ঝাড়খন্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা
ভারতের ঝাড়খন্ড ও বিহারে মাওবাদীদের ডাকা দুই দিনের বনেধর প্রথম দিনে ঝাড়খন্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। আগুন দেওয়া হয়েছে ট্রাকে। মাওবাদীরা জানিয়েছে, শক্তি প্রয়োগ করে সিপিআইয়ের (মাওবাদী) আন্দোলন দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টার প্রতিবাদে তারা এই বনেধর ডাক দিয়েছে।
ধানবাদ রেল বিভাগের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা অমরেন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, মাওবাদীরা রাত আড়াইটার দিকে ধানবাদের কয়লাখনি অঞ্চলে রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ায় শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচির সঙ্গে দিল্লির রেল যোগাযোগ।
গিরিডির পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট রবি কান্ত ধন বলেন, রাত একটার দিকে গিরিডির ইসরি এলাকায় প্রায় ১২ জন সশস্ত্র মাওবাদী তিনটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় গাছ কেটে ডুমরি-গিরিডি সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিদ্রোহীরা।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরক দিয়ে ডুমরি ও গ্রান্ড ট্রাংক রোড সংযোগকারী একটি সেতুর অংশবিশেষ উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। গিরিডির পরশনাথ এলাকার দেয়ালে পোস্টার সেঁটেছে বিদ্রোহীরা।
এদিকে গতকাল সোমবার পাকুর জেলার ছোটপাহাড় এলাকায় একটি বেসরকারি খনি কোম্পানির দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। মাওবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাওবাদীদের ডাকা বন্ধ সামনে রেখে বিহারে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নীলমনি বলেন, বন্ধ্ সামনে রেখে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নীলমনি জানান, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্পেশাল অক্সিলিয়ারি পুলিশ (এসএপি) ও বিহার মিলিটারি পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মাওবাদীদের হাতে চার বছরে দুই হাজারের বেশি খুন
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত চার বছর অর্থাত্ ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত এই প্রায় চার বছরে মাওবাদীদের হাতে ভারতের মাওবাদী অধ্যুষিত চার রাজ্যে খুন হয়েছে দুই হাজার ২১২ জন। রাজ্য চারটি হলো ঝাড়খন্ড, বিহার, ছত্তিশগড় ও উড়িষ্যা। পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষ তাদের হাতে খুন হয়েছে।
ধানবাদ রেল বিভাগের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা অমরেন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, মাওবাদীরা রাত আড়াইটার দিকে ধানবাদের কয়লাখনি অঞ্চলে রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ায় শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচির সঙ্গে দিল্লির রেল যোগাযোগ।
গিরিডির পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট রবি কান্ত ধন বলেন, রাত একটার দিকে গিরিডির ইসরি এলাকায় প্রায় ১২ জন সশস্ত্র মাওবাদী তিনটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় গাছ কেটে ডুমরি-গিরিডি সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিদ্রোহীরা।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরক দিয়ে ডুমরি ও গ্রান্ড ট্রাংক রোড সংযোগকারী একটি সেতুর অংশবিশেষ উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। গিরিডির পরশনাথ এলাকার দেয়ালে পোস্টার সেঁটেছে বিদ্রোহীরা।
এদিকে গতকাল সোমবার পাকুর জেলার ছোটপাহাড় এলাকায় একটি বেসরকারি খনি কোম্পানির দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। মাওবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাওবাদীদের ডাকা বন্ধ সামনে রেখে বিহারে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নীলমনি বলেন, বন্ধ্ সামনে রেখে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নীলমনি জানান, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্পেশাল অক্সিলিয়ারি পুলিশ (এসএপি) ও বিহার মিলিটারি পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
মাওবাদীদের হাতে চার বছরে দুই হাজারের বেশি খুন
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত চার বছর অর্থাত্ ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত এই প্রায় চার বছরে মাওবাদীদের হাতে ভারতের মাওবাদী অধ্যুষিত চার রাজ্যে খুন হয়েছে দুই হাজার ২১২ জন। রাজ্য চারটি হলো ঝাড়খন্ড, বিহার, ছত্তিশগড় ও উড়িষ্যা। পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষ তাদের হাতে খুন হয়েছে।
No comments