেশে ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, জঙ্গিরা একেবারে নিষ্ক্রিয় না হলেও বড় ধরনের হামলা পরিচালনার ক্ষমতা তাদের নেই। তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত না করেও যে কথাটি বলা প্রয়োজন তা হলো, জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
এ কথাও মনে রাখতে হবে, কেবল অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের নির্মূল করা যাবে না। যে রাজনৈতিক মতবাদ তাদের এই মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা জোগায়, মানুষ মারতে শেখায়, সেই রাজনীতির ভুলগুলোও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণের কাজটিও করতে হবে সরকারকে, পাশাপাশি তাদের অস্ত্র ও অর্থের উৎসও বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পথ ও মতের ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু যে অপরাজনীতি মানবতা ও সভ্যতার পরিপন্থী, তার বিরুদ্ধে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। দলীয় বা সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে জঙ্গিবাদের ব্যবহারের আত্মঘাতী পথও পরিহার করতে হবে তাদের। বৃহত্তর সমাজের সমর্থন তথা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেলে এই অপশক্তি ধ্বংস হতে বাধ্য।
জঙ্গি তৎপরতার বিষয়টি শুধু আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়। জঙ্গিবাদ প্রচলিত আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। তারা সংবিধান, গণতন্ত্র, রাষ্ট্র কিছুই মানে না। যারাই তাদের মতের বিরোধী, বোমাবাজি করে তাদেরই কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিতে চায়। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জঙ্গিরা সারা দেশে ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, জঙ্গিরা একেবারে নিষ্ক্রিয় না হলেও বড় ধরনের হামলা পরিচালনার ক্ষমতা তাদের নেই। তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত না করেও যে কথাটি বলা প্রয়োজন তা হলো, জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।
এ কথাও মনে রাখতে হবে, কেবল অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের নির্মূল করা যাবে না। যে রাজনৈতিক মতবাদ তাদের এই মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্ররোচনা জোগায়, মানুষ মারতে শেখায়, সেই রাজনীতির ভুলগুলোও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণের কাজটিও করতে হবে সরকারকে, পাশাপাশি তাদের অস্ত্র ও অর্থের উৎসও বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পথ ও মতের ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু যে অপরাজনীতি মানবতা ও সভ্যতার পরিপন্থী, তার বিরুদ্ধে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। দলীয় বা সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে জঙ্গিবাদের ব্যবহারের আত্মঘাতী পথও পরিহার করতে হবে তাদের। বৃহত্তর সমাজের সমর্থন তথা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেলে এই অপশক্তি ধ্বংস হতে বাধ্য।
No comments