বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগ, ৪০ বছর পর কিউবার এক নাগরিক গ্রেপ্তার
৪১ বছর আগে সংঘটিত এক যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগে কিউবার একজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। গত রোববার দুপুরে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) চার দশক ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছিল লুইস আরমান্ডো পেনা সোলটার্ন নামের এই কিউবান নাগরিককে। তাঁর বর্তমান বয়স ৬৬ বছর। ১৯৬৮ সালের ২৪ নভেম্বর প্যান আমেরিকান এয়ারলাইনসের ২৮১ ফ্লাইটের বিমানটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে লুইস আরমান্ডো জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এফবিআই তাদের অভিযোগপত্রে বলেছে, ৯৬ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রুসহ পুয়ের্তোরিকোগামী ফ্লাইটটি ছিনতাই করেছিলেন লুইস। তিনি অন্য দুজন সহযোগীসহ অস্ত্রের মুখে বিমানের ককপিটের নিয়ন্ত্রণ নেন। পাইলটকে পুয়ের্তোরিকোর পরিবর্তে কিউবার হাভানায় বিমানটি অবতরণ করাতে বাধ্য করেন।
১৯৬৮ সালের দিকে কিউবার বিপ্লবীদের হাতে মার্কিন বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ ঘটছিল। চরমপন্থী বিপ্লবীরা বন্দিমুক্তি ও মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বিমান ছিনতাই করতেন। ১৯৬৮ সালেই কমপক্ষে ৩০টি মার্কিন বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৪ নভেম্বর এক দিনেই দুটি বিমান ছিনতাই হয়। এর একটির সঙ্গে লুইস আরমান্ডো জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন কিউবা ছিল এই ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য। এফবিআই কখনো এঁদের পিছু ছাড়েনি। কিউবা থেকে এসব ছিনতাইকারীকে ধরে আনার বহু উদ্যোগ নেয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তবে এ ব্যাপারে কিউবার সরকারের সহযোগিতা পায়নি এফবিআই।
গত মাসে লুইস আরমান্ডোর মামলাটি পুনরায় চালু করার জন্য আবেদন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদ রয়েছে যে ফেরারি লুইস আরমান্ডো তাঁর স্বজনদের দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসার চেষ্টা করছেন। এরপর রোববার হঠাত্ করেই ঘোষণা দেওয়া হয়, তাঁকে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লুইস আরমান্ডোকে কিউবা থেকে এফবিআই ধরে নিয়ে এসেছে কি না—এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিউবার বর্তমান সরকারের কোনো সহযোগিতার কথাও জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে এফবিআইয়ের নিউইয়র্ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক জোসেফ ডেমারেন্ট বলেছেন, ফেরারি অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও বিচার-প্রক্রিয়ায় নিয়ে না আসা পর্যন্ত এফবিআই ক্ষান্ত হয় না; লুইসের গ্রেপ্তারে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।
দোষী প্রমাণিত হলে লুইস আরমান্ডোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এর আগে ওই বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় লুইসের অপর দুই সহযোগী জো রিওস ও মিগুয়েল কাস্ত্রোকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল এফবিআই। বিচারে তাঁদের যথাক্রমে ১৫ ও ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) চার দশক ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছিল লুইস আরমান্ডো পেনা সোলটার্ন নামের এই কিউবান নাগরিককে। তাঁর বর্তমান বয়স ৬৬ বছর। ১৯৬৮ সালের ২৪ নভেম্বর প্যান আমেরিকান এয়ারলাইনসের ২৮১ ফ্লাইটের বিমানটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে লুইস আরমান্ডো জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এফবিআই তাদের অভিযোগপত্রে বলেছে, ৯৬ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রুসহ পুয়ের্তোরিকোগামী ফ্লাইটটি ছিনতাই করেছিলেন লুইস। তিনি অন্য দুজন সহযোগীসহ অস্ত্রের মুখে বিমানের ককপিটের নিয়ন্ত্রণ নেন। পাইলটকে পুয়ের্তোরিকোর পরিবর্তে কিউবার হাভানায় বিমানটি অবতরণ করাতে বাধ্য করেন।
১৯৬৮ সালের দিকে কিউবার বিপ্লবীদের হাতে মার্কিন বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ ঘটছিল। চরমপন্থী বিপ্লবীরা বন্দিমুক্তি ও মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বিমান ছিনতাই করতেন। ১৯৬৮ সালেই কমপক্ষে ৩০টি মার্কিন বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৪ নভেম্বর এক দিনেই দুটি বিমান ছিনতাই হয়। এর একটির সঙ্গে লুইস আরমান্ডো জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন কিউবা ছিল এই ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য। এফবিআই কখনো এঁদের পিছু ছাড়েনি। কিউবা থেকে এসব ছিনতাইকারীকে ধরে আনার বহু উদ্যোগ নেয় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তবে এ ব্যাপারে কিউবার সরকারের সহযোগিতা পায়নি এফবিআই।
গত মাসে লুইস আরমান্ডোর মামলাটি পুনরায় চালু করার জন্য আবেদন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদ রয়েছে যে ফেরারি লুইস আরমান্ডো তাঁর স্বজনদের দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসার চেষ্টা করছেন। এরপর রোববার হঠাত্ করেই ঘোষণা দেওয়া হয়, তাঁকে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লুইস আরমান্ডোকে কিউবা থেকে এফবিআই ধরে নিয়ে এসেছে কি না—এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিউবার বর্তমান সরকারের কোনো সহযোগিতার কথাও জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে এফবিআইয়ের নিউইয়র্ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক জোসেফ ডেমারেন্ট বলেছেন, ফেরারি অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও বিচার-প্রক্রিয়ায় নিয়ে না আসা পর্যন্ত এফবিআই ক্ষান্ত হয় না; লুইসের গ্রেপ্তারে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।
দোষী প্রমাণিত হলে লুইস আরমান্ডোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এর আগে ওই বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় লুইসের অপর দুই সহযোগী জো রিওস ও মিগুয়েল কাস্ত্রোকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল এফবিআই। বিচারে তাঁদের যথাক্রমে ১৫ ও ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়।
No comments