ভুতুরে এলাকা
গাজার উত্তরাঞ্চল অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। ইতিমধ্যে ইসরাইলি হামলায় সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার মানুষ। নিখোঁছ আছেন অনেকে। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাঝেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী । গুম, খুন ও লাগাতার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই এলাকা। ফলে অঞ্চলটিকে ভুতুড়ে বলে আখ্যায়িত করছেন অনেকে। এ তথ্য দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। ওই অঞ্চলের একটি মেডিকেল সোর্স আল-জাজিরা’কে জানায়, অক্টোবরের শুরুতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারান আরও ৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরাইলের অতর্কিত হামলাকে জাতিগত নির্মূল, উৎখাত ও ধ্বংসের ভয়ংকর রূপ হিসেবে আখ্যায়িত করে। দেইর আল-বালা থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খওদারি বলেন, গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ এর ভুতুড়ে এলাকা। তিনি আরও বলেন, পদ্ধতিগতভাবে গাজাবাসীর ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল, স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি হাসপাতালেও রেহাই পাচ্ছেন না তারা। উত্তারাঞ্চলের সবচেয়ে সুনামধন্য হাসপাতাল কামাল আদওয়ান। ডিসেম্বরের শেষে সেখানে আক্রমণ চালায় ইসরাইলি বাহিনী । ধ্বংস করে দেয়া হয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আটক করা হয় হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াকে। অবিচল হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফিলিস্তিনের অন্য অঞ্চলগুলোও। রোববার উত্তরাঞ্চলের নুসেইরাত শরনার্থী শিবিরের আবাসিক ভবনে জোরপূর্বক উচ্ছেদের আদেশ দেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, যদি সেখানে অবস্থানরতরা ওই এলাকা না ছাড়েন তবে তাদের প্রাণহানির ঝুঁকি আছে। ইতিমধ্যে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির লক্ষ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ইসরাইল। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে কথা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে। কথোপকথনের সময় এ বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতির তাগিদ দেন জো বাইডেন। ক্ষমতা ছাড়ার আগে এ সমস্যার সুরাহা করতে চাইছেন বাইডেন। এখানে বাধ সেধেছেন ইসরাইলের নেতারা। তারা জোর দিয়ে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হলেও যুদ্ধ থামবে না। এছাড়া তারা ওই অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।
No comments