ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু ডেমোক্রেটদের
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু
করেছে ডেমোক্রেটরা। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও এবার প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেনের ক্ষতি করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাহায্য চেয়েছিলেন
ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে এ জন্য
চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার এ খবর ফাঁস হওয়ার পর চারদিকে
উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ জন্য প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলে
শীর্ষ স্থানীয় ডেমোক্রেট ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি
মন্তব্য করেছেন। তবে কোনো অনুচিত কাজ করেননি বলে ওইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান
করেছেন ট্রাম্প। তিনি ডেমোক্রেটদের অভিশংসন প্রচেষ্টাকে ‘জাদুবিদ্যার
আবর্জনা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই অভিশংসন প্রক্রিয়ায় ডেমোক্রেটদের পক্ষ
থেকে জোরালো সমর্থন থাকলেও তা খুব বেশিদূর অগ্রসর হতে পারবে বলে মনে হয় না।
কারণ, কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে।
সেখানে এ প্রক্রিয়া বা প্রস্তাব পাস নাও হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন
বিবিসি।
ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে ট্রাম্প আসলে কি বলেছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারা যাতে এই তদন্তে বাধ্য হয় এ জন্য তিনি তাদেরকে দেয়া সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে যখন মার্কিন মুলুকে তোলপাড় চলছে তখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে জো বাইডেন ইস্যুতে আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে তিনি বলেছেন, সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে তিনি শুধু ইউরোপকে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন।
কি বলছেন পেলোসি?
ট্রাম্প যা-ই বলুন না কেন, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আইন লঙ্ঘন করেছেন। তিনি সাংবিধানিক যে দায়িত্বের মধ্যে রয়েছেন তা লঙ্ঘন করেছেন। প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আহ্বান করেছিলেন পদক্ষেপ নিতে, যাতে তিনি রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পেতে পারেন। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতেই হবে।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে সবচেয়ে সিনিয়র ডেমোক্রেট হলেন ন্যান্সি পেলোসি। এতদিন রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। কারণ, তিনি মনে করতেন এমন প্রচেষ্টায় উল্টো ফল হতে পারে। তাতে বেড়ে যেতে পারে ট্রাম্পের সমর্থন। ওদিকে নিজে কোনো অন্যায় করেননি বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যদি তদন্ত মেনে না চলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়াকে তিনি সমর্থন করেন। জো বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা হবে একটি ট্রাজেডি। কিন্তু এই ট্রাজেডি তিনিই রচনা করছেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেট দল থেকে ফ্রন্টরানার বা সামনের সারিতে যে কয়েকজন প্রার্থী আছেন তার মধ্যে জো বাইডেন অন্যতম।
ট্রাম্প কি বলছেন?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে এ নিয়ে ধারাবাহিক টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে তিনি যখন সফর করছেন তখন তার ক্ষতি ও অবমাননা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। তারা ‘জাদুবিদ্যার আবর্জনা’ দিয়ে অধিক ব্রেকিং খবর বানাচ্ছে। যে ফোনকলের কথা তারা বলছে তার কোনো লিখিত রূপ তারা কখনো দেখে নি। এটা পুরোপুরিই জাদুবিদ্যা! ওদিকে ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি বলেছেন, প্রতিনিধি পরিষদে এসব ঘটাচ্ছেন স্পিকার পেলোসি। যখন এটা ইস্যু করা হয়েছে তখন তিনি আমেরিকানদের পক্ষে কথা বলছেন না। আমরা অভিশংসনের তদন্ত শুরু করবো- এটা তিনি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এ ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানরা যখন মুখোমুখি তখন কংগ্রেসের কাছে বিস্ফোরক হুইসেলব্লোয়ার রিপোর্ট শেয়ার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জোসেফ মাগুইরে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির শুনানিতে তার সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
এরপর কি হবে?
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এই তদন্তে যাচাই করে দেখা হবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে ট্রাম্প কি বলেছিলেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তিনি অভিশংসনযোগ্য অপরাধ করেছেন কিনা। ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, বর্তমান চলমান আনুষ্ঠানিক অভিশংসন বিষয়ক তদন্তের অধীনে আরো ৬টি কংগ্রেশনাল কমিটি তদন্ত করে দেখবে। এসব কমিটি তদন্ত করবে অন্য বিষয়গুলোতে। যদি এতে অভিশংসনযোগ্য অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে তা প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে দেয়া হবে। এই পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটরা। ফলে সেখানে অবলীলায় তা পাস হতে পারে। এরপরই তা পাঠানো হবে সিনেটে। এখানে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কিন্তু সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। ফলে সেখানে আটকে যেতে পারে এ প্রস্তাব।
জরিপ কি বলছে
এরই মধ্যে এ ইস্যুতে জনমত জরিপ করেছে ইউগভ। তাতে দেখা গেছে যদি এটা নিশ্চিত হয় যে, জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তে বাধ্য করার জন্য ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাহলে শতকরা ৫৫ ভাগ মার্কিনি সমর্থন দেবেন অভিশংসনে।
ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে ট্রাম্প আসলে কি বলেছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারা যাতে এই তদন্তে বাধ্য হয় এ জন্য তিনি তাদেরকে দেয়া সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে যখন মার্কিন মুলুকে তোলপাড় চলছে তখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে জো বাইডেন ইস্যুতে আলোচনার কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে তিনি বলেছেন, সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে তিনি শুধু ইউরোপকে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন।
কি বলছেন পেলোসি?
ট্রাম্প যা-ই বলুন না কেন, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আইন লঙ্ঘন করেছেন। তিনি সাংবিধানিক যে দায়িত্বের মধ্যে রয়েছেন তা লঙ্ঘন করেছেন। প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আহ্বান করেছিলেন পদক্ষেপ নিতে, যাতে তিনি রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পেতে পারেন। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতেই হবে।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে সবচেয়ে সিনিয়র ডেমোক্রেট হলেন ন্যান্সি পেলোসি। এতদিন রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। কারণ, তিনি মনে করতেন এমন প্রচেষ্টায় উল্টো ফল হতে পারে। তাতে বেড়ে যেতে পারে ট্রাম্পের সমর্থন। ওদিকে নিজে কোনো অন্যায় করেননি বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যদি তদন্ত মেনে না চলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়াকে তিনি সমর্থন করেন। জো বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা হবে একটি ট্রাজেডি। কিন্তু এই ট্রাজেডি তিনিই রচনা করছেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেট দল থেকে ফ্রন্টরানার বা সামনের সারিতে যে কয়েকজন প্রার্থী আছেন তার মধ্যে জো বাইডেন অন্যতম।
ট্রাম্প কি বলছেন?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরই মধ্যে এ নিয়ে ধারাবাহিক টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে তিনি যখন সফর করছেন তখন তার ক্ষতি ও অবমাননা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। তারা ‘জাদুবিদ্যার আবর্জনা’ দিয়ে অধিক ব্রেকিং খবর বানাচ্ছে। যে ফোনকলের কথা তারা বলছে তার কোনো লিখিত রূপ তারা কখনো দেখে নি। এটা পুরোপুরিই জাদুবিদ্যা! ওদিকে ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি বলেছেন, প্রতিনিধি পরিষদে এসব ঘটাচ্ছেন স্পিকার পেলোসি। যখন এটা ইস্যু করা হয়েছে তখন তিনি আমেরিকানদের পক্ষে কথা বলছেন না। আমরা অভিশংসনের তদন্ত শুরু করবো- এটা তিনি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এ ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানরা যখন মুখোমুখি তখন কংগ্রেসের কাছে বিস্ফোরক হুইসেলব্লোয়ার রিপোর্ট শেয়ার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জোসেফ মাগুইরে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির শুনানিতে তার সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
এরপর কি হবে?
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এই তদন্তে যাচাই করে দেখা হবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে ট্রাম্প কি বলেছিলেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তিনি অভিশংসনযোগ্য অপরাধ করেছেন কিনা। ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, বর্তমান চলমান আনুষ্ঠানিক অভিশংসন বিষয়ক তদন্তের অধীনে আরো ৬টি কংগ্রেশনাল কমিটি তদন্ত করে দেখবে। এসব কমিটি তদন্ত করবে অন্য বিষয়গুলোতে। যদি এতে অভিশংসনযোগ্য অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে তা প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে দেয়া হবে। এই পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটরা। ফলে সেখানে অবলীলায় তা পাস হতে পারে। এরপরই তা পাঠানো হবে সিনেটে। এখানে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কিন্তু সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। ফলে সেখানে আটকে যেতে পারে এ প্রস্তাব।
জরিপ কি বলছে
এরই মধ্যে এ ইস্যুতে জনমত জরিপ করেছে ইউগভ। তাতে দেখা গেছে যদি এটা নিশ্চিত হয় যে, জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তে বাধ্য করার জন্য ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাহলে শতকরা ৫৫ ভাগ মার্কিনি সমর্থন দেবেন অভিশংসনে।
No comments